পিসিওএস, পিসিওডি, থাইরয়েড, ডায়াবেটিসের মতো রোগগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়ছে। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত এই সমস্ত রোগে। কিন্তু জানেন কী রান্নাঘরের একটি মশলাই এতগুলি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।রান্নাঘরে থাকা খুব সামান্য জিনিসই অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে একাধিক রোগের। বিভিন্ন মশলাই মহৌষধের মতো কাজ করে একাধিক রোগের ক্ষেত্রে।এদের মধ্যে বিশেষত একটি মশলার কথা জানালেন পুষ্টিবিদ সাক্ষী লালওয়ানি। তিনি জানালেন রান্নাঘরের অতি পরিচিত, বহুল ব্যবহৃত মশলা মেথিই হয়ে উঠতে পারে একাধিক রোগের যম।সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্টে মেথির গুণাগুণ সম্পর্কে জানালেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি জানালেন, যেমন তেমনভাবে নয়, সঠিক নিয়ম মেনেই খেতে হবে মেথি। তবেই মিলবে উপকার।পুষ্টিবিদ সাক্ষী লালওয়ানির মতে, মেথি স্বাস্থ্যের জন্য সুপারফুডের চেয়ে কম নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, মিনারেল এবং ভিটামিন পাওয়া যায়, যা থাইরয়েড থেকে শুরু করে PCOD এবং PCOS পর্যন্ত সমস্যা কমাতে কার্যকর। পুষ্টিবিদরা বলছেন, PCOS, PCOD, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস এবং হজমের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মেথির জল তৈরি করে পান করা যেতে পারে। সকালে খালি পেটে মেথির জল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রাতে এক গ্লাস জলে ৪ থেকে ৫ গ্রাম মেথি ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পান করুন। আপনি চাইলে এই জল মেথির সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন অথবা ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন।এই মেথির জলে লেবুর রস যোগ করলে পুষ্টিগুণ ভালভাবে শোষণ হয় এবং দারুচিনির গুঁড়া যোগ করলে তা PCOS-এ সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে হালকা এলাচের গুঁড়া মিশিয়েও খেতে পারেন যা হজমে সাহায্য করে এবং সকালে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় না।মেথিতে সক্রিয় যৌগ স্যাপোনিন এবং অ্যালকালয়েড রয়েছে এবং এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং হজমের উন্নতি করতে একসঙ্গে কাজ করে। ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও অত্যন্ত ভাল।পুষ্টিবিদদের দ্বারা উল্লিখিত উপকারগুলি ছাড়াও, মেথি বীজের জল পান করা উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমায়। এছাড়া ওজন কমাতেও মেথির জলের ভূমিকা রয়েছে।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
