স্ত্রীর হাত থেকে দায়িত্ব বুঝে নিলেন স্বামী; হিমাচলের এসপি অফিসে বিরল দৃশ্য

IPS Transfer: স্ত্রীর হাত থেকে দায়িত্ব বুঝে নিলেন স্বামী; হিমাচলের এসপি অফিসে বিরল দৃশ্য

মন্ডি, হিমাচল প্রদেশ: স্বামী-স্ত্রী একই পদে কর্মরত। এমন উদাহরণ হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু একে অন্যের হাতে দায়িত্বভার তুলে দিচ্ছেন! শুধু দেশে কেন, গোটা বিশ্বেই এমন নজির প্রায় নেই বললেই চলে। হিমাচল প্রদেশে ঠিক সেটাই ঘটল। আইপিএস সাক্ষী ভার্মা তাঁর আইপিএস স্বামী ড. কার্তিকেয়ন গোকুলচন্দ্রনকে দায়িত্ব হস্তান্তর করলেন। গোটা দেশ অবাক হয়ে দেখল সেই দৃশ্য।

দায়িত্ব হস্তান্তরের সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যাচ্ছে, দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পর এসপি অফিসে হাত মেলাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। দুজনেরই পরণে খাকি উর্দি। মুখে হাসি। ভাইরাল ছবিতে দম্পতিকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। লিখেছেন, ‘অনেক অভিনন্দন। এভাবেই এগিয়ে যান। দেশের সেবা করুন। জয় হিন্দ।’

আরও পড়ুন– শোলে-র বাজেট ছিল ৩ কোটি টাকা, কিন্তু অভিনেতারা কত নিয়েছিলেন? বিশেষ করে জয়ার পারিশ্রমিক শুনলে হাসি পেয়ে যাবে

সম্প্রতি আইপিএস অফিসারদের একাধিক জায়গায় বদলি করেছে হিমাচল সরকার। তার মধ্যে এই দম্পতির বদলির আদেশও ছিল। ড. কার্তিকেয়ন গোকুলচন্দ্রন বিলাসপুরের এসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর স্ত্রী সাক্ষী ভার্মা ছিলেন কুল্লুর এসপি। সরকার কার্তিকেয়নকে কুল্লুর এসপি করে পাঠিয়েছে। সাক্ষীকে বদলি করা হয়েছে মান্ডিতে।

আরও পড়ুন– পুলিশের ইউনিফর্মে ছিনতাই ! দুর্বৃত্তকে হাতেনাতে ধরতেই ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য

শুক্রবার ড. কার্তিকেয়ান গোকুলচন্দ্রন কুল্লুতে পৌঁছন। সোজা চলে যান এসপি অফিসে। সেখান স্ত্রী সাক্ষী ভার্মার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। তারপর স্ত্রী সাক্ষীকে নিয়ে রওনা দেন মান্ডি। সেখানে স্বামীর উপস্থিতিতে মান্ডির এসপি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাক্ষী। এখন পাশের দুই জেলার দায়িত্ব সামলাবেন এই দম্পতি। প্রসঙ্গত, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ২০১৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। কুল্লুর আগে সাক্ষী ভার্মা কিন্নরের এসপি-র দায়িত্বে ছিলেন। সিমলার এসপি হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। কাজ করেছেন সুন্দরনগরের প্রবেশন অফিসার হিসেবেও।

অন্য দিকে, ড. কার্তিকেয়ন গোকুলচন্দ্রন ছিলেন কেরল ক্যাডারের অফিসার। পরে তিনি হিমাচল ক্যাডার বেছে নেন। তিনি বিলাসপুরের আগে উনা এবং হামিরপুরের এসপি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়া মান্ডিতে এসপি ভিজিল্যান্স পদেও ছিলেন। বলে রাখা ভাল, কার্তিকেয়ন পাঁচ বছর কেরল ক্যাডারে ছিলেন। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত হিমাচল ক্যাডার হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন।