কলকাতা: ভারতে বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াতের জন্য টু-হুইলার ব্যবহার করেন। বাইকে ভ্রমণ করা শুধু সহজ নয়, লাভজনকও। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন বাইক ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই চালানোর সঠিক পদ্ধতি জানেন না। যার কারণে তারা প্রায়ই ভুল করে দুর্ঘটনার শিকার হন।
অনেকেরই বাইকের ব্রেকিং সম্পর্কে ভাল ধারণা নেই। কীভাবে বাইক থামাতে ব্রেক চাপতে হয়, কখন ক্লাচ চাপতে হয় বা কখন ব্রেক ও ক্লাচ একসঙ্গে চাপতে হবে, অনেকেই এই ধরনের বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে ভুল করতে থাকেন। আজ আমরা বলব, বাইকের ব্রেক এবং ক্লাচ ব্যবহারের কিছু পদ্ধতি…
আরও পড়ুন- এসি কেন সাদা রঙের হয়? রয়েছে বিশেষ একটি কারণ, বাড়িতে AC থাকলে জেনে নিন
যদি হঠাৎ ব্রেক করার পরিস্থিতি হয়, তাহলে ক্লাচ এবং ব্রেক দুটোই একই সাথে চাপা যেতে পারে। ক্লাচ এবং ব্রেক সাধারণত জরুরী পরিস্থিতিতে একসাথে ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি বাইকের যান্ত্রিক অংশগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে ব্রেক প্রয়োগ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তবে হঠাৎ ব্রেক লাগানোর সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
বাইকটি বেশি গতিতে হলে প্রথমে ব্রেক চাপা ভাল। তার পর যদি আপনি মনে করেন, আপনাকে বাইক থামাতে হবে বা বাইকের গতি বর্তমান গিয়ারের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে (যেটিতে আপনি চলছেন), তা হলে আপনাকে ক্লাচ টিপতে হবে আগে। এর পর গিয়ারে কমাতে হবে। এটা না করলে বাইক বন্ধ হয়ে যাবে।
আপনি যদি স্বাভাবিক গতিতে বাইক চালান এবং আপনি মনে করেন যে বাইকটি একটু ব্রেক করা দরকার, তাহলে শুধু ব্রেক চাপলেই কাজটি হবে। এর জন্য ক্লাচ ব্যবহার করার দরকার নেই। ব্রেক শুধুমাত্র বাইকের গতি কমাতে বা রাস্তায় ছোটখাটো গর্ত, স্পিড ব্রেকার এড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন- স্প্লিট এসি কতদিন ভালভাবে চলে? AC তো কিনছেন, এই মেশিনের গড় আয়ু কত জানেন কি?
আপনি যদি কম গতিতে বাইক চালান এবং হঠাৎ ব্রেক কষতে হয়, তবে প্রথমে ক্লাচ টিপুন। কারণ আগে ব্রেক চাপলে বাইক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি সাধারণত দ্বিতীয় গিয়ারে চালানোর সময় করা যেতে পারে।