লাইফস্টাইল Weight Gain Tips: ভয়ানক হাড়গিলে চেহারা…! হুড়মুড়িয়ে রোগা হয়ে যাচ্ছেন? মাত্র ৭ দিনেই বাড়বে ওজন, ডায়েটিশিয়ানের এই টোটকাতেই মুশকিল আসান! Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk ওজন কমানো নিয়ে প্রত্যেকেই মরিয়া৷ কী খেলে ওজন কমবে তা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেই থাকেন অনেকে৷ তবে ওজন কমাতেই নয় বরং ওজন বাড়ানো নিয়েও অনেকে চিন্তায় পড়ে যান৷ বর্তমানে স্থূলতা ছাড়াও কম ওজন নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভুগছেন। এমন অনেকেই আছেন যারা ওজন বাড়াতে অক্ষম হন। আসলে, ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওজন বাড়ানোর সময় ধৈর্য ধরা এবং সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটিশিয়ান ডা. সারিকা শ্রীবাস্তব বলেন, ওজন কমানো যেমন কঠিন, তেমনি ওজন বাড়ানোও একটু কঠিন। কিন্তু আপনি যদি আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করেন এবং ভাল খাবার খান তাহলে আপনি সহজেই ওজন বাড়াতে পারেন। আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের রুটিনের চেয়ে ৫০০ গ্রাম অতিরিক্ত ক্যালরি আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করেন তবে আপনি এক সপ্তাহে আপনার ওজন এক কেজি বাড়াতে পারবেন। ওজন বাড়ানোর জন্য খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য থাকা উচিত যাতে শর্করা, চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকা খুবই জরুরি। আপনার যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না থাকে তাহলে ওজন বাড়াতে সাতোয়ারি ও অশ্বগন্ধার গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ওজন বাড়ানোর সময় শুকনো ফল যেমন- কাজুবাদাম, বাদাম, কিশমিশ খান। ভেজানো শুকনো ফল খাওয়া ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। দুধে কলা ও ঘি মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে করলে সহজেই ওজন বাড়তে পারে। ওজন বাড়াতে খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রোটিনের জন্য আপনি দুধ, দই, দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণ করতে পারেন। থাইরয়েড না থাকলে সয়াবিন খাওয়া যেতে পারে। সয়াবিনকে প্রোটিনের ভাল উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমিষভোজীরা তাদের খাদ্য তালিকায় ডিম, মুরগি এবং মাছ রাখুন। এছাড়া শুকনো ফল, পিনাট বাটার, পনির খেতে পারেন। রুটিনের তিনটি খাবার যেমন সকালের খাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার কখনওই বাদ দেওয়া উচিত নয়। এছাড়াও, সন্ধ্যার জলখাবারওবাদ দেওয়া উচিত নয়। ওজন বাড়ানোর জন্য চিনাবাদাম খান। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে, অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, ফাস্টফুড ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে সহজেই ওজন বাড়ানো যায়।