জলের তলায় দোতলা বাড়ি

Hooghly news: বানভাসি হুগলি জেলা! জলের তলায় একাধিক গ্রাম, ডিভিসির বিরুদ্ধে তোপ মন্ত্রীর

হুগলি: ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে ভাসছে হুগলি। বানভাসি হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া থেকে তারকেশ্বর ও আরামবাগের বড় অংশ। দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ন ও দারকেশ্বর এই চার নদীর জলস্তর বিপদ সীমা ছাড়িয়ে বইছে গ্রামের উপর দিয়ে। ফলে ঘর ছাড়া প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ।

সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হুগলির আরামবাগ সাব ডিভিশন। খানাকুল ১ ও ২ ব্লকের মোট তেইশটি গ্রাম পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে গিয়েছে। আরামবাগ শহরের ৮টি পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ জলমগ্ন, চারটি পঞ্চায়েত আংশিক জলমগ্ন।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ ঘটনা বসিরহাটে, গ্যারেজের ভাড়া না দেওয়ায় যুবককে পিটিয়ে খুন

পুড়শুড়া এলাকার মোট ছয়টি পঞ্চায়েত  এখনও জলের তলায়। গোঘাট এক এলাকায় ৪ টি পঞ্চায়েত ও গোঘাট ২ এর ২ টি পঞ্চায়েত বানভাসির কবলে। জাঙ্গিপাড়া এলাকার তিনটি পঞ্চায়েতও ডিভিসির জলে ভেসে গিয়েছে৷

আরও পড়ুন: ‘ফল ভুগতে হবে’…পেজারের পর ওয়াকি-টকি, পর পর বিস্ফোরণের পর হুঙ্কার হিজবুল্লার,হামলার নেপথ্যে কী ইজরায়েল? ভাইরাল ভিডিও

অন্যদিকে তারকেশ্বরের চারটি পঞ্চায়েতও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে এই মুহূর্তে। বুধবারের পাওয়া আপডেট অনুযায়ী মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। জেলা জুড়ে ১৩৭টি প্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এরপরেও এখনও বহু মানুষ রয়েছেন গৃহহীন।

মনে করা হচ্ছে মোট গৃহহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। পর্যাপ্ত পরিমাণের পানীয় জল ও খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।

সেচ দফতরের সূত্র অনুযায়ী, প্রায় আড়াই লক্ষ কিউসেক জল বইছে দামোদরের উপর দিয়ে। দামোদর দারকেশ্বর রূপনারায়ণ কংসাবতী-সহ একাধিক নদী বিপদ সীমার চেয়ে প্রায় দেড় মিটার উপর দিয়ে বইছে। যার ফলে বিভিন্ন বাঁধে ভাঙন ধরছে। জানা যাচ্ছে, ডিভিসির জল ছাড়ার ফলেই অতিরিক্ত জলের চাপে ভেঙেছে সমস্ত নদী বাঁধ!

পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে জানান, ডিভিসি পরিকল্পনা করে মাঝে-মাঝে  যদি জল ছাড়া হয় তাহলে এইভাবে প্লাবিত হয় না৷ তিনি আরও বলেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অনেকবার ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন যে খেপে খেপে বা ধীরে ধীরে জল ছাড়তে, কিন্তু ডিভিসি কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কর্ণপাত করেনি। যেভাবে ডিভিসি জল ছাড়ছে নতুন করে অনেক গ্রামই প্লাবিত হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।’’

এ বিষয়ে কৃষি ও বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না  অভিযোগ করেছেন, ডিভিসি  আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার দাবী করলেও তাঁদের অনুমান সেই পরিমাণটা সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ কিউসেক।

সেই কারণেই বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেচারাম মান্না আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, দুর্গত মানুষদের সব রকম সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

রাহী হালদার