জলমগ্ন বীরভূম এর লাভপুর

Birbhum Flood Situation: নদীবাঁধ ভেঙে বানভাসি বীরভূমের ১৫ টি গ্রাম, অসংখ্য গৃহহীনের আশ্রয় এখন অস্থায়ী শিবির

সৌভিক রায়, বীরভূম: দেড় মাস কাটতে না কাটতেই আবারও বিপত্তি।বীরভূমের লাভপুরের বলরামপুর গ্রামের ডোমপাড়ার কাছে কুয়ে বাঁধ ভেঙে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলরামপুর গ্রাম। বাঁধ ভাঙার ফলে জলমগ্ন রামঘাঁটি, কান্দরকুলা, জয়চন্দ্রপুর, হরিপুর-সহ মোট ১৫টি গ্রাম।সেই খবর পেয়েই আসেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।কীর্ণাহার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করেন।

নদীর জল গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করায় জল বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রামে।অধিকাংশ মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে।গ্রামে প্রচুর পরিমাণে জল থাকার কারণে স্পিড বোটে চেপে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চালানো হয়। মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণে ছেদ পড়লেও এলাকার মানুষ কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে অথবা স্থানীয় স্কুল ঘরে। গ্রামের বাসিন্দারা জানান ‘‘আচমকা বলরামপুর ও কাঁদরকুলা গ্রামে ধারে থাকা কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকতে থাকে গ্রামে। আমরা দ্রুত ছেলেপুলে নিয়ে পালিয়ে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়েছি।বাড়ির সমস্ত আসবাসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।’’

জলের স্রোত এখনও সমান তীব্রতায় বইছে এলাকায়।সব চেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা হয়েছে বিস্তীর্ণ চাষ জমি জলের তলায়।জানা যায়, তিন দিনে প্রায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে বীরভূমে।লাভপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম জুড়ে বৃষ্টির ফলে হাহাকারের ছবিই ভেসে উঠেছে।প্রশাসনের তরফে এলাকার স্কুলে অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে।খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ঠিক কতগুলো রুটির সঙ্গে কতটা ডাল তরকারি খেলে ভুলেও হবেন না মোটা? থাকবেন সুস্থ ও রোগমুক্ত? জানুন

অন্যদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর লাভপুরের বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক জানিয়েছেন, ‘‘বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।খাবার ও পলিথিনের ত্রিপল ব্যবস্থা করা হয়েছে।মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।’’

লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা জানান, ‘‘কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে মানুষ খুব সমস্যায়। জেলা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন, ও থানার পুলিশের সহযোগিতায় গ্রামের মানুষদের উদ্ধার করে একটি স্কুলে রাখা হয়েছে। তাঁদের খাওয়া- দাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ তবে সব মিলিয়ে পুজোর আগে লাগাতার দুইবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবার কারণে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে ১৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের।