Tag Archives: Uttar dinajpur News

Uttar Dinajpur News: পুজোর মুখে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সমস্যায় ছোট ব্যবসায়ীরা! ব্যাপক ক্ষতি কেনাবেচায়

উত্তর দিনাজপুর: পুজোর মুখে নিম্নচাপের বৃষ্টি সমস্যায় পড়ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। পুজোতে বাকি আর মাত্র চারদিন। এরই মধ্যে বহু পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হয়ে গেছে। পুজোর শেষ মুহুর্তে লক্ষ্মীলাভের আশায় বুক বাঁধছিলেন বিক্রেতারা। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস এবং আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শহরের বাজারগুলির বিক্রেতারা। অন্যান্য বছর পুজোর শেষ লগ্নে মানুষের কেনাকাটার যে ছবিটা ধরা পড়ত, চলতি বছর তা উধাও।

নিম্নচাপের জেরে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। উত্তর দিনাজপুর জেলার ছোট-বড় বিভিন্ন বাজার গুলিতে তাই ক্রেতাদের  ভিড় নেই। সারাদিন ধরেই চলছে বৃষ্টি। ফলে পুজোর মধ্যে সমস্যায় পড়ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির জেরে বেশিরভাগ ফুটপাত ব্যবসায়ীরা এবারে তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতে পারেননি।

জল-কাদার মধ্যে অনেক ক্রেতাই মাঝপথে কেনাকাটা থামিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ফলে পুজোর মধ্যে বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য বছর এই সময় ক্রেতার ভিড়ে দম ফেলার ফুরসত পান না ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পুজোর মধ্যে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে পুজোর শেষ বাজার অনেকটাই মার খেয়েছে বলে দাবি ছোট ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি , বড় বড় মল এবং অনলাইন শপিংয়ের দাপটে আগে জৌলুস হারিয়েছে ছোট ছোট কাপড় ব্যবসায়ীদের। কিন্তু পুজোর মধ্যে নিম্নচাপের বৃষ্টি এবারে একরাশ দুশ্চিন্তায় ফেলে দিল ব্যবসায়ীদের।

পিয়া গুপ্তা

Durga Puja 2024: প্রথাগত শিক্ষা নেই! ২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে নজর কাড়লেন তরুণ শিল্পী

দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রথাগত শিক্ষা তাঁর নেই। কিন্তু অনায়াসেই প্রতি বছর দেবী দুর্গার মূর্তি বানিয়ে থাকেন শিল্পী ভাস্কর বসাক। ছোটবেলা থেকেই নিজে হাতে দেবীর মূর্তি বানিয়ে চলেছেন তিনি। বালুরঘাট শহরের সুভাষ কর্নার এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর নিজের শিল্পীসত্তাকে ধরে রাখতে যেন অনড়। বাবা জয়ন্ত বসাক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মা বাবলি বসাক গৃহবধূ। চলতি বছরে দু’ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে চমক দিয়েছেন ভাস্কর। যা তিনি সাজিয়ে তুলবেন ডাকের সাজে। এমনকি পিছনের সুদর্শন চালি তৈরি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুজোর আগে বিভিন্ন মৃৎশিল্পীর কাজ দেখতে দেখতেই ভাস্করের এই কাজের প্রতি ভালবাসা জন্মায়। এরপর থেকে অল্প-বিস্তর মূর্তি বানানোর চেষ্টা শুরু করেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি প্রতি বছর মূর্তি বানিয়ে তাঁর শিল্পীসত্তাকে ফুটিয়ে তোলেন। শহরের বেশ কিছু পুজো মণ্ডপ থেকে ইতিমধ্যে বরাত পেলেও তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র দুর্গা প্রতিমাই নয়, সারা বছরই তিনি মাটির মূর্তি-সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে থাকেন।

ভাস্কর জানান, ছোটবেলা থেকেই শিল্পের প্রতি তাঁর ভালবাসা।  স্কুল জীবনে যখন বাড়ি ফিরতেন, তখন দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা তৈরি দেখতেন। এখান থেকেই তাঁর সেই কাজের প্রতি ভালবাসা বাড়ে। ইচ্ছে জাগে নিজে হাতে তৈরি করার। তারপর থেকে প্রতি বছর দুর্গা পজোএলেই তৈরি করে ফেলেন এক চালার দুর্গা প্ৰতিমা। সঙ্গে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী এবং তাঁদের বাহনরা। যা  রেখে দেন বাড়িতেই।

