Tag Archives: Hamas

Plotting terrorist Attack On US: এবার হামাসের টার্গেট নিউ ইয়র্ক? বিরাট হামলার ছক ফাঁস, গ্রেফতার এক পাকিস্তানি

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে ইহুদিদের উপর জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করা হয়। এই অভিযোগে কানাডায় গ্রেফতার হয় মোহম্মদ শাহজেব খান নামে এক পাকিস্তানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

শাহজেব খান শাহজেব জাদুন নামেও পরিচিত। বয়স মাত্র ২০ বছর। অভিযোগ ৭ অক্টোবর, তিনি নিউইয়র্কে ইহুদিদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছর এই দিনেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু! অল্পের জন্য রক্ষা, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও

শাহজেবের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড আল শাম’-কে তথ্য এবং আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, “অভিযুক্ত চলতি বছরের ৭ অক্টোবর নিউইয়র্কে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল। যতটা সম্ভব ইহুদিদের হত্যা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।’’

আরও পড়ুন: শরীর থেকে নিংড়ে বের করে নেয় ডায়াবেটিস, কমে ব্যথা-যন্ত্রণা, জ্বালাপোড়া…

ঘটনায় এফবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেরিক গারল্যান্ড আরও বলেন, “এফবিআই-কে তদন্তের জন্য ধন্যবাদ। কানাডার আইন মোতাবেক দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।’’ তিনি জানিয়েছেন, নিউইয়র্কে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শাহজেবের। ইজরায়েলের উপর হামাসের হামলার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্রুকলিনের ইহুদি পাড়ায় আইএসের সমর্থনে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ছক ছিল তাঁর।

একটি বিবৃতিতে এফবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার ওয়ে বলেছেন, “ইজরায়েলে হামাসের হামলার এক বছর পূর্তিতে শাহজেব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এফবিআই-এর তদন্তে সেই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে।’’

জানা গিয়েছে, এফবিআইয়ের এক আন্ডারকভার এজেন্ট শাহজেবের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান। তাঁকেই বিশ্বাস করে নিজের পরিকল্পনার কথা বলেছিল সে। এরপরই আসরে নামে কানাডা পুলিশ। মার্কিন-কানাডা সীমান্ত থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে ওরমসটাউন শহর থেকে শাহজেবকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে  তার উপর আগে থেকেই নজর ছিল প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর নাগাদ আইএসআইএসের সমর্থনে একটি এনক্রিপ্টেড ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মে প্রচার শুরু করেন শাহজেব। প্রচার ভিডিও এবং পুস্তিকাও বিলি করতেন। মার্কিন সরকার শাহজেবকে কানাডা থেকে মার্কিন মুলুকে নিয়ে যেতে চায়। সেখানেই বিচার হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছরের জেল হতে পারে শাহজেবের।

 

Israel’s Mossad: হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে প্রথম নন; এর আগেও শুধুমাত্র ‘টুথপেস্ট’ ব্যবহার করে শত্রু নির্মূল করেছে ইজরায়েল

শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক সংঘর্ষের আশঙ্কার উদ্রেক হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর জেরে গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা হওয়ার পথও বন্ধ হতে চলেছে। আসলে ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুতে এলাকায় অশান্তি বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জটিলতার অভিযোগ এনেছে ইরান। এমনকী ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছে তারা। Photo:(Shay_Cormac__/X)
শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক সংঘর্ষের আশঙ্কার উদ্রেক হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর জেরে গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা হওয়ার পথও বন্ধ হতে চলেছে। আসলে ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুতে এলাকায় অশান্তি বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জটিলতার অভিযোগ এনেছে ইরান। এমনকী ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছে তারা। Photo:(Shay_Cormac__/X)
ব্রিটেনের এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তেহরানের এক অতিথিশালায় বিস্ফোরক রাখার জন্য ইরানি নিরাপত্তা এজেন্টদের নিয়োগ করেছিল। আর ওই অতিথিশালাতেই ছিলেন হানিয়ে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আসলে ইজরায়েলের এই গোপন অপারেশনের তালিকা কিন্তু দীর্ঘ। এর মধ্যে অন্যতম হল - বিস্ফোরণ, সাইবার হানা এমনকী শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের বিষ প্রয়োগ। Photo: AP
ব্রিটেনের এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তেহরানের এক অতিথিশালায় বিস্ফোরক রাখার জন্য ইরানি নিরাপত্তা এজেন্টদের নিয়োগ করেছিল। আর ওই অতিথিশালাতেই ছিলেন হানিয়ে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আসলে ইজরায়েলের এই গোপন অপারেশনের তালিকা কিন্তু দীর্ঘ। এর মধ্যে অন্যতম হল – বিস্ফোরণ, সাইবার হানা এমনকী শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের বিষ প্রয়োগ। Photo: AP
ইজরায়েলের ছায়াযুদ্ধ: অতীতের ঘটনার মতোই ছিল হানিয়ের হত্যাকাণ্ড। ঠিক যেভাবে ১৯৭৮ সালে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্তাইনের নেতা ওয়াদি হাদ্দাদকে হত্যা করা হয়েছিল। আসলে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন হাদ্দাদ। কুখ্যাত এন্টেবে অপারেশন চলাকালীন ১৯৭৬ সালে এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন তিনি। আর এর বদলা নিতে মাঠে নামে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ফলে তাঁদের নিশানার মূলে ছিলেন ওয়াদি হাদ্দাদ। Photo: AP
ইজরায়েলের ছায়াযুদ্ধ: অতীতের ঘটনার মতোই ছিল হানিয়ের হত্যাকাণ্ড। ঠিক যেভাবে ১৯৭৮ সালে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্তাইনের নেতা ওয়াদি হাদ্দাদকে হত্যা করা হয়েছিল। আসলে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন হাদ্দাদ। কুখ্যাত এন্টেবে অপারেশন চলাকালীন ১৯৭৬ সালে এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন তিনি। আর এর বদলা নিতে মাঠে নামে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ফলে তাঁদের নিশানার মূলে ছিলেন ওয়াদি হাদ্দাদ। Photo: AP
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের পরে মোসাদের হত্যার তালিকায় উঠে আসে হাদ্দাদ। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের বদলে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা গোপনেই হাদ্দাদকে মারতে অন্য এক পন্থা অবলম্বন করে। এর জন্য নিয়োগ করা হয় ‘এজেন্ট স্যাডনেস’-কে। এই এজেন্টের আসলে হাদ্দাদের বাড়ি এবং অফিসে ঢোকার অনুমতি ছিল। Photo: AP
