হাওড়া: এবার বাড়ি তৈরিতে আমূল পরিবর্তন! রঙ বা প্লাস্টার ছাড়া সখের বাড়ি সুন্দর হবে কমবে খরচে। আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত মানের ইট তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়। যা বাড়ির সৌখিন ডিজাইন এবং সৌন্দর্য বাড়াবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে আর কিছুদিনের মধ্যেই ইট দিয়ে বাড়ি তৈরি করে প্লাস্টার বা রঙ করতে হবে না। সখের বাড়ি ইট দিয়ে গেঁথে তুলতে পারলেই কেল্লাফতে।
বাড়ি তৈরির পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না মানুষকে। প্রয়োজন নেই প্লাস্টার বা বাড়ি রঙ করার। এমনটাই জানাচ্ছেন হাওড়া শ্যামপুরের ইট কোম্পানি। এই নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি বাড়ি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলবে। এমনই তাজ্জব ইট তৈরি হতে চলেছে হাওড়ার শ্যামপুরে। হাওড়ার শ্যামপুর এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো অনেকটাই নির্ভর ইট শিল্পের উপর।
আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাস, বন্ধ হয়ে গেল তারাতলার ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা
কিন্তু বর্তমানে ইট শিল্পে মন্দা, এমনটাই অভিমত ইট শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মালিক ও শ্রমিক পক্ষের। কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কয়লার দাম বৃদ্ধি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একাধিক বিধি নিষেধের বেড়াজাল এবং ছাই দিয়ে তৈরি ইটের বাজারীকরণ। এর ফলে মাটির তৈরি ইটের চাহিদা অনেকটাই কমেছে। এখান থেকেই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছেন ইটভাটা মালিকরা। ইট পরীক্ষা মূলক ভাবে অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা ছাড়াও, ইটের বিভিন্ন ধরনের সাইজ বাজারে আনছে শ্যামপুরের বেশ কয়েকজন ইটভাটার মালিক।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন বিদেশের হোটেল-রুম থেকে বেরোননি সারা-সুশান্ত, আজও সুশান্তের জন্য কাঁদেন সারা! কেন?
এ রাজ্যে সাধারণত ১০ ইঞ্চি লম্বা ৫ ইঞ্চি চওড়া এবং তিন ইঞ্চি উচ্চতার ইট বিক্রি হয়। কিন্তু নির্মাণের সময় কখনও কখনও ইট দিয়ে তৈরি নকশার সময় এই মাপের ইট কেটে নষ্ট করা হয়। সে দিক নজর রেখে বাজারে এবার বিভিন্ন সাইজের ইট আসতে চলেছে। শ্যামপুরের শিবগঞ্জ এক ইট ভাটার কর্তা তন্ময় শী জানান, ” ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যে গিয়ে বেঙ্গল ব্রিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আপাতত আমাদের ইট ভাটায় ১২\”/৫\”/২\”,৮\”/৪\”/৪\”,১০\”/৪\”/২\” মাপের ইট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ইটগুলি বাজারে আনতে পারলে উপভোক্তা বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগবে। ইটের ব্যবহার ও যথাযথ হবে।’
হাওড়ার শ্যামপুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে উৎপাদিত হতে চলেছে রঙিন ইট। যা ব্যবহার করলে দেওয়ালে যেমন প্লাস্টার করতে হবে না, তেমনই লাগবে না রঙ করতেও। উন্নত মানের ইট ব্যবহার করে বাড়ি তৈরিতে খরচ কমবে। ফলে এই আধুনিক প্রযুক্তির ইট বাড়ি তৈরির জন্য জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করছেন সকলে।
রাকেশ মাইতি