Tag Archives: Motorcycle

বাইক থামাতে আগে ক্লাচ চাপবেন নাকি ব্রেক? ৯৯% মানুষ সঠিক পদ্ধতি জানেন না, বড় ভুল করেন

কলকাতা: ভারতে বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াতের জন্য টু-হুইলার ব্যবহার করেন। বাইকে ভ্রমণ করা শুধু সহজ নয়, লাভজনকও। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন বাইক ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই চালানোর সঠিক পদ্ধতি জানেন না। যার কারণে তারা প্রায়ই ভুল করে দুর্ঘটনার শিকার হন।

অনেকেরই বাইকের ব্রেকিং সম্পর্কে ভাল ধারণা নেই। কীভাবে বাইক থামাতে ব্রেক চাপতে হয়, কখন ক্লাচ চাপতে হয় বা কখন ব্রেক ও ক্লাচ একসঙ্গে চাপতে হবে, অনেকেই এই ধরনের বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে ভুল করতে থাকেন। আজ আমরা বলব, বাইকের ব্রেক এবং ক্লাচ ব্যবহারের কিছু পদ্ধতি…

আরও পড়ুন- এসি কেন সাদা রঙের হয়? রয়েছে বিশেষ একটি কারণ, বাড়িতে AC থাকলে জেনে নিন

যদি হঠাৎ ব্রেক করার পরিস্থিতি হয়, তাহলে ক্লাচ এবং ব্রেক দুটোই একই সাথে চাপা যেতে পারে। ক্লাচ এবং ব্রেক সাধারণত জরুরী পরিস্থিতিতে একসাথে ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি বাইকের যান্ত্রিক অংশগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে ব্রেক প্রয়োগ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তবে হঠাৎ ব্রেক লাগানোর সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

বাইকটি বেশি গতিতে হলে প্রথমে ব্রেক চাপা ভাল। তার পর যদি আপনি মনে করেন, আপনাকে বাইক থামাতে হবে বা বাইকের গতি বর্তমান গিয়ারের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে (যেটিতে আপনি চলছেন), তা হলে আপনাকে ক্লাচ টিপতে হবে আগে। এর পর গিয়ারে কমাতে হবে। এটা না করলে বাইক বন্ধ হয়ে যাবে।

আপনি যদি স্বাভাবিক গতিতে বাইক চালান এবং আপনি মনে করেন যে বাইকটি একটু ব্রেক করা দরকার, তাহলে শুধু ব্রেক চাপলেই কাজটি হবে। এর জন্য ক্লাচ ব্যবহার করার দরকার নেই। ব্রেক শুধুমাত্র বাইকের গতি কমাতে বা রাস্তায় ছোটখাটো গর্ত, স্পিড ব্রেকার এড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন- স্প্লিট এসি কতদিন ভালভাবে চলে? AC তো কিনছেন, এই মেশিনের গড় আয়ু কত জানেন কি?

আপনি যদি কম গতিতে বাইক চালান এবং হঠাৎ ব্রেক কষতে হয়, তবে প্রথমে ক্লাচ টিপুন। কারণ আগে ব্রেক চাপলে বাইক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি সাধারণত দ্বিতীয় গিয়ারে চালানোর সময় করা যেতে পারে।

বলুন তো বাইকের ডিস্ক ব্রেকে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে কেন? রয়েছে বড় একটা কারণ

কলকাতা: সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে মোটরবাইকে প্রথম ডিস্ক ব্রেক লাগানো হয়। এখন তো খুবই সাধারণ ব্যাপার। বাইক কেনার সময়ই ক্রেতা দেখে নেন ডিস্ক ব্রেক আছে কি না। কিন্তু ডিস্ক ব্রেক জুড়ে ছোট ছোট গর্ত বা ছিদ্র কেন থাকে, সেটা অনেকেই জানেন না।

একনজরে দেখলে মনে হবে ডিজাইনের নান্দনিকতা বৃদ্ধির জন্যই বোধহয় ছিদ্রগুলো রাখা হয়েছে। কিন্তু আদতে ব্রেকিং ক্ষমতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধিই এর আসল উদ্দেশ্য। ডিস্ক ব্রেকের ছোট ছোট গর্ত কী গুরুত্ব বহন করে দেখে নেওয়া যাক।

উন্নত বায়ুপ্রবাহ: ব্রেক করলে ব্রেক প্যাড এবং ডিস্কের মধ্যে ঘর্ষণে তাপ উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই তাপ বের করে দিতে হবে। তাই ডিস্ক ব্রেকে ছোট ছোট গর্ত রাখা হয়েছে। যাতে এর মধ্যে দিয়ে বায়ুপ্রবাহ বজায় থাকে। এটা ব্রেকিং সিস্টেমকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ফলে ব্রেক ফেইলিওরের ঝুঁকি কমে। ডিস্ক ব্রেকের ছিদ্রগুলি মূলত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।

আরও পড়ুন- PAN কার্ড হারালেও চিন্তা নেই! অনলাইনে ডুপ্লিকেট কার্ড পাবেন ‘এভাবে’

ময়লা পরিস্কার: ডিস্ক এবং ব্রেক প্যাডে জল এবং ময়লা জমে। বিশেষ করে ভেজা অবস্থায়। এতে ব্রেকিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডিস্কের ছিদ্রগুলি জল নিষ্কাশন করতে এবং ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, ব্রেকিং সিস্টেমের সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে।

শুধু তাই নয়, ব্রেক প্যাড নীচে নামালে ছোট ছোট কণা ডিস্কে ঢুকে যেতে পারে। এই ছিদ্র সেই কণা অপসারণে সাহায্য করে। উন্নত ব্রেকিং ক্ষমতার জন্য প্যাড এবং ডিস্কের মধ্যে আরও ভাল যোগাযোগ বজায় রাখে।

ওজন কমায়: ছোট ছোট ছিদ্র থাকার কারণে ডিস্কের ওজন কমে। ফলে মোটরবাইকের সামগ্রিক ওজন হ্রাস পায়। আর কে না জানে, হালকা বাইক গতি এবং মাইলেজ বাড়ায় তাই নয়, সামগ্রিক কর্মক্ষমতাও উন্নত করে।

আরও পড়ুন- ফোনে Nearby Share আসলে কী? আর কীভাবেই বা এই ফিচার কাজ করবে? জেনে নিন বিশদে

খরচ কমে: ছিদ্র রাখার কারণে ডিস্ক তৈরিতে উপকরণ কম লাগে। ফলে উৎপাদন খরচ কমায়। এতে লাভ হয় ক্রেতাদের। কম দামে বাইক উন্নত প্রযুক্তির বাইক কিনতে পারেন তাঁরা।

বিরাট ওজন! ভারতের সব থেকে ভারি বাইক এটি! Royal Enfield নয় কিন্তু

কলকাতা: বাইক যত ভারি, চালিয়ে তত মজা। এমনটাই বলেন বাইকপ্রেমীরা। সম্প্রতি Royal Enfield সামনে এনেছে Super Meteor 650। এর ওজন ২৪১ কেজি। এই দেখে অনেকেই ভুরু কুঁচকেছেন। কারণ ভারতে বিক্রি হওয়া অন্যান্য ভারি বাইকের তুলনায় Super Meteor 650 ওয়েল্টারওয়েট। যাইহোক ভারতের সেরা ৫টি ভারি বাইকের তালিকা দেওয়া হল এখানে।

Harley-Davidson Street Glide Special: Harley-Davidson Street Glide Special বাইকের ওজন ৩৭৫ কেজি। তবে ‘ট্যুরিং মডেল’-এর যে কোনও তালিকা করলে এটাই সবচেয়ে হালকা বাইক। এর দাম ৩৩.৯৯ লাখ টাকা। এতে রয়েছে 1,868cc Milwaukee Eight V-Twin ইঞ্জিন। যা মাত্র 3,250rpm-এ 158Nm টর্ক উৎপাদন করে।

আরও পড়ুন- ফোন হারানোর পরই স্যুইচড অফ! আর চিন্তা নেই, অ্যান্ড্রয়েড ১৫ থাকলেই খুঁজে পাবেন

Harley-Davidson Road Glide Special: Harley-Davidson Road Glide Special বাইকের ওজন ৩৮৭ কেজি। আধুনিক ডিজাইনের ল্যান্ড বার্জ চাইলে Road Glide Special আদর্শ। এর অনেক ফিচারই Street Glide Special-এর সঙ্গে মেলে। তবে কিছু সূক্ষ পার্থক্যও রয়েছে।

ব্যাটউইং ফেয়ারিংয়ের পরিবর্তে চ্যাসিসে মাউন্ট করা হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে আধুনিক টুইন-এলইডি হেডলাইট সেটআপ। এর দাম ৩৬.৯৯ লাখ টাকা।