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের পরে মোসাদের হত্যার তালিকায় উঠে আসে হাদ্দাদ। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের বদলে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা গোপনেই হাদ্দাদকে মারতে অন্য এক পন্থা অবলম্বন করে। এর জন্য নিয়োগ করা হয় ‘এজেন্ট স্যাডনেস’-কে। এই এজেন্টের আসলে হাদ্দাদের বাড়ি এবং অফিসে ঢোকার অনুমতি ছিল। Photo: AP
‘এজেন্ট স্যাডনেস’: ১৯৭৮ সালের ১০ জানুয়ারি ‘এজেন্ট স্যাডনেস’ হাদ্দাদের রোজকার ব্যবহারের টুথপেস্ট বা মাজন বদলে দিয়েছিল। তার বদলে রেখে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ভাবে প্রস্তুত এক বিষাক্ত টুথপেস্ট। আর সেই টুথপেস্টে ব্যবহৃত বিষ বানানো হয়েছিল ইজরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চে। যা হাদ্দাদের মিউকাস মেমব্রেন ভেদ করে এবং ধীরে ধীরে মারাত্মক পরিণতির দিকে এগোয়। Photo: AP
‘এজেন্ট স্যাডনেস’: ১৯৭৮ সালের ১০ জানুয়ারি ‘এজেন্ট স্যাডনেস’ হাদ্দাদের রোজকার ব্যবহারের টুথপেস্ট বা মাজন বদলে দিয়েছিল। তার বদলে রেখে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ভাবে প্রস্তুত এক বিষাক্ত টুথপেস্ট। আর সেই টুথপেস্টে ব্যবহৃত বিষ বানানো হয়েছিল ইজরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চে। যা হাদ্দাদের মিউকাস মেমব্রেন ভেদ করে এবং ধীরে ধীরে মারাত্মক পরিণতির দিকে এগোয়। Photo: AP
জেরুজালেম পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, Yedioth Ahronoth-এর সিনিয়র মিলিটারি করেসপন্ডেন্ট রোনেন বার্গম্যান লিখেছিলেন যে, প্রত্যেক সময় যখন হাদ্দাদ দাঁত মাজতেন, তখনই এক মিনিট পরিমাণের সমান ওই বিষ তাঁর মুখের মিউকাস মেমব্রেনে প্রবেশ করতো। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হাদ্দাদ বাগদাদেই ভয়ঙ্কর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মধ্যে গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। শুরু হয় পেটের ক্র্যাম্প। খিদে কমে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে তরতরিয়ে কমতে থাকে ওজনও। Photo: AP
জেরুজালেম পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, Yedioth Ahronoth-এর সিনিয়র মিলিটারি করেসপন্ডেন্ট রোনেন বার্গম্যান লিখেছিলেন যে, প্রত্যেক সময় যখন হাদ্দাদ দাঁত মাজতেন, তখনই এক মিনিট পরিমাণের সমান ওই বিষ তাঁর মুখের মিউকাস মেমব্রেনে প্রবেশ করতো।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হাদ্দাদ বাগদাদেই ভয়ঙ্কর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মধ্যে গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। শুরু হয় পেটের ক্র্যাম্প। খিদে কমে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে তরতরিয়ে কমতে থাকে ওজনও। Photo: AP
এভাবে প্রায় ২৫ পাউন্ড ওজন কমে গিয়েছিল তাঁর। সেরা ইরাকি চিকিৎসকরাও কিছু করতে পারেননি। তাঁদের চিকিৎসা সত্ত্বেও ক্রমাগত হাদ্দাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। এরপর তাঁর হেপাটাইটিস ধরা পড়ে। এরপর প্রবল ঠান্ডা লেগে যায় তাঁর। অথচ কোনও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছিল না। এবার হাদ্দাদের চুল ঝরে যেতে থাকল। সেই সময়ই তাঁর শরীরে বিষক্রিয়ার সন্দেহটা দানা বাঁধে। Photo: AP
এভাবে প্রায় ২৫ পাউন্ড ওজন কমে গিয়েছিল তাঁর। সেরা ইরাকি চিকিৎসকরাও কিছু করতে পারেননি। তাঁদের চিকিৎসা সত্ত্বেও ক্রমাগত হাদ্দাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। এরপর তাঁর হেপাটাইটিস ধরা পড়ে। এরপর প্রবল ঠান্ডা লেগে যায় তাঁর। অথচ কোনও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছিল না। এবার হাদ্দাদের চুল ঝরে যেতে থাকল। সেই সময়ই তাঁর শরীরে বিষক্রিয়ার সন্দেহটা দানা বাঁধে। Photo: AP
