দক্ষিণবঙ্গ, পূর্ব বর্ধমান, ব্যবসা-বাণিজ্য How To Become Rich: এই ব্যবসা করে প্রতি মাসে রোজগার করতে পারবেন বিপুল টাকা Gallery September 7, 2024 Bangla Digital Desk চা পান করার আধুনিক মাটির ভাঁড় তৈরি করে লাভবান হতে পারবেন আপনারাও। মাটির ভাঁড় তৈরি করে মোটা টাকা উপার্জনের পথ দেখাচ্ছেন পূর্বস্থলীর সুজিত ঘোষ নামের এক যুবক। রোজকার জীবনে বহুল ব্যবহৃত একটি জিনিস হল মাটির ভাঁড়। রাস্তার ধারে, পাড়ার মোড়ে কিম্বা অন্য যেকোনো চায়ের দোকানে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় মাটির ভাঁড়। বর্তমান প্রজন্মের একটা বড়ো অংশ মাটির ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিয়ে নস্টালজিয়া খুঁজে পায়। এই মাটির ভাঁড় সাধারণত হাতে তৈরি করা হয়। হাতে বানানো মাটির ভাঁড় আমরা সকলেই দেখেছি। কিন্তু এবার মেশিনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে আধুনিক মাটির ভাঁড়। মেশিনে ভাঁড় তৈরি করে কিভাবে লাভবান হবেন, সেই উপায় বলছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর সুজিত ঘোষ নামের এক যুবক। কিন্তু এবার মেশিনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে আধুনিক মাটির ভাঁড়। মেশিনে ভাঁড় তৈরি করে কিভাবে লাভবান হবেন, সেই উপায় বলছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর সুজিত ঘোষ নামের এক যুবক। এই প্রসঙ্গে সুজিত বাবু জানিয়েছেন, \”এটা খুবই লাভজনক একটা ব্যবসা। এই প্রসঙ্গে সুজিত বাবু জানিয়েছেন, “এটা খুবই লাভজনক একটা ব্যবসা। এখন মাটির ভাঁড়ের ভাল চাহিদা রয়েছে। তবে এই মেশিনে মাটির আরও বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়। যেমন থালা, দইয়ের ভাঁড়, গ্লাস ইত্যাদি। তবে ভাঁড়ের চাহিদা সবথেকে বেশি। আগে ভাঁড় চাহিদা থাকলেও পাওয়া যেত না কিন্তু এখন সবসময় পাওয়া যাবে। এছাড়া প্লাস্টিকের থেকে মাটির ভাঁড়ে চা পান স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এবং এই ভাঁড় পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না।” মেশিনের মাধ্যমেই তৈরি হচ্ছে আধুনিক মাটির ভাঁড়। চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন যে কেউই। তবে ব্যবসা শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম বেশ কিছু টাকা খরচ করে কিনতে হবে ভাঁড় তৈরির মেশিন। সুজিত বাবুর কথায়, এই মেশিন থাকলেই সহজেই এই ব্যবসা শুরু করা যাবে। ভাঁড় তৈরির জন্য লাগবে শুধুমাত্র মাটি। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এলাকা থেকেই মাটি সংগ্রহ করতে পারবেন। সুজিত বাবুর কথায়, তিনি ১ ট্রাক্টর মাটি কেনেন ৮০০ টাকার বিনিময়ে। এবং ১ ট্রাক্টর মাটি থেকে ভাঁড় তৈরি হয় প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার পিস। বাজারে এই ভাঁড়ের দাম রয়েছে ৭০ পয়সা থেকে শুরু করে দেড় টাকা পর্যন্ত। এবং এখনও পর্যন্ত সুজিত বাবু নিজে ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার ভাঁড় বিক্রি করেছেন। সুজিত বাবুর এই হিসেবে যদি ৮০ হাজার ভাঁড়ের দাম ৭০ পয়সা করেই ধরা হয়। তাহলে তিনি প্রায় ১ মাসের মধ্যে ৫৬ হাজার টাকার ভাঁড় বিক্রি করেছেন। তাঁর কথায়, এই মাটির ভাঁড়ের চাহিদা ক্রমশ বাড়তেই থাকছে এবং এই চাহিদা কখনও কমবে না। সাধারণ মানুষ প্লাস্টিক, কাগজের কাপে চা পান বন্ধ করে মাটির ভাঁড়ে চা পান করতে এখন বেশি পছন্দ করছেন। সবমিলিয়ে বর্তমান সময়ে মাটির ভাঁড় তৈরির এই ব্যবসা বেশ লাভজনক হবে বলেই জানাচ্ছেন সুজিত বাবু। কেউ এই মেশিন নিলে সেই ব্যক্তিকে ১০ দিনের ট্রেনিং দিয়ে, ব্যবসার সমস্ত বিষয় শিখিয়ে দেওয়া হবে। মেশিন নেওয়ার জন্য এবং ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন – 9775733649 এই নম্বরে।