ভূতচতুর্দশীতে বেগুনকোদর

Horror Station: ভূতচতুর্দশীর ভুতুড়ে দুপুরে আজও গা ছমছম? কী ঘটেছিল বাংলার এই স্টেশনে? সত্যি জানলে হাড়হিম হয়ে যাবে!

পুরুলিয়া : ভুতুড়ে রেল স্টেশনে ভূতচতুর্দশীর দিন হয় কি ভূতের উপদ্রব? ভূতের নাম শুনলে গা টা কেমন ছমছম করে ওঠে তাই না। আর তা যদি হয় ভুতুড়ে কোনও রেলস্টেশন তাহলে তো হাড়হিম হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিতর্কিত একটি স্টেশন পুরুলিয়ার বেগুনকোদর।

দীর্ঘদিন হন্টেড রেলস্টেশন হিসেবে সবারই কাছে পরিচিত ছিল এই রেলস্টেশন। ভুতুড়ে উপদ্রবের কথা বিভিন্নভাবে প্রচারিত হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই রেল স্টেশনে ট্রেন চলাচল। তবে বিজ্ঞানের এ যুগে দাঁড়িয়ে ৫৭ বছর আগের তৈরি হওয়া ভূতের রহস্য ফাঁস করেছে বিজ্ঞান মঞ্চ।

আরও পড়ুন: ১ ফোঁটাও বাড়বে না সুগার…! ডায়াবেটিসে মনের সুখে খান ‘এই’ মিষ্টি! উৎসবের মরশুমে থাকুন বিন্দাস

আর তারপর থেকেই সকলের কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এই স্টেশনে ভূতের কোনও অস্তিত্ব নেই। সবটাই গুজব। তবে ভূত চতুর্দশীর দিন কেমন রয়েছে বেগুনকোদর স্টেশন। এ বিষয়ে এলাকারই বাসিন্দা পরমেশ্বর কুমার বলেন , তথাকালীন সময় স্টেশন মাস্টার একটি গুজব ছড়িয়ে ছিলেন সেটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তবে বর্তমানে এই স্টেশনের অনেকখানি পরিবর্তন হয়েছে। ‌ ভূতের কোনও অস্তিত্ব নেই এখানে।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত হুঁশিয়ারি…! ১৭ রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা, কী হবে বাংলায়? বিরাট আপডেট দিয়ে দিল IMD

এ বিষয়ে ঝালদা দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষকানাই কুমার বলেন , এই স্টেশনের বর্তমানে অনেকটাই পরিবর্তন হলেও। বিরাট উন্নতি হয়ে যায়নি।। এই স্টেশনে আরও ট্রেনের স্টপেজের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত আলো ও পানীয় জল ছাড়াও স্টেশনের সংযোগ রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন। বিষয়টি আমরা রেল দফতরকে জানাব।

দীর্ঘ ৫৭ বছরের ভুতুড়ে আতঙ্ক কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বেগুনকোদর স্টেশন। স্টেশন মাস্টার বৈদ্যনাথ সরকারের তৈরি করা ভূতের গল্পের প্রচারে এই স্টেশন হন্টেড রেলস্টেশন হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে দাঁড়িয়ে সে সব রহস্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এই স্টেশনে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এলাকার মানুষেরা ও রেল যাত্রীরা নির্দ্বিধায় চলাফেরা করছেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে। তাই ভূত চতুর্দশীর দিনেও ভূতের দেখা মিলল না বেগুনকোদরে।

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়