পেট্রোল আসল নাকি নকল? বুঝবেন কীভাবে? এই কায়দা শিখে রাখুন

কলকাতা: আসল এবং নকল পেট্রল সনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নকল পেট্রল গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষতি করতে পারে। নকল পেট্রলে প্রায়ই ক্ষতিকারক ভেজাল থাকে, যা ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আসল এবং নকল পেট্রল সনাক্ত করার কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল।

১) গন্ধ দ্বারা চিহ্নিত –

আসল পেট্রলের গন্ধ কড়া এবং স্বতন্ত্র। নকল পেট্রলে অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের ভেজালের কারণে এর গন্ধ কিছুটা আলাদা এবং হালকা হতে পারে। পেট্রলের গন্ধ যদি স্বাভাবিকের থেকে আলাদা বলে মনে হয়, তাহলে তা নকল হওয়ার লক্ষণ হিসেবে ধরা যেতে পারে।

আরও পড়ুন- দেশে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভিনেশ, কারণ কী?

২) জলে রেখে পরীক্ষা –

জলে অল্প পরিমাণ পেট্রল ঢালতে হবে। আসল পেট্রল জলে ভাসবে এবং এক্ষেত্রে তা ভেজাল নয় বুঝতে হবে। যদি পেট্রল জলে মিশে যায় বা এর রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করে তাহলে তা নকল হতে পারে।

৩) কাগজে পরীক্ষা –

একটি সাদা কাগজে কয়েক ফোঁটা পেট্রল দিতে হবে এবং শুকোতে দিতে হবে। আসল পেট্রল সম্পূর্ণরূপে বাষ্পীভূত হয় এবং কোনও ট্রেস ছেড়ে যায় না। নকল পেট্রোল শুকানোর পর কাগজে তেলের মতো দাগ ফেলে যেতে পারে, যা ভেজালের লক্ষণ।

৪) পেট্রলের রঙ পর্যবেক্ষণ –

আসল পেট্রল হালকা হলুদ রঙের হয় বা কখনও কখনও সম্পূর্ণ বর্ণহীন। পেট্রলের রঙ গাঢ় হলে বা অন্য কোনও রঙের হলে তা নকল হতে পারে।

৫) দহন পরীক্ষা –

একটি ধাতব পাত্রে অল্প পরিমাণ পেট্রল রেখে এটি পোড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আসল পেট্রল পুরোপুরি পুড়ে সাদা ধোঁয়া তৈরি করবে। নকল পেট্রল পোড়ার সময় কালো ধোঁয়া নির্গত হতে পারে বা পুরোপুরি পুড়ে নাও যেতে পারে।

আরও পড়ুন- ডার্বি ম্যাচে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা, বন্ধ হল মোহন বনাম ইস্ট ম্যাচ

৬) গাড়ির কর্মক্ষমতা –

যদি পেট্রল ভর্তি করার পরে গাড়ির কর্মক্ষমতা হ্রাস লক্ষ্য করা যায়, যেমন ইঞ্জিন মাঝে মাঝে আটকানো, মাইলেজ হ্রাস বা ইঞ্জিন দ্রুত গরম হয়ে যাওয়া, তাহলে এটি নকল পেট্রলের লক্ষণ হতে পারে।

৭) শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য পেট্রল পাম্প থেকে ক্রয় –

সর্বদা শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রল কিনতে হবে। অসমর্থিত বা অজানা পেট্রল পাম্প এড়িয়ে চলতে হবে, যেখানে নকল পেট্রল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে আসল এবং নকল পেট্রোল সনাক্ত করা যেতে পারে। নকল পেট্রল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এটি গাড়ির ইঞ্জিনের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে এবং বিশাল মেরামতের খরচের কারণ হয়ে উঠতে পারে।