প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসের আরাফত ইস্ট জার্মান সিক্রেট সার্ভিস স্ট্যাসি-র সাহায্য প্রার্থনা করেন। ইঁদুর মারার বিষ না কি থ্যালিয়াম বিষক্রিয়া? সাড়া দেয় স্ট্যাসি। তাদের তরফে পূর্ব বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়াদি হাদ্দাদকে। তাঁকে গোপনে একটি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেই সঙ্গে হাদ্দাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে ‘আহমেদ ডুকলি’ নামে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বহু চেষ্টা করেছিলেন। নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করিয়েছিলেন। কিন্তু সবই বিফলে যায়। কারণ কোনও চিকিৎসকই হাদ্দাদের অসুস্থতা ধরতে পারেননি। তাঁদের সন্দেহ ছিল, হাদ্দাদের শরীরে ইঁদুর মারার বিষ অথবা থ্যালিয়াম বিষ রয়েছে। যদিও এর কোনও জোরালো প্রমাণ চিকিৎসকদের হাতে ছিল না। Photo: AP
প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসের আরাফত ইস্ট জার্মান সিক্রেট সার্ভিস স্ট্যাসি-র সাহায্য প্রার্থনা করেন। ইঁদুর মারার বিষ না কি থ্যালিয়াম বিষক্রিয়া? সাড়া দেয় স্ট্যাসি। তাদের তরফে পূর্ব বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়াদি হাদ্দাদকে। তাঁকে গোপনে একটি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেই সঙ্গে হাদ্দাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে ‘আহমেদ ডুকলি’ নামে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বহু চেষ্টা করেছিলেন। নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করিয়েছিলেন। কিন্তু সবই বিফলে যায়। কারণ কোনও চিকিৎসকই হাদ্দাদের অসুস্থতা ধরতে পারেননি। তাঁদের সন্দেহ ছিল, হাদ্দাদের শরীরে ইঁদুর মারার বিষ অথবা থ্যালিয়াম বিষ রয়েছে। যদিও এর কোনও জোরালো প্রমাণ চিকিৎসকদের হাতে ছিল না। Photo: AP
এদিকে ওয়াদি হাদ্দাদের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। গুরুতর হেমারেজ হতে থাকে এবং তাঁর প্লেটলেট কাউন্টও ভয়াবহ ভাবে পড়তে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বেশিরভাগ সময় তাঁকে সিডেটিভ দিয়ে রাখতেন। প্রায় দিন দশেক এভাবে কষ্টে কেটে যায়। কিন্তু সমস্ত কিছু সত্ত্বেও চিকিৎসকরা হাদ্দাদের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। অবশেষে ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ মৃত্যু হয় ওয়াদি হাদ্দাদের। এরপর অধ্যাপক ওট্টো প্রোকপ একটি অটোপ্সি করেন। তাতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, প্যান মায়েলোপ্যাথির কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওয়াদি হাদ্দাদের। যদিও বিষক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ অজানাই থেকে গিয়েছে। এমনকী বছরের পর বছর ধরে তা রহস্যও তৈরি করেছে। হাদ্দাদের হত্যাকাণ্ডের সত্য উন্মোচনে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন দশক। Photo: AP
এদিকে ওয়াদি হাদ্দাদের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। গুরুতর হেমারেজ হতে থাকে এবং তাঁর প্লেটলেট কাউন্টও ভয়াবহ ভাবে পড়তে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বেশিরভাগ সময় তাঁকে সিডেটিভ দিয়ে রাখতেন। প্রায় দিন দশেক এভাবে কষ্টে কেটে যায়। কিন্তু সমস্ত কিছু সত্ত্বেও চিকিৎসকরা হাদ্দাদের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। অবশেষে ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ মৃত্যু হয় ওয়াদি হাদ্দাদের। এরপর অধ্যাপক ওট্টো প্রোকপ একটি অটোপ্সি করেন। তাতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, প্যান মায়েলোপ্যাথির কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওয়াদি হাদ্দাদের। যদিও বিষক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ অজানাই থেকে গিয়েছে। এমনকী বছরের পর বছর ধরে তা রহস্যও তৈরি করেছে। হাদ্দাদের হত্যাকাণ্ডের সত্য উন্মোচনে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন দশক। Photo: AP

