ভয়ঙ্কর ঘটনা হাথরসে!

Hathras Stampede: হাথরসে কেন শুরু হল হুড়োহুড়ি? সামনে এল ভয়ঙ্কর ‘সত্য’! গোপনও করা হচ্ছিল ‘প্রমাণ’

হাথরস: হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১। এর মধ্যে এসডিএমের তরফে ডিএমকে হাথরসের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হল। সেখানে বলা হয়েছে, এই ভোলে বাবা সৎসঙ্গ শেষ করে যখন NH ৯১ ধরে মৈনপুরির দিকে রওনা হন, তখন ভক্তরা রাস্তায় বেরিয়ে আসতে চান, স্বঘোষিত বাবার পায়ের ধুলো নেওয়ার জন্য।

অনেকেই বাবা-র চলে যাওয়া রাস্তায় ঝুঁকে পড়ে মাথায় ধুলো লাগাচ্ছিলেন। কেউ আবার ঝাঁপান বাবা-কে স্পর্শ করতে। বাবা পর্যন্ত যাতে ভিড় না পৌঁছতে পারে, তার জন্য অগণিত মানুষকে রাস্তায় আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন বাবা-র পার্ষদরা। যার জেরে বহু লোক রাস্তা থেকে পাশের ক্যানালে পড়ে যান। পদপিষ্ট হন বহু।

আরও পড়ুন: হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১, ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেন্সিক টিম

স্থানীয়দের দাবি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের চাকরি ছেড়ে ধর্মগুরু হয়ে যান নারায়ন সাকর হরি ওরফে সাকর বিশ্ব হরি ভোলে বাবা ওরফে সৌরভ কুমার। এই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী দুজনে মিলেই আয়োজন করতেন সৎসঙ্গের। প্রতি মঙ্গলবার করে আয়োজন করা হত সৎসঙ্গের। গত মঙ্গলবারও আয়োজন করা হয় এরকমই এক সৎসঙ্গের। সেটা আয়োজন করা হয়েছিল মৈনপুরি জেলায়।

এই “ভোলে বাবা”কে বেশিরভাগ সময়েই সাদা স্যুট-টাই পরে সৎসঙ্গের প্রচারে বসতে দেখা যায়। যেখানে তিনি নাকি “মানব ধর্ম” নিয়ে নানান বাণী দেন। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে তাঁর লাখো ভক্ত রয়েছে। কোভিডকালে ফারুকাবাদে এরকমই একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করে প্রশাসনের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৫০ জন ভক্ত সমাগমের অনুমতি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল অন্তত হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। এই ‘বাবা’র একটি ইউটিউব চ্যানেল ছিল, যেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।