আলিপুরদুয়ার: ভালবাসার কাছে হার মানে সব কিছু, তাই ভালবাসায় একে অপরকে বেঁধে রেখেছেন বিনোদ দাস ও তার স্ত্রী সুখী দাস। বিশেষভাবে সক্ষম স্ত্রীকে পিঠে চাপিয়েই দুর্গা পুজো দেখালেন বিনোদ দাস। বর্তমান সময়ে দেখা যায় ছোট সমস্যার কারণে বিচ্ছেদ হয়ে যায় যে কোনও সম্পর্কে। সেখানে ভালোবাসার অনন্য নজির গড়ে চলেছেন ফালাকাটা ব্লকের নবনগর গ্রামের পেশায় টোটো চালক বিনোদ দাস।
আরও পড়ুন: রাজ আমলের এই মন্দিরের প্রাচীন পুজো এখন জাঁকজমক হীন! তবুও প্রাণের টানেই ভিড় জমান বহু মানুষ
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন স্ত্রীকে পিঠে চাপিয়ে ফালাকাটার মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরিয়ে প্রতিমা দর্শন করালেন তিনি।প্রচন্ড ভিড়কে উপেক্ষা করে ফালাকাটার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন স্ত্রী সুখী দাসকে পিঠে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেন স্বামী বিনোদ দাস।সুখী দাস বলেন, “পাঁচ বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে দুটি পা একদম অকেজ হয়ে যায়। চলাফেরার শক্তি টুকু হারিয়ে ফেলি।পরিণত বয়সে বিনোদ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়। নিজে একা চলাফেরা করতে পারি না। স্বামীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারি। স্বামী আমাকে প্রতিবছর পুজো দেখান।”
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে গুজরাতের চিত্র, ডান্ডিয়া ও গরবা উৎসবে মেতে উঠল হাসিমারা
সুখী দাসের কথায় স্বামীর জন্য দেবী দুর্গার মুখ দর্শন করতে পারছেন তিনি।স্বামীর পিঠে চেপে পুজো দেখতে পেরে তিনি খুব খুশি।
সুখী দাসের স্বামী বিনোদ দাস বলেন, “আমি সব জেনেই আমার স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলাম।প্রতি বছর এভাবে স্ত্রীকে পিঠে চাপিয়ে দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আর পাঁচ জনের মতো দেবী দুর্গার দর্শন করি।”
শুধু পুজো দেখা নয়, স্বামী-স্ত্রীকে সেলফি নিতেও দেখা গিয়েছে মণ্ডপের বাইরে। পাশাপাশি জমিয়ে খাওয়া দাওয়া সারলেন এই দম্পতি।স্বামী স্ত্রীর এই ভালোবাসা দেখে অবাক পুজো দেখতে আসা অন্যান্য দর্শনার্থীরা যারাই তাদের মন্ডপে দেখেছেন।
অনন্যা দে