Hamas chief killed: ইরানে ‘ইজরায়েলি হানায়’ হত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে

তেহরান: বুধবার ইরানে নিজের আবাসস্থলে ইজরায়েলের হানায় প্রাণ হারালেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। ইজরায়েলের হামলায় হানিয়ের সঙ্গেই প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর এক দেহরক্ষী। ইরান জানিয়েছে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাজুদ পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ইসমাইল হানিয়ে।

ইসমাইল হানিয়ে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ছিলেন। ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও নিচ্ছিলেন হানিয়ে। ইরান আরও জানিয়েছে, হানিয়ের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত চলছে। যদিও এই নিয়ে হামাসের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে ‘ইজরায়েলি হানায়’ প্রাণ গিয়েছে ইসমাইল হানিয়ের।

আরও পড়ুন: অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জিতে ইতিহাস মনুর! সরবজোতের সঙ্গে এয়ার পিস্তলে এল পুরস্কার

ইরানের সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী ইসলামিক রেভোলিশনারি গার্ড কর্পসের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ের আবাসস্থলে হামলা চালানো হয়েছে, এই হামলায় হানিয়ে এবং তাঁর এক দেহরক্ষী শহিদ হয়েছেন”।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে জড়িয়েছে ইজরায়েল এবং হামাস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৩৬৩ জন প্যালেস্তাইনির মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি। এই যুদ্ধ নিয়ে গত ১০ মাস ধরে সরগরম আন্তর্জাতিক রাজনীতি। এবার হামাসের প্রধানের খুন হওয়ার ঘটনায় এই সংঘাত নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Israel-Palestine War: ‘সেফ জোন’ খান ইউনিসেও ইজরায়েলের হামলা, গাজায় ফের আশ্রয়চ্যুত ১ লক্ষ ৮০ হাজার জন

গাজা: গাজা থেকে আরও প্রায় ১লক্ষ ৮০ হাজার বাসিন্দা ঠাঁই হারা হয়েছে৷ ইজরায়েল সরকার গাজার দক্ষিণসীমা খান ইউনিস থেকেও দূরে সরে যেতে বলেছে৷ তাঁদের আল-মাওয়াসির দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, ন মাস ধরে যুদ্ধতে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে জোড়পূর্বক ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে৷ তুলনামূলক ‘খান ইউনিস’ অঞ্চলকে নিরাপদ মনে করা হচ্ছিল৷

আরও পড়ুন: গাজার ‘সেফ জোনে’ বোমাবর্ষণ ইজরায়েল সেনার, নিহত প্রায় ৯২ জন

কিন্তু ইজরায়েল সূত্রে খবর, এখান থেকে সম্প্রতি পাঁচজন ইজরায়েলি বন্দির দেহ পাওয়া গিয়েছে৷ এর পর থেকে এই অঞ্চলেও যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে৷

ইজরায়েলি সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাঁরা ওই অঞ্চলে প্রায় ১০০ জন হামাসের জঙ্গিকে মারতে সক্ষম হয়েছে৷ সেন্ট্রাল গাজার একটা স্কুলে ইজরায়েলি বিমান হানায় প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, এর মধ্যে অনেকে শিশুও রয়েছে৷

ইজরায়েলি সেনা নিজেই খান ইউনিসের কয়েকটা জায়গাকে ‘নিরাপদ স্থান’ বলে ঘোষণা করেছিল৷ এবার তাঁরা একটা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই স্থানেও তাঁরা হামলা চালাবে৷

আরও পড়ুন: গাজায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা হৃদয়বিদারক, যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত! নেতনিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন কমলা হ্যারিস

ইজরায়েলের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা ওখানকার স্থানীয় সাধারণ মানুষকে আগাম সতর্ক করতে চাইছি৷ ওই অঞ্চল নিরাপদ অঞ্চল ছিল৷ কিন্তু হামাস ওই জায়গা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছে৷ তাই আমরা ওখানে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করব৷ ওখানকার সাধারণ মানুষদের আগে থেকেই যুদ্ধস্থান ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷’’