Honda Gold Wing Tour: Honda-র এই মডেলটি হার্লে ডেভিডসনের চেয়েও ভারি। ওজন ৩৯০ কেজি। এতে এয়ারব্যাগও দেওয়া হয়েছে। লিকুইড-কুলড 1,833cc ফ্ল্যাট-সিক্স ইঞ্জিন 125hp এবং 170Nm টর্ক তৈরি করে। দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণের জন্য আদর্শ। এতে ডিটিসি গিয়ারবক্সও রয়েছে। দাম ৩৯,৭২ লাখ টাকা।

Indian Roadmaster Limited: হার্লে ডেভিডসনের কাছে Street Glide যে মর্যাদা পায়, ভারতীয়দের কাছে একই আসন পায় Roadmaster। এটাকে ৭০-এর দশকে বিক্রি হওয়া ক্রুজারগুলোর আধুনিক সংস্করণ বলা যায়। এর ওজন ৪০৩ কেজি।

আরও পড়ুন- ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, এবার এই বিরাট বদল আনছে WhatsApp

এয়ার-কুলড, 1,890cc থান্ডারস্ট্রোক 116 V-টুইন ইঞ্জিন মাত্র 3,000 rpm-এ বিস্ময়কর 171Nm টর্ক তৈরি করে। দাম ৪৩.৮০ লাখ টাকা।

Indian Pursuit Limited: ভারতে বর্তমানে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে ভারী বাইক হল Indian Pursuit Limited। এর ওজন ৪১৬ কেজি। লিকুইড-কুলড, 1,768cc পাওয়ারপ্লাস ভি-টুইন ইঞ্জিন 3,800rpm এ 178Nm টর্ক তৈরি করে। দাম ৪৪.৭০ লাখ টাকা।

চপ্পল পরে বাইক, গাড়ি চালানো যায়? জরিমানা হবে না তো? কী বলছে ট্রাফিক আইন!

কলকাতা: হাফ হাতা শার্ট পরে গাড়ি চালালে জরিমানা করবে পুলিশ। লুঙ্গি বা স্যান্ডো গেঞ্জি পরেও বাইক চালানো যাবে না। চার চাকার গাড়িতে যদি অতিরিক্ত আলো বা কাচ পরিষ্কার না থাকে তাহলেও জরিমানা দিতে হতে পারে।

চপ্পল পরেও গাড়ি বা বাইক চালানো যায় না। পুলিশ জরিমানা করে। এমন কত কথাই না শোনা যায়। কিন্তু এসব দাবির আদৌ কোনও সত্যতা আছে? না, নেই। এগুলো স্রেফ গুজব।

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা এবং জরিমানা নিয়ে গুজব ছড়ানো নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এমনটা চলে আসছে। এতে ট্রাফিক আইন নিয়ে ভুল ধারণা মনে বাসা বাঁধে। সঙ্গে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি হয়।

২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি একটি ট্যুইটে এসব গুজব ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে ভুলভাল দাবির তালিকা দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘গুজব থেকে সাবধান’।

আরও পড়ুন- WhatsApp এবং WhatsApp Business-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য কোথায় বলুন তো?

মন্ত্রী নীতিন গড়করি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, হাফ হাতা শার্ট, লুঙ্গি বা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে গাড়ি চালালে কিংবা অতিরিক্ত আলো না থাকা, গাড়ির কাচ অপরিষ্কার থাকলেও জরিমানা দিতে হয় না।

চপ্পল পরেও বাইক চালানো যায়। নয়া মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্টে এসব কারণে জরিমানার কোনও বিধান নেই। তিনি লিখেছিলেন, ‘কারও কথা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা উচিত নয়। সবার আগে দাবির সত্যতা যাচাই করতে হবে’।

হ্যাঁ, রাস্তায় বেরোলে ট্রাফিক নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেমন চার চাকা গাড়ি চালালে সিট বেল্ট বাঁধতে হবে। টু-হুইলার চালালে পরতে হবে হেলমেট। এছাড়া নির্দিষ্ট স্পিড লিমিটের মধ্যে গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক লাইট মানা আবশ্যক।

ট্রাফিক আইন ভঙ্গে জরিমানা: লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

বিপজ্জনক ড্রাইভিংয়ে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা। তিন বছরের মধ্যে ফের একই অপরাধ করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

আরও পড়ুন- এই এক ভুলে জ্বলে-পুড়ে শেষ Washing Machine! জেনেশুনে ক্ষতি করছেন ৯৯% মানুষ

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অথবা ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড।

স্পিড লিমিট ভাঙলে জরিমানা। বিভিন্ন গাড়ির ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ ভিন্ন।

