সাবধান! শরীরে ঢুকলেই বিষ! মাছ কিনতে গিয়ে নিজের 'সর্বনাশ' করছেন না তো? কারণ জানলে শিউরে উঠবেন

Health Tips: সাবধান! শরীরে ঢুকলেই বিষ! মাছ কিনতে গিয়ে নিজের ‘সর্বনাশ’ করছেন না তো? কারণ জানলে শিউরে উঠবেন

পরিছন্নতা এবং জীবাণু মুক্ত সঠিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বরাবরই দিয়ে এসেছেন। রাজ্যে যেমন,স্বাস্থ্য দপ্তর রয়েছে।তেমনি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ‘হেল্থ অ্যান্ড হাইজিন’ রক্ষা করার জন্য সরকারি তরফ থেকে সঠিক প্রকল্প রয়েছে। মূলত ছোট ছোট মাছ ও সবজি বাজার থেকে জীবাণু সংক্রমণ হয় বলে, নানা তথ্য উঠে এসেছে। তার মধ্যে যেমন,মাছের বাজার।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কয়েকটি সরকারি বাজার ছাড়া, মাছের বাজারগুলি অত্যধিক নোংরা পরিবেশের হয়ে থাকে।রাস্তার ড্রেনের ধার থেকে খাল পাড় কিংবা নদীর পাড়ে একেবারে পরিত্যক্ত জায়গাতে মাছের বাজার বসে।যার ফলে মাছির মতো ভয়ানক পতঙ্গ দিন-রাত ঘুরে বেড়ায়।মশা কিংবা মাছের পায়ের মাধ্যমে ভারী পদার্থ থেকে আরম্ভ করে ,নানা প্রকারের টক্সিন মাছের ওপর ছড়িয়ে পড়ে।যা অতি ভয়ানক।

আরও পড়ুন-   শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

গবেষকদের কথায়, মাছি যখন গোটা কিংবা কাটা মাছের ওপর বসে।তখন সেই মাছি থেকে ইকুলাই এবং কলিফর্ম নামে দুটি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে।যার ফলে কলেরা, ডায়ারিয়ার মত রোগের সংক্রমণ ঘটে।গবেষকরা এও জানাচ্ছেন,মাছ যখন গরম তেলে ভাজা হয়,কিংবা সেদ্ধ করা হয়।তখন ১০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপ উৎপন্ন হয়।যার ফলে ইকুলায় এবং কলিফর্ম এর মতো জীবাণু মারা যায়।যার ফলে, কলেরা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

এই বিষয়ে ডা. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘মাছের ওপর মাছি বসলে তার পায়ে ড্রেন থেকে অনেক সময় ভারী মেটাল এবং আফলা টক্সিনের মত ভয়ঙ্কর টক্সিন মাছে মিশে যেতে পারে। এছাড়াও যে সমস্ত জীবাণু ওতে বসে, তার যে মল সেই টক্সিন ১০০° সেন্টিগ্রেডে নষ্ট হয় না।যার ফলে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ও অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা থেকে যায়। বাজারগুলো উপযুক্ত জীবাণুমুক্ত না করলে এবং মশা-মাছি মুক্ত না করলে,এই ধরনের ঝুঁকি থেকে যাবেই।’  তবে বাজার গুলোতে গেলে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছের দোকানদাররা বেশি পরিমাণে মাছি তাড়াতে ব্যস্ত হয়।তবে পরিকল্পিত বাজার আমাদের রাজ্যে খুব কম।ফলেই এই পরিস্থিতি বলে মনে করেন,বিশেষজ্ঞরা।