উত্তর দিনাজপুর: প্লাস্টিক কিংবা কাগজ বন্ধ। মাটির ভাঁড়ের রমরমা বাজার। কীভাবে তৈরি হয় এই মাটির ভাঁড়? দামই বা কত টাকা এক একটি মাটির ভাঁড়ের? প্রতি বারই পুজোর মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক চাহিদা থাকে এগুলির। সারা বছর বাঙালি চায়ের আড্ডায় মশগুল থাকলেও পুজোর সময় চা-প্রেম যেন একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়। পুজোয় প্যান্ডেল হপিং হোক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে জমজমাটি আড্ডা, চা ছাড়া ঠিক জমে না। তাই প্রতি বছর পুজোর আগে মাটির কাপের চাহিদা থাকে রেকর্ড সংখ্যক।
সামনেই কালীপুজো। তাই এবারও পুজোর আগে ৪০-৫০ হাজার মাটির কাপের অর্ডার এসেছে। তাই দিনরাত এক করে মাটির কাপ তৈরি করতে ব্যস্ত কালিয়াগঞ্জের কুমোর হাট পাড়ার মৃৎশিল্পী দুলাল সরকার। শুধু চা খাওয়ার জন্যই নয়, বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলগুলো তাঁদের নতুনত্ব থিমের জন্য এই মাটির কাপগুলো ব্যবহার করে থাকেন। দুলাল সরকার জানান, ডিজাইনার বড় মাটির কাপগুলোর দাম ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়া ছোট মাটির কাপগুলোর দাম দু’থেকে তিন টাকা। দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজো, সব পার্বণেই মাটির কাপের চাহিদা প্রচুর। এগুলি বিক্রি করে বর্তমানে মোটা টাকা উপার্জন করছেন দুলাল সরকার। দুলাল সরকারের হাতের তৈরি মাটির কাপ বর্তমানে শুধু জেলা নয় জেলা ছাড়িয়ে পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যেও।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রজন্মের একটি বড় অংশ মাটির ভাঁড় চায়ে চুমুক দিয়ে নস্টালজিয়া খুঁজে পায়। কাগজ কিংবা প্লাস্টিকের কাপ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই দোকানে দোকানে এখন প্লাস্টিকের কাপ কিংবা কাগজের কাপ প্রায় উঠেই গেছে । তাই বর্তমানে এই মাটির কাপ তৈরি করে মোটা টাকা উপার্জন করার সুযোগ পাচ্ছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা।
পিয়া গুপ্তা