রাষ্ট্রপুঞ্জের সূত্রে জানা যাচ্ছে এর ফলে চারদিনে গাজার দক্ষিণে প্রায় ১ লক্ষ আশি হাজার বাসিন্দা ঠাঁই হারা হয়েছে৷ এমনিতেই শরণার্থী শিবির গুলো অপুষ্টি, চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছে৷ সেখানে কেবল চলছে প্রাণটুকু বাঁচানোর নিরন্তন লড়াই৷ এবার ‘নিরাপদ স্থান গাজার দক্ষিণও আর নিরাপদ রইল না৷

গাজার স্বাস্থমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গাজায় ইজরায়েলি হামলায় এখনও পর্যন্ত ৩৯,১৭৫ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে

Gaza Suffering: গাজায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা হৃদয়বিদারক, যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত! নেতনিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন কমলা হ্যারিস

ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে হামাসের হাতে বন্দি থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের মুক্তি প্রসঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেখানে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি মন্তব্য করেছেন, আমরা যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিদের মুক্তি নিয়ে ভাবছি, তেমনই গাজায় ঘটে চলা সংঘর্ষ বন্ধ করাও আমাদের লক্ষ্য৷

আরও পড়ুন: চিনকে আটকাতে ইসলামাবাদকে আর্থিক সাহায্য করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাজেটে বরাদ্দ হতে পারে প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ডলার


তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি হামাসের হাতে বন্দি থাকা পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছি৷ আশ্বাস দিয়েছি তাঁরা একা নয়৷ আমি সব সময় তাঁদের পাশে আছি৷ আমি এবং আমাদের প্রেসিডেন্ট জন বাইডেন, আমরা সব রকম চেষ্টা করছি ওদের কোনওভাবে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার৷’’

আরও পড়ুন: গাজার ‘সেফ জোনে’ বোমাবর্ষণ ইজরায়েল সেনার, নিহত প্রায় ৯২ জন

এরই সঙ্গে তিনি গাজার নিরীহ মানুষদের সম্বন্ধে চিন্তা ব্যক্ত করলেন৷ সেখানে ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে সেখানকার মৃত শিশুদের হৃদয়বিদারক দৃশ্য তাঁকে কষ্ট দিয়েছে, ‘‘ওখানের অবস্থা খুবই হৃদয়বিদারক৷ ওখানে প্রচুর নিরীহ ব্যক্তি মারা যাচ্ছে৷ প্রায় ২ মিলিয়নের মতো মানুষ ওখানে খাবার জলের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন৷

তিনি আরও বলেন, যে কোনও ধরনের ঘৃণা, হিংসাকে পশ্রয় দেওয়া উচিত নয়৷ আমাদের উচিত গাজায় শান্তি ফেরানোর উপরও নজর দেওয়া৷ আমি যে কোনও ধরনের হিংসা ও ঘৃণার বিরুদ্ধে৷

Iran President Ebrahim Raisi Death: হামাসকে সমর্থন থেকে শুরু করে ইজরায়েলে ড্রোন হামলা! রাইসির মৃত্যুতে কী প্রভাব পড়বে মধ্যপ্রাচ্যে, কে হচ্ছেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট?

তেহরান: ঘন কুয়াশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার। পার্বত্য অঞ্চল পেরনোর সময় আচমকাই দুর্ঘটনা৷ পাহাড়ে আছাড় খেয়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল আস্ত হেলিকপ্টার৷ তারপরই দাউ দাউ করে আগুন। প্রথমটা রাইসির বেঁচে থাকার আশা বজায় থাকলেও সোমবার সকালে ইরানের তরফে সরকারি ভাবেই ঘোষণা করা হয়, দুর্ঘটনাস্থলে কারও বেঁচে থাকার কোনও সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি৷ অর্থাৎ, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির৷

পাশাপাশি, কপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ান-সহ আরও তিনজন৷ কুয়াশা, জঙ্গলে ঘেরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের দেহ উদ্ধারের ভিডিয়োও সামনে এসেছে৷

রাইসির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে৷ একদিকে, যেমন ইরানের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির পরবর্তী অবস্থা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে, তেমনই অন্যদিকে, আলোচনায় উঠে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার প্রসঙ্গও৷

