গ্রামেই বসছিল চোলাইয়ের আসর।

West Bardhaman News : জঙ্গলমহলের শান্তির গ্রামগুলি বুঁদ হয়ে যাচ্ছিল নেশায়! সমাজ বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মহিলারা

কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : জঙ্গলমহলের আদিবাসী গ্রামগুলি ধীরে ধীরে উন্নত হয়ে উঠছে। সেখানে পৌঁছেছে বিদ্যুৎ, পানীয় জল সংযোগ। পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার মান বেড়েছে। গ্রামগুলির মানুষজনের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল অশান্তির আগুন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শান্তির গ্রামগুলিতে শুরু করেছিলেন চোলাই এর ব্যবসা।

অভিযোগ কাঁকসা জঙ্গলমহলের একাধিক গ্রামে বিগত দু-তিন মাসে চোলাইয়ের ব্যবসার রমরমা দেখা যাচ্ছিল। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে চলছিল ব্যবসা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নেশায় বুঁদ হয়ে যাচ্ছিলেন গ্রামের পুরুষরা। তার ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল বহু দিক থেকে। প্রতিটি ঘরে ঘরে অশান্তি নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে উঠেছিল। পুরুষরা কর্মক্ষেত্রে যেতে চাইছিলেন না। সারাদিন শুধু বসে সময় কাটাচ্ছিলেন চোলাইয়ের ঠেকে। আর তাই সমাজ রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন গ্রামের মহিলারা।

আরও পড়ুন : বাংলার চাহিদা না মেটা পর্যন্ত ভিন রাজ্যে আলু রফতানি নয়!

গ্রামের মহিলারা অভিযোগ করছেন, বিগত কয়েক মাস যাবত এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। যারা এই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন, তাদের সাবধান করা হয়েছে। এই অসাধু কারবার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে তারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যে কারণে অবশেষে গ্রামবাসীরা সমাজ রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছেন। প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা বন্ধ করেছেন ঠেক। পুলিশ এবং আফগারি দফতরের যৌথ অভিযানের মধ্যে দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে চোলাইয়ের ঠেকগুলি।

আরও পড়ুন : কাজে নেমেছিলেন, কিন্তু উঠে আসার ডুলি বন্ধ! খনির নিচে আটকে পড়লেন ১১২ জন শ্রমিক

প্রসঙ্গত, একদিকে যখন প্রশাসন নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নতির জন্য, তখন এমন ঘটনা রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে সমাজ বিশেষজ্ঞদের। সমাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অসাধু কারবার শুধু সমাজ নষ্ট করে তা নয়, গ্রামগুলির পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, যারা বিদ্যালয়ে যায়, তাদের মনের মধ্যেও খারাপ প্রভাব পড়ে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

আর এমন ঘটনা চলতে থাকলে সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। তাই গ্রাম রক্ষা করতে যেভাবে গ্রামের মহিলারা এগিয়ে এসেছেন, তা দেখে খুশি সমাজ বিশেষজ্ঞরা।

নয়ন ঘোষ