অ্যাম্বুলেন্স-সহ জরুরি পরিষেবাকে পথ না ছাড়লে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ড।

বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখেন? ভুল করছেন, আপনার অজান্তে হয়ে যাচ্ছে বড় ক্ষতি

পথচলতি চার চাকার থেকে বাইকের চাহিদা বেশিই থাকে। দুই চাকা গাড়ির চাহিদা যুগ যুগ ধরে। তবে বাইক সাইড স্ট্যান্ড করার প্রবণতা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।
চার চাকার থেকে বাইকের চাহিদা বেশিই থাকে সব সময়। দুই চাকা গাড়ির চাহিদা যুগ যুগ ধরে চলছে। তবে বাইক সাইড স্ট্যান্ড করার প্রবণতা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।
মোটরসাইকেল যত্নে রাখার জন্য বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। গন্তব্যে গিয়ে দ্রুত পার্ক করার জন্য বাইক সাইড স্ট্যান্ড করে রেখে দেন অধিকাংশ মানুষ।
মোটরসাইকেল যত্নে রাখার জন্য বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। গন্তব্যে গিয়ে দ্রুত পার্ক করার জন্য বাইক সাইড স্ট্যান্ড করে রেখে দেন অধিকাংশ মানুষ।
আসলে সাইড স্ট্যান্ড করতে যেমন সময় কম লাগে তেমনই খুব বেশি ঝক্কি নিতে হয় না। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য সাইড স্ট্যান্ড করলে সমস্যায় পড়তে পারেন। এই অভ্যাস আপনার বাইকের মাইলেজ বা বডিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
আসলে সাইড স্ট্যান্ড করতে যেমন সময় কম লাগে তেমনই খুব বেশি ঝক্কি নিতে হয় না। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য সাইড স্ট্যান্ড করলে সমস্যায় পড়তে পারেন। এই অভ্যাস আপনার বাইকের মাইলেজ বা বডিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ মোটরবাইক সাইড স্ট্যান্ড করে রাখলে ইনজেক্টরের উপর চাপের ফলে জ্বালানির লেভেল সরে যায়। ইঞ্জিন ইমোবিলাইজার যে সব বাইকে নেই সেইসব বাইকে বেশি সমস্যা দেখা যেতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ মোটরবাইক সাইড স্ট্যান্ড করে রাখলে ইনজেক্টরের উপর চাপের ফলে জ্বালানির লেভেল সরে যায়। ইঞ্জিন ইমোবিলাইজার যে সব বাইকে নেই সেইসব বাইকে বেশি সমস্যা দেখা যেতে পারে।
বাইকের সাইড স্ট্যান্ড চেসিসের সঙ্গে যুক্ত হয়। তাই দীর্ঘক্ষণ যদি মোটরসাইকেল সাইড স্ট্যান্ড করে রাখা হয় তাহলে চেসিসের জয়েন্টে চাপ তৈরি হবে। ফলে সেটি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যা বাইকের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
বাইকের সাইড স্ট্যান্ড চেসিসের সঙ্গে যুক্ত হয়। তাই দীর্ঘক্ষণ যদি মোটরসাইকেল সাইড স্ট্যান্ড করে রাখা হয় তাহলে চেসিসের জয়েন্টে চাপ তৈরি হবে। ফলে সেটি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যা বাইকের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
সাইড স্ট্যান্ড করার ফলে অতিরিক্ত স্পেসও দখল করে নেয় বাইক। সেন্ট্রাল স্ট্যান্ড করলে অপেক্ষাকৃত কম জায়গা দখল করে বাইক।
সাইড স্ট্যান্ড করার ফলে অতিরিক্ত স্পেসও দখল করে নেয় বাইক। সেন্ট্রাল স্ট্যান্ড করলে অপেক্ষাকৃত কম জায়গা দখল করে বাইক।

নতুন বাইক ৫০০ কিমি চালিয়ে ফেলেছেন? এখনই ‘এই’ কাজটা করুন, নাহলে পস্তাতে হবে

কলকাতা: বাইকের দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ১২৫ সিসি বাইকের অনরোড দাম ১ লক্ষ টাকার উপর। আর ১৫০ সিসি-র বাইক কিনতে চাইলে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। তবে দাম বাড়লেও বিক্রি কমেনি এতটুকু। কিন্তু ছোটখাটো ভুলের জেরে নতুন বাইকও অনেক সময় বিকল হয়ে যায়।

কী সেই ভুল? অনেকেই জানেন না যে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হয়। বিশেষ করে নতুন বাইকের ক্ষেত্রে। কোম্পানি বলেই দেয়, নতুন বাইক ৫০০ কিলোমিটার চালানো পর অবশ্যই ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হবে। কেন এটা করা জরুরি? এখানে রইল তারই হদিশ।

