বাইক আছে আপনার? কতদিন আর কত কিমি পর সার্ভিস করান? জেনে নিন নিয়ম কী!

কলকাতা: বাইকের নিয়মিত সার্ভিসিং করানো জরুরি। না হলে নানা সমস্যা হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, কতদিন বা কত কিলোমিটার চালানোর পর বাইকের সার্ভিসিং করানো উচিত?

এর কোনও বাঁধাধরা সময় নেই। এটা নির্ভর করে বাইকের মডেল এবং চালক কীভাবে ব্যবহার করেন, তার উপর। তবে বাইক সার্ভিসিংকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

আরও পড়ুন- হাসপাতালের নার্সে মুগ্ধ, প্রেমপত্রে এমন কী লিখলেন যুবক, ধরা পড়ল পুলিশের হাতে

প্রথম সার্ভিসিং: প্রথম সার্ভিসিং হয় ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে। অর্থাৎ নতুন বাইক ৩০০ কিলোমিটার চালানোর পর সার্ভিসিং করিয়ে নিতে হবে।

এই সময় বাইকের ইঞ্জিন, ব্রেক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ঠিক মতো কাজ করছে কি না দেখা হয়। কোনও সমস্যা থাকলে সারিয়ে দেন মেকানিক।

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সার্ভিসিং: প্রথম সার্ভিসিংয়ের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সার্ভিসিং করাতে হবে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে। এই সময় সবার আগে ইঞ্জিন অয়েল বদলানো হয়। চেইন লুব্রিকেশনের কাজ হয়। সঙ্গে দেখা হয় ব্রেক এবং ক্লাচ ঠিক মতো কাজ করছে কি না।

নিয়মিত সার্ভিসিং: ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালানোর পর একবার অবশ্যই সার্ভিসিং করাতে হয়। একে রেগুলার সার্ভিসিং বলে। এতে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন, এয়ার ফিল্টার পরিস্কার, টায়ারের চাপ এবং ব্রেক কাজ করছে কি না দেখা হয়।

আরও পড়ুন- খুদে ‘সেলিব্রিটি’ পড়ুয়া, রাতারাতি ভাইরাল রাজদীপের ভিডিও আপনিও দেখুন

বছরে একবার: অনেকেই নিয়মিত বাইক চালান না। তারপরেও বছরে একবার সার্ভিসিং করানো উচিত। এতে বাইক ভাল থাকে। মাথায় রাখতে হবে, বাইক কিনলে সার্ভিসিং করাতেই হবে। চালকের নিরাপত্তার জন্য এটা জরুরি। এর সঙ্গে কয়েকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে।

ইঞ্জিন অয়েল: নির্দিষ্ট সময় অন্তর ইঞ্জিন অয়েল পাল্টানো উচিত। নাহলে ইঞ্জিনের শক্তি কমে যায়। পুরনো ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে।

সার্ভিস ম্যানুয়াল: সব সময় সার্ভিস ম্যানুয়াল মেনে চলা উচিত। সেটা সার্ভিসিং হোক বা অন্য কোনও সময়। তবেই বাইক ঠিক থাকবে। সঠিক সময়ে সার্ভিসিং করালে বাইকের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়। পারফরম্যান্স ভাল থাকে।