Tag Archives: Fish Market

Howrah News: সস্তায় ইলিশ-চিংড়ি-ভেটকি, শতাব্দী প্রাচীন বাংলার পাইকারি মাছ বাজার! কোথায় অবস্থিত জানেন?

হাওড়া: বাংলার বিখ্যাত হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজার! কলকাতার যমজ শহর হাওড়া। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় জনবহুল পুরসভা হল হাওড়া পৌরসভা। হাওড়া শহর হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। কলকাতার প্রবেশদ্বার হাওড়া শহর বা রবীন্দ্র সেতুকে বলা হয়। রবীন্দ্র সেতু বা হাওড়া ব্রিজের খুব কাছেই অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন হাওড়া মাছ বাজার।

আরও পড়ুনঃ ভোল পাল্টে ত্বক হবে উজ্জ্বল…! হারানো জেল্লা ফিরে পেতে লাগবে না ১টাকাও! ঘরোয়া ‘জিনিস’ করবে কামাল

কথাতেই রয়েছে মাছ ভাতে বাঙালি, হাওড়া কলকাতা শহর তো বটেই, এমনকী সারা বাংলার মানুষের চাহিদা মত বিভিন্ন মাছের যোগানে অন্যতম ভূমিকা এই বিশাল পাইকারি মাছ বাজারের। এখান থেকে সারা বাংলায় মাছ ছড়িয়ে পড়ে। একইসঙ্গে বাংলার বাইরে এবং বিদেশেও এখন থেকে রফতানি হয় মাছ। এই বাজার ইলিশ, ভেটকি, রুই ,কাতলা, চিংড়ি’র মত বিভিন্ন আকর্ষণীয় মাছের বিশাল সম্ভার।

এই বাজার প্রতিদিন ভোর হলেই কয়েকশো বিক্রেতা মাছের পসরা নিয়ে বসেন। ভোর থেকেই হাওড়া কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতা হাজির হয়। সারা দিনে কয়েক হাজার বিক্রেতা আসেন এই বাজারে। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন পথ, আকাশ পথ এবং সড়ক পথে মাছ আমদানি রফতানি হয়ে থাকে। পাইকারি এই মাছ বাজারের ন্যূনতম ৫ কেজি থেকে বিক্রি শুরু করে কুইন্টাল বা তারও বেশি বেচা কেনা চলে।

সর্বাধিক ক্রেতার ঢল থাকে ভোর থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত। সারা বছর আমদানির উপর মাছের দাম নির্ধারিত হয় বলে জানা গেছে ব্যবসায়ী সূত্রে।বাংলার অন্যতম মাছ বাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মাছের জোগান। ফলে অন্যান্য ক্ষুদ্র বাজারে তুলনায় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে মাছের দামও ন্যায্য বলেই জানা।

রাকেশ মাইতি

Vegetable Price Hike: সাতসকালে তুলকালাম সবজি বাজারে! ক্রেতারা খানিক স্বস্তি পেল

পশ্চিম বর্ধমান: হঠাৎ করেই যেন সকাল সকাল ব্যাগ হাতে বাজারে যাওয়ার নিয়মে ভাটা পড়েছে বাঙালির। কার্যত বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। আগে যে টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেত, এখন সেই টাকায় ব্যাগের অর্ধেকটাও ভর্তি হচ্ছে না। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী বিভিন্ন সবজির দাম। শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলমূল, অথবা মাছ-মাংস সবকিছুর দাম‌ই অত্যন্ত চড়া। আলু, পটল, কুমড়ো, ঢেঁড়সের মতো বাঙালির নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়েছে হু-হু করে। এমন অবস্থায় কী কিনবেন, আর কী কিনবেন না তা ভেবে উঠতে পারছে না মধ্যবিত্ত বাঙালি। নিত্য প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজের ব্যাপক দাম রীতিমত মধ্যবিত্তের হেঁসেলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

আরও পড়ুন: ওদের সব দিয়েছেন ‘দাদু’! এক ছাতার তলায় থেকে মিলছে পড়াশোনার সুযোগ

কিন্তু হঠাৎ কেন এই দাম বৃদ্ধি? মঙ্গলবার‌ই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন টাস্ক ফোর্সকে। এরপরই বুধবার সাতসকালে আসানসোলের সবজি বাজারে হাজির হন মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। ছিলেন পুলিশের বিশেষ বিভাগের কর্তারাও। এছাড়াও মেট্রলজি দফতরের আধিকারিকরা সঙ্গে ছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি মার্কেটে যে দামে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে সেই দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে খুচরো বাজারে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

অতিরিক্ত দাম নিয়ে সমস্ত ক্রেতারাই রীতিমত বিরক্ত। আসানসোলের বাজারে এদিন জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। তাছাড়াও বাঁধাকপি, ঢেঁড়সের দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। যদিও পটলের দাম এদিন বেশ কিছুটা কম ছিল। তবে সামগ্রিকভাবে সবজির অতিরিক্ত দাম দেখে ক্রেতারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে বাজার করাই বন্ধ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে মাছ, মাংসের ছড়া দাম সাধারণ মানুষের পুষ্টিতেও প্রভাব ফেলছে।

পাশাপাশি, এদিন আসানসোলের বাজারে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ওজন মেশিনে গলদ দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে সমস্ত বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স ওজন মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েকজন বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে কেন পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারে দাম এত বেশি হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চান মহকুমাশাসক। অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন বিক্রেতাদের।

নয়ন ঘোষ

Bankura news: রুই, কাতলা, ভেটকি নয় পাতে পড়বে অক্টোপাস! কোথায় মিলবে? জানুন

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় অক্টোপাস। কলকাতার মত এবার বাঁকুড়ার খাদ্যপ্রেমীরা পাবেন অক্টোপাসের স্বাদ। বাঙ্গালীদের সিফুড রসনাতৃপ্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর সাধারণ বাঁকড়ি অর্থাৎ বাঁকুড়াবাসীরাও এখন ওনেকেই স্বাদ উপভোগ করতে চান নানান সিফুডের। কিন্তু সিফুডের বাহারি পদের স্বাদ চেখে দেখার সুযোগ শহর বাঁকুড়ায় এত দিন ছিলই না। এবার আম বাঁকড়ির সাধ্যের মধ্যে সিফুড চেখে দেখার সুযোগ বাঁকুড়া শহরের জুনবেদিয়া – পাঁচবাগা বাইপাসের একটি রেস্টুরেন্টে।

আরও পড়ুনঃ গঙ্গাসাগরে সেতুবন্ধন! শুরু হল মুড়িগঙ্গায় সেতু তৈরির প্রক্রিয়া 

থাকছে অক্টোপাসের নানান পদের সম্ভার এবং স্কুইড, ক্রাব, লবস্টার, অয়েস্টারের পাশাপাশি, পমফ্রেট, টুনার মত সামুদ্রিক মাছেরও বাহারি থালি থাকছে থরেথরে। সিফুড শুধুই নিমিত্ত মাত্র। যারা অক্টোপাস ভয় পান তাঁদের জন্য রয়েছে ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, তন্দুর, মোগলাই, কন্টিনেন্টাল, সাউথ ইন্ডিয়ান, নর্থ ইন্ডিয়ানের পাশাপাশি, ট্রাডিশনাল বাঙ্গালী-পদ সহ সব ধরনের ডিশ।

স্টার্টারে থাকছে বেশ কিছু ইউনিক আইটেমও। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে মিলছে সাউথ ইন্ডিয়ান ব্রেকফাস্ট।যার দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৭০ টাকা থেকে। পুজো আসতে আর ১০০ দিনের কম অপেক্ষা। তার আগেই যেন বাঁকুড়া শহরে হুর হুর করে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন স্বাদের ঠিকানা।

রুই, ইলিশ, কাতলা এবং ভেটকি নয় এবার পাতে পড়বে আট পায়া অক্টোপাস। সেই সুযোগই এবার মিলছে বাঁকুড়ার বুকে। চেখে দেখতেই পারেন, হয়তনতুন কোনও প্রিয় খাবার খুঁজে পাবেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Colour Fish Market: সবচেয়ে বড় রঙিন মাছের বাজার, দ্রুত বদলে যাচ্ছে এখানকার অর্থনীতি

হাওড়া: প্রতিদিন হাওড়া শহর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে রঙিন মাছ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চরম ব্যস্ততা চলে দাশনগর সিটিআই রোড সংলগ্ন এলাকায়। প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটলেই কয়েক হাজার মানুষ হাত লাগায় রঙিন মাছ প্যাকিং-এর কাজে। গত কয়েক বছরে এলাকায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে রঙিন মাছের ব্যবসা।

আগে হাতে গোনা কয়েকজন এই রঙিন মাছ ব্যবসায় যুক্ত ছিল। অল্প দিনে এই ব্যবসা লাভের মুখ দেখে। পরর্বতী সময়ে বহু মানুষ রঙিন মাছের ব্যবসায় যুক্তি হয়। দাশনগর সিটিআই এলাকায় বেশ কিছু রঙিন মাছের দোকান গড়ে উঠেছে। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশী, ছোট-বড় নানা সাইজের মাছ দেশের বিভিন্ন শহরে এমনকি দেশের বাইরেও পৌঁছে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত রঙিন মাছ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামাঞ্চলের পুকুরে চাষ করেন চাষিরা। শহরের ব্যবসায়ীদের অর্ডার মত চাষিরা শহরে মাছ নিয়ে হাজির হন।

আর‌ও পড়ুন: বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ করলেন বিদ্যুৎ কর্মীরা

রঙিন মাছের এই ব্যবসা প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১০ বছরে দারুনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এই ব্যবসা। এখানে ১ টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত এক একটি মাছ পাওয়া যায়। কিছু মাছ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ফোনে অর্ডার আসে, সেই মত দেশের বিভিন্ন শহরে ট্রেন ও প্লেনে পাঠানো হয়। দিল্লি ও মুম্বই থেকে সবচেয়ে বেশি মাছ সাপ্লাই হয়।

রাকেশ মাইতি