আরও পড়ুন- বাইক কিনবেন ভাবছেন? ব্যাপক মাইলেজ! দেখে নিন কম দামের মধ্যে সেরা পাঁচটি বাইক

কেন প্রতি ৫০০ কিলোমিটারে ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হয়?
নতুন বাইক কেনার সময় ইউজার ম্যানুয়ালেই লেখা থাকে, ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার চালানোর পরে ইঞ্জিন অয়েল পাল্টাতে হবে। কিন্তু মাত্র ৫০০ কিলোমিটার চালানোর পরেই কোম্পানি কেন ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে বলে?  তা-ও আবার নতুন বাইকের?

কোম্পানি কি ইঞ্জিন অয়েল বিক্রি করে চালকের থেকে মুনাফা করতে চায়? না কি এটাও এক ধরনের জালিয়াতি?

না, ব্যাপারটা মোটেই এরকম নয়। ইঞ্জিন অয়েল বিক্রি করে টাকা কামানোর ভাবনা বাইক কোম্পানিগুলো করে না। তাছাড়া এটা কোনও জালিয়াতি বা কেলেঙ্কারিও নয়। আসলে নতুন বাইকের ইঞ্জিনের কম্পোনেন্টস বা উপাদান সেট হতে কিছুটা সময় লাগে।

বাইক চালানোর সময় এই উপাদানগুলির একে অপরের মধ্যে ঘর্ষণ হয়। এর ফলে ধাতুর মাইক্রোস্কোপিক কণাগুলো ইঞ্জিন অয়েলে দ্রবীভূত হয়ে যায়। কিন্তু সেগুলো ইঞ্জিন থেকে বের করে দেওয়াটা জরুরি।

এই ধাতব কণা দীর্ঘ সময় ইঞ্জিনে থাকলে পিস্টন বা অন্যান্য অংশের ক্ষতি করতে পারে। এই কারণেই বাইক কোম্পানিগুলো ৫০০ কিলোমিটার বা ৩০ দিন পর নতুন বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পাল্টানোর পরামর্শ দেয়।

আরও পড়ুন- আর OTP-র ঝামেলা থাকবে না! টাকা চুরি আটকাতে নতুন ব্যবস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের!

ইঞ্জিন অয়েল না পাল্টালে কী হবে?

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইঞ্জিন অয়েল না পাল্টালে বাইকের নানা ক্ষতি হতে পারে। হয়তো তৎক্ষণাৎ ইঞ্জিনে কোনও সমস্যা হল না। কিন্তু কিছু সময় পর পিস্টনের দেওয়াল বা ক্লাচপ্লেট নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে বাইক বিকল হয়ে যাবে। তখন ইঞ্জিন খুলে ইঞ্জিনের সেই সব উপাদান বার করতে হবে। এর খরচ অনেক।

বাজার কাঁপাবে Hero Mavrick 440! এই বাইকের দাম কত? দেখতে কিন্তু দারুণ

কলকাতা: কয়েক বছর আগেই গাঁটছড়া বাঁধে হিরো মোটোকর্প আর হার্লে ডেভিডসন। জানানো হয়, একসঙ্গে নতুন মোটরসাইকেল বানাবে তারা। এরপর প্রথমে ‘হার্লে ডেভিডসন এক্স ৪৪০’ সামনে আসে।

এবার এল হিরো মোটোকর্পের নতুন বাইক। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘Mavrick’। এটাই হিরো মোটোকর্প লাইনআপের নতুন ফ্ল্যাগশিপ বাইক হতে চলেছে।

Hero Mavrick 440 বনাম Harley-Davidson X440 – ইঞ্জিন এবং গিয়ারবক্স: দুটি বাইকেই ৪০০সিসি-র এয়ার অয়েল কুলড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ৬০০০ আরপিএম-এ ২৭ বিএইচপি সর্বোচ্চ শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। সর্বোচ্চ টর্ক আউটপুট ৪০০০ আরপিএম।

আরও পড়ুন- মেয়েদের জন্য সেরা স্কুটি কোনটা জানেন? ভারতের বাজারে হিট, দামও কম

তবে হার্লে ডেভিডসনের ক্ষমতা Mavrick-এর চেয়ে ২এনএম বেশি। জানা যাচ্ছে, X440-র টর্ক আউটপুট ৩৮ এনএম। সেখানে হিরো Mavrick 440 ৩৬ এনএম পিক টর্ক উৎপন্ন করছে। এছাড়া দুটি বাইকেই রয়েছে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স। এবং স্লিপ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট ক্লাচ’।

