পাখি গণনা 

North Dinajpur: জঙ্গলে গিয়েই বলে দিতে পারবেন পাখির সংখ্যা, কীভাবে? জেনে নিন

উত্তর দিনাজপুর: প্রতিবছরের মতো এবারও সেপ্টেম্বরের মাসের শেষে শুরু হয়ে গিয়েছে পাখি গণনার কাজ!  কীভাবে করা হয় এই পাখি গণনার কাজ? আপনিও শিখবেন নাকি?

বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকেই পক্ষী গণনার কাজ শুরু হয়ে যায় পাখিরালয়ে। উত্তর দিনাজপুর পিপল ফর অ্যানিমেলস, রায়গঞ্জ পিপল ফর এনিমেলস, উত্তর দিনাজপুর ফোটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সুদর্শনপুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্রের ছাত্র-ছাত্রীরা-সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা পক্ষী গণনা শুরু করেছে এই বছরে।

পাখি গণনার কাজ মূলত শনি ও রবিবার ছুটির দিনগুলোতে করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরই মে মাসের শেষের দিকে নাইট হেরেন, ওপেন বিল স্টক, কর্মরেন্ট ও ইগ্রেট এই চার প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে কুলিক পক্ষীনিবাসে ৷ প্রজনন ঘটিয়ে শাবকদের লালন পালন করে আবার নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তারা পাড়ি দেয় ভিনদেশে।

বছরের পর বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে । পাখির সংখ্যার নিরিখে সম্প্রতি এশিয়ার সর্ববৃহৎ পক্ষীনিবাস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কুলিক পক্ষীনিবাস।

পাখি গণনা পদ্ধতিতে প্রতিটি গাছে প্রথমেই নাম্বারিং করা থাকে । প্রতি গাছে প্রথমে পাখির বাসাগুলিকে গোনা হয় । বাসা প্রতি গড়ে চারটি করে পাখি ধরা হয়।

এরপর পুরো তথ্য তুলে দেওয়া হয় বন বিভাগের হাতে । তবে বহু পুরনো এই পদ্ধতিতে কিছুটা বদল চান পাখি গণনায় আসা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁদের কথায়, প্রত্যেক প্রজাতির পরিযায়ীর মধ্যে কিছু পার্থক্যযুক্ত পাখি থাকে। সেগুলিকে পৃথকভাবে গণনার আওতায় আনার প্রয়োজন আছে।

পিয়া গুপ্তা