আমরা প্রতিদিন যে সমস্ত খাবার খেয়ে থাকি, তাতে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং একাধিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট৷ এই সমস্ত কিছুই স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। এই খাদ্য তালিকায় আপনি একাধিক পাতাও রাখতে পারেন৷কারি পাতা খাবার এবং পানীয় উভয় জিনিসেই ব্যবহার করা হয়৷ তবে বেশিরভাগ লোকেরা খাওয়ার সময় এই পাতাগুলি ফেলে দেয়। কিন্তু, আপনি জেনে অবাক হবেন, যে কারি পাতা আপনি ফেলে দেন, সেই কারি পাতা খেলে আপনার শরীরের অলৌকিক উপকার হতে পারে৷কারি পাতায় থাকে অ্যালকালয়েড, গ্লাইকোসাইড এবং ফেনোলিক্সের মতো শক্তিশালী যৌগ, যা শরীরের উপকার করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, যে লিনালুল, আলফা-টেরপিনিন, মাইরসিন, মাহানিম্বিন, ক্যারিওফাইলিন, মুরায়ানোল এবং আলফা-পিনিনের মতো যৌগ থাকে কারি পাতায়।এই যৌগগুলির মধ্যে অনেকগুলিই আপনার শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই শক্তিশালী উপাদানগুলি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে।কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত আমাদের জানাচ্ছেন, এই অতি সামান্য কারি পাতার কী কী অসামান্য উপকারিতা রয়েছে৷বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, “নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ভাল থাকে৷ দুর্দান্ত উপকারী এই কারি পাতা। শরীরের সমস্ত অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই পাতা। সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।’’কারি পাতা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন ৫-১০টি কারি পাতা চিবিয়ে খেলে তা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমা সাহায্য করতে পারে।রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কারি পাতা কার্যকর বলে বিবেচিত হতে পারে। একটি প্রাণী গবেষণা অনুসারে, কারি পাতার নির্যাস রক্তে উচ্চ মাত্রায় শর্করা কমাতে সাহায্য করে। কারি পাতার নির্যাস খাওয়া ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধ করতে পারে।শুধু হৃদপিণ্ডই নয়, কারি পাতা মস্তিষ্ককেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণা দেখায় যে, কারি পাতা আপনার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। এই পাতাগুলো মস্তিষ্ককে রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। এই পাতাগুলি অ্যালঝাইমারের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।কারি পাতা ওজন কমাতে উপকারী বলে মনে করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, কারি পাতা ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। কারি পাতা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।চুলের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় কারি পাতা অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারি পাতা পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা নতুন চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে পারে। কারি পাতা খেলে চুল পড়া রোধ হয়।Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রত্যেকের শরীর এবং রোগের ধরন ভিন্ন৷ নতুন কিছু খাওয়া শুরু করার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