Hero Mavrick 440 বনাম Harley-Davidson X440 – সাসপেনশন: Harley-Davidson X440-এ সামনে 43mm KYB আপ-সাইড ডাউন ফর্কের সেট সহ ৭ সেট টুইন শক ব্যবহার করা হয়েছে। অন্য দিকে, হিরো মোটোকর্পে সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে হাইড্রোলিক টুইন শক অ্যাবসর্বার দেওয়া হয়েছে।

Hero Mavrick 440 বনাম Harley-Davidson X440 – ব্রেক: দুটি বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম একরকম। সামনে দেওয়া হয়েছে ৩২০ মিমি ডিস্ক এবং পিছনে ২৪০ মিমি-র ডিস্ক। এর পাশাপাশি থাকছে ডুয়েল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম।

Hero Mavrick 440 বনাম Harley-Davidson X440 – দাম এবং বুকিং: Harley-Davidson X440-এর দাম ২.৪০ লাখ থেকে ২.৮০ লাখ টাকার মধ্যে। দুটির দামই এক্স-শোরুম। হার্লে X440 তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে – ডেনিম, ভিভিড এবং এস। তবে Hero MotoCorp Mavrick 440-এর দাম এখনও ঘোষণা করেনি সংস্থা।

আরও পড়ুন- এই স্মার্টফোন ইউজাররা এখন VoWiFi কল রেকর্ড করতে পারবেন! জানুন

তবে এর দাম কিছুটা কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে, কারণ হার্লে ডেভিডসনের তুলনায় কম প্রিমিয়াম উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে দাম ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে থাকবে।

চলতি মাসেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকেই বুকিং শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সময়েই বাইকের দাম ঘোষণা করবে সংস্থা। ২০২৪-এর এপ্রিল থেকে ডেলিভারি শুরু হবে।

বাইকের ঠিক ‘এই’ জিনিসগুলোর খেয়াল রাখুন, অনেক টাকা বাঁচবে! ভুল করবেন না

কলকাতা: বাইক থাকলে বাইকের যত্নও নিতে হবে। নাহলে চিত্তির। বারবার ছুটতে হবে দোকানে। হাজার হাজার টাকা খরচ। প্রতিদিন যত কিমি বাইক চলে সেই অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। নাহলে ঠিক সময়ে সার্ভিসিংয়ের পরেও পার্টস খারাপ হয়ে যায়। সেটা বদলাতে আবার খরচ।

এমনটা কেন হয়? চালক সে সব না বুঝেই বাইক সারাতে ছোটেন। জলের মতো টাকা বেরিয়ে যায়। আসলে বাইকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্টসের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। নাহলে বেগ দেবেই। এতে অন্যান্য পার্টসের উপর চাপ পড়ে। আস্তে আস্তে সেগুলোও বিগড়োতে শুরু করে। বাইকের কোন পার্টসগুলোর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন? এখানে রইল তারই হদিশ।

আরও পড়ুন- ইলেকট্রিক গাড়ি কিনবেন? তার সারা দেশে চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা শুনে নিন

ইঞ্জিন অয়েল: সময় মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে। প্রতি ৩০০০-৫০০০ কিমিতে একবার।

এয়ার ফিল্টার: এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। প্রতি ২০০০ কিমিতে একবার।

চেইন এবং স্প্রোকেট: প্রতি ১০,০০০-১৫০০০ কিমিতে একবার চেন লুব্রিকেট করা এবং স্প্রোকেট বদল করা দরকার।

ব্রেক প্যাড: নিয়মিত ব্রেক প্যাডের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে হয়। প্রতি ১০০০০-১৫০০০ কিমিতে একবার বদলানো উচিত।

টায়ার: নিয়মিত টায়ারের বায়ুর চাপ পরীক্ষা করতে হয়। এবং সময় মতো টায়ার প্রতিস্থাপন।

ব্যাটারি: ব্যাটারি টার্মিনালগুলি পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি ২-৩ বছর অন্তর ব্যাটারি বদলাতে পারলে ভাল।

স্পার্ক প্লাগ: সময়মত স্পার্ক প্লাগ বদলানো উচিত। প্রতি ১০,০০০-১৫,০০০কিমিতে একবার।

এয়ার ফিল্টার: সময় মতো এয়ার ফিল্টারও বদলাতে হয়। প্রতি ২০০০ কিমিতে একবার বদলে ফেলার কথা বলা হয়।

আরও পড়ুন- বাইক থামাতে আগে ক্লাচ চাপবেন না কি ব্রেক? ‘সঠিক’ নিয়ম কী? ৯০% মানুষ জানেন না

ফুয়েল ফিল্টার: প্রতি ১০,০০০-১৫০০০ হাজার কিমিতে একবার ফুয়েল ফিল্টার বদলাতে হয়।

ক্লাচ প্লেট: ক্লাচ প্লেটের আয়ু বেশি। তবে তবে প্রতি ২০,০০০-২৫,০০০ কিমিতে একবার বদলানো উচিত।

আরও কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে: ধুলো, কাদা এবং জল থেকে বাইকে রক্ষা করতে হবে। নিয়মিত ধোয়া এবং লুব্রিকেট ব্যবহার করা উচিত।

খেয়াল রাখতে হবে, ওভারলোড যেন না হয়।

বেশি জোরে বাইক চালানো উচিত নয়।

নিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে।

এক মিনিট অসতর্ক হলেই বিপদ, চুরি হবে সাধের বাইক! কাজে লাগান ‘এই’ টিপস

কলকাতা: চুরি বোধহয় পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন পেশাগুলির একটি। প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু চুরি যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ইদানীং সব থেকে বেশি চুরি হয় মোটরবাইক।

সারা ভারতের বিভিন্ন ছোট-বড় শহরে, মফসসলে মোটরবাইক চুরির ঘটনা পুলিশের খাতায় ওঠে প্রতিদিন। সেই কথা মাথায় রেখেই মোটরবাইকের নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ ফিচার আনার কথা ভাবছে বিভিন্ন সংস্থা। এর বাইরে কয়েকটি পদক্ষেপ করতে পারলেই অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর যুক্ত করা যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—

অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যালার্ম—

সব থেকে কার্যকর হতে পারে অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যালার্ম। সাধারণ গাড়ির অ্যালার্মের থেকে এগুলি আলাদা হতে পারে। মোটরবাইক চুরি হলে এই অ্যালার্ম তার মালিককে সতর্ক করার চেষ্টা করতে পারে। তবে হ্যাঁ, ওই অ্যালার্মের সেনসিটিভিটি যেন ভাল ভাবে টিউন করা থাকে। অনলাইন বা অফলাইনে এই অ্যালার্ম কেনা যেতে পারে।

আরও পড়ুন- ট্রেনে কোনও বিপদ হলে কোন নম্বরে ফোন করতে হয়? এই তিন সংখ্যা সবার জানা দরকার

কিল স্যুইচ—

একই ভাবে নিজের মোটরবাইকে একটি ‘কিল স্যুইচ’ ইনস্টল করা যেতে পারে। আধুনিক মোটরবাইকে এই ফিচার থাকে। এই স্যুইচ দেওয়া থাকলে মোটরবাইক চালু করাই যাবে না, কারণ তা স্পার্ক প্লাগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছতেই পারবে না। চালক এই স্যুইচ বন্ধ করে তবে চালাতে পারবেন।

একাধিক তালা দেওয়া যেতে পারে—

বিল্ট-ইন লকের পাশাপাশি অন্তত দু’টি তালা ব্যবহার করা উচিত। তাতে খুব সহজেই মোটরবাইক চুরি আটকানো যেতে পারে। হ্যান্ডল লক, ডিস্ক ব্রেক লক, ইগনিশন লক এবং ফোর্ক লক খুবই কার্যকরী হতে পারে।

নিরাপদ জায়গায় রাখা—

কোনও ভারী বস্তুর সঙ্গে মোটরবাইক লক করে রাখা যেতে পারে। মোটা শিকল বা তারের সঙ্গে প্যাডলক করে রাখে যেতে পারে।

আরও পড়ুন- ভারতের একমাত্র নেতাজি মন্দির, সেখানে সুভাষচন্দ্রের পুজো হয় দেবতা হিসেবে

তালার নিরাপত্তা—

আলাদা করে কোনও তালা লাগালে তার মজবুতির দিকে নজর দিতে হবে। যাতে সেটা সহজে ভাঙা না যায়। বিশেষত খেয়াল রাখতে হবে যেন ওই তালা কোনও ভাবেই মাটির সঙ্গে লেগে না থাকে। তাহলে চোরের সুবিধা হবে তা সহজে ভাঙতে।

পেট্রোলের গন্ধে চলে! মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে এই মোটরসাইকেল! দুর্দান্ত মাইলেজ

কলকাতা: মজা করে অনেকে বলেন, এই বাইক পেট্রোলের গন্ধে চলে!

