ইঞ্জিনের দ্রুত শাটডাউন: কিল সুইচের মূল উদ্দেশ্য হল দ্রুত এবং নিরাপদে ইঞ্জিন বন্ধ করা। এটি বিশেষভাবে উপযোগী যখন হঠাৎ বাইক বন্ধ করার প্রয়োজন হয়, যেমন জরুরি অবস্থায়, যখন দ্রুত ইঞ্জিন বন্ধ করার প্রয়োজন হয়। নিরাপত্তা: কিল সুইচ ব্যবহার করে পার্কিং করার সময় নিজেদের বাইকটিকে নিরাপদ রাখা যেতে পারে। কিল সুইচ অফ পজিশনে থাকলে বাইক চালু করা চোরদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ তারা জানে না কীভাবে এটি চালু করতে হয়।

কত দিন পর পর বাইক সার্ভিসিং করাতে হয়? দু’চাকা চালালেও অনেকেই জানেন না!

কলকাতা: সঠিক সময়ে বাইক সার্ভিসিং না করলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাইক সার্ভিসিং করার সঠিক সময় জানে না। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা বলতে যাচ্ছি কত দিনে বাইকটি সার্ভিসিং করা উচিত। বাইক সার্ভিসিং করার সময় অনেক কারণের উপর নির্ভর করতে হয়, যেমন –

– এটা কী ধরনের বাইক: স্কুটার, মোটরসাইকেল না অন্য কিছু।

– ইঞ্জিন ক্ষমতা (CC): ১০০cc, ১৫০cc, না কি তার বেশি।

– কত ঘন ঘন বাইক চালানো হয়: প্রতিদিন, সপ্তাহে কয়েকবার বা মাসে একবার।

– কোন ধরনের রাস্তায় বাইক চালানো হয়: শহরে, হাইওয়েতে বা অফ-রোডে।

আরও পড়ুন- গাড়ির উইন্ডশিল্ডে FASTag লাগাতে চাইছেন না অনেকেই, রয়েছে কোনও ভুল ধারণা?

নতুন বাইক –

– প্রথম ৫০০ কিলোমিটারের পর প্রথম সার্ভিসিং করা উচিত।

– এর পরে, প্রতি ৩ মাস বা ৩০০০ কিলোমিটারে এর সার্ভিসিং করা উচিত।

পুরনো বাইক –

– প্রতি ৩-৪ মাস বা ২০০০-৩০০০ কিলোমিটারে সার্ভিসিং করা উচিত।

বেশি ব্যবহারের বাইক –

– প্রতি ২-৩ মাস বা ১৫০০-২০০০ কিলোমিটারে সার্ভিসিং করা উচিত।

এগুলি ছাড়াও, নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতেও মনোযোগ দিতে হবে –

– কেউ যদি বাইক কম চালান: এটি ৪-৬ মাসে একবার সার্ভিসিং করা উচিত।

আরও পড়ুন- বাজ পড়ার সময় ফোন চার্জে? পুড়ে যাবে না তো? বর্ষায় ফোন ভাল রাখার টিপস

– কেউ যদি কঠোর পরিস্থিতিতে বাইক চালান – আরও ঘন ঘন সার্ভিসিং প্রয়োজন হবে।

– কেউ যদি বাইকের কোনও ত্রুটি লক্ষ্য করেন: অবিলম্বে এর সার্ভিসিং করা উচিত।

– একটি ভুল ধারণা থাকতে পারে যে, শুধুমাত্র কিলোমিটার সার্ভিসিং নির্ধারণ করে।

– এটা সত্য যে কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার মাধ্যমে সবকিছু নির্ধারণ করা ঠিক নয়।

– বাইকের অবস্থা এবং কীভাবে তা ব্যবহার করা হবে, তা জানতে হবে।

এখানে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা হলে বাইকের সার্ভিসিং করতে হবে –

ইঞ্জিনের আওয়াজ: যদি কারও বাইকের ইঞ্জিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আওয়াজ করে, তবে এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে বাইকের তেল পরিবর্তন বা অন্যান্য মেরামতের প্রয়োজন।

কম জ্বালানি দক্ষতা: যদি কারও বাইক আগের তুলনায় কম মাইলেজ দেয়, তবে এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে বাইকের এয়ার ফিল্টার প্রতিস্থাপন করতে হবে বা অন্যান্য মেরামত করতে হবে।

দুর্বল হ্যান্ডলিং: যদি বাইকটি পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে, তবে এটি টায়ারের চাপ, ব্রেক বা সাসপেনশনের সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

অন্যান্য সমস্যা: কেউ যদি নিজেদের বাইকের সঙ্গে অন্য কোনও সমস্যা, যেমন লিক লক্ষ্য করেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন মেকানিকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।

বাইকের সার্ভিসিং সম্পন্ন করতে নিম্নলিখিত বিকল্পগুলির মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নেওয়া যেতে পারে –

অনুমোদিত পরিষেবা কেন্দ্র: এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হতে পারে, তবে এখানে দক্ষ মেকানিক এবং উচ্চ মানের খুচরো যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবে।

স্থানীয় গ্যারেজ: এই বিকল্পটি আরও সাশ্রয়ী হতে পারে, তবে নিশ্চিত করতে হবে যে মেকানিক অভিজ্ঞ এবং বিশ্বস্ত।

নিজের বাইক পরিচর্যা করা: কেউ যদি প্রযুক্তিগতভাবে সচেতন হয়, তবে কিছু মৌলিক সার্ভিসিং নিজেই করতে পারেন। যাই হোক, জটিল মেরামতির জন্য সবসময় একজন মেকানিককে কল করা উচিত।