আরও পড়ুন: ‘কেউ বেঁচে নেই..,’ কপ্টার দুর্ঘটনায় মারাই গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি! সামনে এল দুর্ঘটনার ঠিক আগের ভিডিও

প্রথমে আসা যাক ইরানের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রসঙ্গে৷ ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যুর পরে এখন অন্তবর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবের৷ তবে, ৫০ দিনের মধ্যেই ইরানের পরবর্তী স্থায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন সুপ্রিম লিডার তথা ইরান রাজনীতির সর্বেসর্বা আয়াতুল্লাহ খামেনেই৷ ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট রাইসির মতো কট্টর হবেন, না হাসান রুহানির মতো উদারপন্থী, তা-ও নির্ভর করবে খামেনেইয়ের উপরেই৷

রাইসি যে ইরানের বর্ষীয়ান সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই ঘনিষ্ঠ এবং পছন্দের পাত্র ছিলেন, তা দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই দেশের বাইরেও সুবিদিত৷ জল্পনা ছিল, ৮৫ বছরের খামেনেইর জায়গায় অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সর্বোচ্চ লিডার হতে চলেছেন রাইসিই৷ কিন্তু, তাঁর মৃত্যুতে ওলটপালট হয়ে গেল সমস্ত অঙ্ক৷ এমন পরিস্থিতিতে বংশ পরম্পরার প্রথা মেনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার জায়গা পেতে পারেন খামেনেইয়ের পুত্র মোজতবা খামেইনি৷ যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন বহু ইরানীয় ধর্মীয় নেতা৷

অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রপতির অকালমৃত্যুতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা দেখছে মধ্যপ্রাচ্যও৷ ইজরায়েলের সঙ্গে গাজার হামাসের সংঘর্ষে ইরানের ভূমিকা ছিল সর্বজন বিদিত৷ যুদ্ধাস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, অর্থ দিয়ে তো বটেই, হামাস নেতাদের নিরাপত্তা দিয়েছে রাইসির ইরান প্রশাসন৷

এদিন রাইসির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে হামাসও৷ সেই শোকবার্তায় রাইসিকে ‘সম্মানীয় সমর্থক’ হিসাবে উল্লেখ করে প্যালেস্তিনীয় বিরোধী গোষ্ঠী হামাসের তরফে জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ বাঁধা ইস্তক হামাসকে, প্যালেস্তিনীয় রেজিস্ট্যান্সকে সমর্থন করেছেন ইব্রাহিম রাইসি৷

আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে আরও বড় প্রতিশ্রুতি মমতার! বললেন, ‘ইন্ডিয়া জোটকে লিড করবে বাংলাই’

শুধুমাত্র হামাসকে সমর্থন করাই নয়, গত মাসে সরাসরি সংঘর্ষ বাঁধে ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যেও৷ যা নিয়েও তপ্ত হয় মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি৷ ইরানের বন্ধু রাষ্ট্র সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরান কনস্যুলেটের উপরে হামলার ঘটনার পরে ইজরায়েলে একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় ইরান৷ এখন যদিও সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বন্ধ৷ কিন্তু, ইরানের সাহায্যপ্রাপ্ত গাজার বিরোধী গোষ্ঠী হামাস এবং হিজবোল্লা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে৷

শুধুমাত্র, ইজরায়েল গাজা যুদ্ধেই নয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও আমেরিকা সমর্থিত ইউক্রেনের বিপরীতে রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ছিল ইরান৷ আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো পশ্চিমি দেশগুলি তো বটেই, চরম শত্রু ইজরায়েলেরও দাবি, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে৷ পরমাণু চুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের টানাপড়েন দীর্ঘদিনের, সুবিদিত৷

সব মিলিয়ে, বিশ্ব রাজনীতির বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, কপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসির এই আকস্মিক মৃত্যু ও ইরান রাজনীতির এই টালমাটাল অবস্থায় পশ্চিম এশিয়ায় সীমান্ত সংঘর্ষ আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে৷