সাম্প্রতিক সময়ে এই বাইক ভারতে বিক্রি হয়েছে সব থেকে বেশি। এবার OBD-2 নিয়ম মেনে SP125 কমিউটার আপডেট করেছে Honda। সম্প্রতি স্পোর্টস এডিশন ট্রিমে লঞ্চ হল সেই মোটরবাইক। তিন রকম ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে Honda SP125। মিলছে সাত রকমের রঙে।

স্পোর্টস এডিশনে দুটি রঙ যোগ হয়েছে। সেগুলি হল ডিসেন্ট ব্লু মেটালিক এবং হেভি গ্রে মেটালিক। স্বচ্ছ গ্রাফিক্স এবং রঙের সঙ্গে মানানসই রিম টেপ বাইকে যোগ করেছে বাড়তি ফ্লেয়ার।

অন্য দিকে, ড্রাম এবং ডিস্ক ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে কালো, ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক, ইম্পেরিয়াল রেড মেটালিক, পার্ল সাইরেন ব্লু এবং ম্যাট মার্ভেল ব্লু মেটালিক রঙে।

আরও পড়ুন- বিগ ধামাকা সেল! স্মার্টফোনে বিরাট ছাড়, এখনই দেখে নিন আকর্ষণীয় সেরা অফারগুলি

ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক ছাড়া বাকি রঙের বাইকগুলোর গ্রাফিক্স এবং স্টাইল এক। অর্থাৎ বডি রঙের ফ্রন্ট ফেন্ডার, হেডলাইট কাউল, পিলিয়ন গ্র্যাবাইল দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে বডি-পড হেডলাইট, দুর্দান্ত ডিজাইন এবং গাঢ় রঙ।

এলইডি হেডলাইট চাইলে তাও মিলবে। তার সঙ্গে থাকবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ইঞ্জিন স্টার্ট/স্টপ স্যুইচ, এবং কম্বাইনড ব্রেকিং সিস্টেম। বাইকের যাবতীয় তথ্যও মিলবে হাতের কাছে। যেমন রিয়েল টাইম ফুয়েল, অ্যাভারেজ ফুয়েল, ডিসট্যান্স টু এম্পটি মিটার, ইকো ইন্ডিকেটর এবং গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর।

জ্বালানির কথাই যখন উঠল তখন খরচখরচার দিকটাও দেখে নেওয়া যাক। ধরা যাক, ১০২.২৫ টাকা লিটার পেট্রোল। প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ কিমি চালালে Honda SP125-এর জন্য প্রতি মাসে খরচ হবে ৭৮৪ টাকা। তবে ছোট ছোট কয়েকটা জিনিস মেনে চললে জ্বালানি খরচ আরও কমানো যায়। যেমন ট্রাফিকে ইঞ্জিন বন্ধ রাখা, ঘন ঘন গিয়ার শিফট না করা ইত্যাদি।

Honda SP125 মোটরবাইকে দেওয়া হয়েছে 123.94cc-র সিঙ্গল সিলিন্ডার, এয়ার-কুলড মোটর যা 7,500rpm-এ 10.7bhp এবং 6,000rpm-এ 10.9Nm-এর সর্বোচ্চ টর্ক জেনারেট করতে পারে। এই মডেলে অনবোর্ড ডায়গনস্টিক সিস্টেমও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- *401# ডায়াল করবেন না, লুকিয়ে আছে বড় বিপদ, সতর্ক করে দিল সরকার

রিয়েল টাইমে কতটা কার্বন নির্গমন হচ্ছে সেটা ট্র্যাক করে এই সিস্টেম। পাশাপাশি কোনও ত্রুটি থাকলে সেটাও চালককে জানায়।

কলকাতায় Honda SP 125-এর অন রোড দাম শুরু হচ্ছে ১.০২ লক্ষ টাকা থেকে, যার মধ্যে রয়েছে RTO চার্জ ১০,২০৯ টাকা, বিমা খরচ ৬,০৬৫ টাকা। এক্স-শোরুম মূল্য ৮৬,১২৩ টাকা।

অন্য দিকে, কলকাতায় SP 125 টপ মডেল অন রোডের দাম ১.০৭ লক্ষ যখন এর এক্স-শোরুম মূল্য ৯০,৬৭৩। SP 125 ইএমআইতেও কেনা যায়। SP 125 বেস মডেলের জন্য ২,৪৮১ টাকা দিতে হবে প্রতি মাসে।