হরিদ্বারের গঙ্গার সামনে ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান দুই কাঁওয়ার যাত্রীর, তারপরই ছুটে এল আশপাশের লোক, হঠাৎ কী হল?

হরিদ্বারের গঙ্গার সামনে ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান দুই কাঁওয়ার যাত্রীর, তারপরই ছুটে এল আশপাশের লোক, হঠাৎ কী হল?

হরিদ্বার: ২২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কাঁওয়ার যাত্রা। গঙ্গাজল তুলতে বাঁক কাঁধে পায়ে হেঁটে হরিদ্বার যাচ্ছেন ভক্তরা। মুখে ‘জয় শিবশম্ভু’ স্লোগান। উৎসাহ উদ্দীপনার অন্ত নেই। হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাটগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই।

দু’দিন আগেই হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাটে পৌঁছন দুই যুবক। ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান দিয়ে নদীতে স্নান করেন। গঙ্গা জল ভরেন ঘটে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হইচই পড়ে যায়। ঘাটে ভিড় জমান আশপাশের লোকজন। ব্যাপারটা কী?

আরও পড়ুন– ওড়ার সময়েই বিপত্তি ! নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল

কাঁওয়ার যাত্রা শুরু হতেই হরিদ্বারে প্রতিদিন লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকার। ঘাটে মোতায়েন রয়েছে এসডিআর-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘাটে রাখা হয়েছে লোহার শিকল ও দড়ি। যাতে সেগুলো ধরে নির্বিঘ্নে স্নান করতে পারেন ভক্তরা। কিন্তু এত কিছুর পরেও অঘটন। গঙ্গায় ডুবে মৃত্যু হল দুই কাঁওয়ার যাত্রীর।

আরও পড়ুন- পূর্ণাঙ্গ বাজেট কেমন লাগল? প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেন নামীদামি শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীরা

হরিদ্বারের কয়েকটি গঙ্গার ঘাটে অত্যধিক ভিড় হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও সেই ঘাটগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। রয়েছে এসডিআরএফ। কিন্তু ২২ জুলাই, কাঁওয়ার যাত্রা শুরুর দিনই একটি গঙ্গার ঘাটে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ওদিকে নদীতে তখন প্রবল স্রোত।

হঠাৎ চোখে পড়ে এক ভক্ত নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছেন। দেখা মাত্র এসডিআরএফ দলের সাঁতারুরা ঝাঁপ দেন গঙ্গায়। হইচই শুরু হয়ে যায়। ঘাটে ভিড় বাড়তে থাকে। অবশেষে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নদী থেকে তুলে আনা হয় যুবককে। এসডিআরএফ দলের সাঁতারু আশিক আলি এবং শিবম যুবকের প্রাণ বাঁচান।

অন্য দিকে, বৈরাগী ক্যাম্পেও একই ঘটনা। গঙ্গায় স্নান করতে নেমেছিলেন এক ভক্ত। কিন্তু প্রবল স্রোত সামলাতে পারেননি। তাঁকে ভেসে যেতে দেখে চিৎকার শুরু করে দেন আশপাশের লোকজন। উপস্থিত এসডিআরএফের দল তাঁকে নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। দুই যুবকের একজন হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা পবন কুমার, বয়স ২৯ বছর। অন্যজন ৪৫ বছর বয়সী গিরীশ কুমার। দু’জনেই আপাতত নিরাপদে আছেন।