পাণ্ডুয়ায় মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরের

Hooghly News: গরমের ছুটিতে মামারবাড়ি বেড়াতে এসে সব শেষ…! পাণ্ডুয়ায় মর্মান্তিক পরিণতি ১১-র কিশোরের

হুগলি: “তাই তাই তাই মামার বাড়ি যাই, মামার বাড়ি ভারি মজা কিল চর নাই।” এহেন আদর-আহ্লাদের জায়গা, প্রতিটি শিশুর মনের খুব কাছাকাছি থাকা জায়গা সেই মামারবাড়ি এলাকায় যে রীতিমতো বোমা থাকতে পারে, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি রাজ বিশ্বাসের পরিবার। ভয়াবহ ঘটনায় ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে কার্যত বিহ্ববল রাজের মা। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ছেন বার বার। পান্ডুয়ার গোটা গ্রাম যেন ঢেকে রেখেছে দুঃস্বপ্নের কালো মেঘ।

বয়স মাত্র ১১ বছর। বাড়ি বর্ধমান জেলার পাল্লা রোড এলাকায়। স্কুলের গরমের ছুটি পড়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ছোট্ট ছেলে রাজ বিশ্বাস। মাত্র ১১ বছর বয়সে তার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি গোল বলের মতন দেখতে বস্তুটি তাদের খেলার নয়, ভয়ঙ্কর কিছু। স্কুলে হয়তো কাগজ জুড়ে জুড়ে গার্ডার দিয়ে বল বানিয়ে খেলেছে সহপাঠীদের সঙ্গে। সেভাবেই পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা গোল বস্তুটিকে বল ভেবেই তা নিয়ে খেলতে গিয়ে ঘটিয়ে ফেলেছে জীবনের সবথেকে বড় ভুল। বোমার বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেল সব কিছু।

আরও পড়ুন: পাণ্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কিশোরের! গুরুতর জখম আরও দুই, অভিষেকের সভার আগেই বিপত্তি

মামার বাড়িতে সপ্তাহখানেক আগে, মামা মামির সঙ্গে ঘুরতে এসেছিল ছোট্ট রাজ বিশ্বাস। মামার বাড়িতে এসে সঙ্গী হয়েছিল দুজন, একজন রূপম বল্লভ ও অন্যজন সৌরভ চৌধুরী। সোমবার সকালে নিজেদের মতো খেলতে খেলতে তারা চলে এসেছিল পুকুর পাড়ে। পুকুর পাড়ে গাছের ছায়ায় বসে একসঙ্গে কত দিন তাঁরা মাছ ধরেছিল। কত মজা কত আনন্দ ছিল সেই পুকুর পড়ে। তবে এখন সেখানে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত।

বোমার বিস্ফোরণে না ফেরায় দেশে চলে গিয়েছে রাজ। তার দুই বন্ধুর ভবিষ্যৎ কি তা নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছে বাকিদের পরিবার। একজনের একটি পা হাটু থেকে বাদ চলে গিয়েছে বিস্ফোরণে। অন্যজনের একদিকের হাত নেই। তবে এর জন্য দায়ী কারা? ছোট্ট তিন কিশোরের দোষ তারা চিনত না কোনটা বল আর কোনটা বোমা। আর যারা এই বোমা মজুত করে রেখেছিল তাদের কি হবে? কারাই বা এই বোমা সেখানে রেখে গিয়েছিল? গোটা ঘটনায় পিছনে দায় কার?এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

রাহী হালদার