ভাস্করের বাড়িতে গেলেই দেখা মিলবে নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিস। যা অতি সহজেই সকলকে আকৃষ্ট করবে। প্রতি বছরই বিভিন্ন ক্লাব কিংবা বাড়ির পুজোতে প্রতিমা তৈরির বরাত আসলেও, ভাস্কর শুধুমাত্র নিজের শখের জন্যই প্রতিমা বানান। এমনকি ভবিষ্যতে নিজের শিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য তাঁর।

সুস্মিতা গোস্বামী

Uttar Dinajpur News: কম বাজেটেই পুজোর বিশেষ থিম! তাক লাগাতে চলেছে কালিয়াগঞ্জের ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাব

উত্তর দিনাজপুর: কম বাজেটেই এবার পুজোর বিশেষ আকর্ষণ কালিয়াগঞ্জের ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাবে। বাঙালির অন্যতম বড় উৎসব দুর্গাপুজো আর ক’দিন পরেই। কিন্তু চলতি বছর পরিস্থিতি আলাদা। আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব শুধু শহরের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপরই নয়, পুজোর জাঁকজমকের উপরও পড়েছে। বড় বাজেটের পুজো করা বহু পুজো কমিটি গুলো কম বাজেটের মধ্যে পুজো করার চিন্তাভাবনা করছে।

পুজো বলতেই মাথায় আসে বড় বাজেটের বড় বড় পুজোর কথা। কিন্তু চলতি  বছরে বড় বাজেট নয়, কম বাজেটের মধ্যেও কী ভাবে সুন্দর করে পুজো করা যায়, তা দেখিয়ে দেবে কালিয়াগঞ্জের ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাব। হাতে অল্প সময়। মাত্র ১৫ দিন। আর এরই মধ্যে খুঁটিপুজোর মাধ্যমে তাঁরা শুরু করে দিলেন পুজোর প্রস্তুতি। প্রতি বছরই এই ক্লাব থিম পুজোর উপহার দিয়ে থাকে সাধারণ মানুষদের। চলতি বছরে ইয়ং স্পোটিং ক্লাবের থিম ‘মাটির ঘরে মা’। এই ক্লাবের পুজো এবারে ৫৫ বছরে পদার্পণ করবে।

জানা যায়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সামগ্রী যেমন ইট, মাটি, খড়, পাটকাঠি, দিয়েই পুজোর মণ্ডপ তৈরি হবে। সপরিবার দেবী দশভূজাকে দেখা যাবে একচালায়। চন্দননগরের আদলে আলোকসজ্জা থাকবে। পুজোর মোট বাজেট সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার পুরোহিতের বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে খুঁটিপুজো করে কালিয়াগঞ্জের ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাবের  পুজোর সূচনা হল। শান্ত গ্রাম বাংলার পরিবেশকে ফুটিয়ে তোলা হবে এই পুজোর মধ্য দিয়ে।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: স্কাল্পচারও হতে পারে আপনার পেশা! হতে পারে রোজগার! আগ্রহীদের পথ দেখাচ্ছেন এই ‌যুবক

উত্তর দিনাজপুর: হোম ইন্টেরিয়ার হিসাবে স্কাল্পচার অনেকের কাছেই বেশ নতুনত্ব। এই স্কাল্পচার শোফার পাশে কিংবা শোওয়ার ঘরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পছন্দসই একটি আর্ট পিস আপনার ঘরকে অন্য রূপ দেবে। তাই বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের নতুনত্ব সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান জোগাতে হাতে-কলমে স্কাল্পচারের কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর চিত্রাঙ্কন শিল্পী মিঠুন সরকার।তিনিসিমেন্ট দিয়ে তৈরি করে চলছেন একের পর এক ঘর সাজানোর বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি।

শুধু তিনি নন, তার অভিনবত্বের ছোঁয়ার মাধ্যমে তিনি এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন একেবারেই ঘরোয়া ভাবে। যা আজকের দিনে নতুন ভাবনার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের মিঠুন সরকার। যিনি ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন একজন চিত্রাঙ্কন শিল্পী হিসাবে। তিনি বলেন, “মামার বাড়িতে ছোটবেলায় দেখতাম মাটির কাজ হত। আর সেই দেখতে দেখতে এই কাজের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে যায় এবং ভালবাসা জন্মায়। তারপর আমি চিন্তা করলাম কী ভাবে নতুনত্ব কাজ করা যায়। এই থেকেই আমার কাজ শুরু। এখন আমি আমার হাতের কাজের বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করছি। শুধু তাই নয় এই জিনিস তৈরি করে আরও পাঁচজনকে শেখাচ্ছিও।”

বর্তমানে হাতের কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ এখন বিভিন্ন জায়গায় মেলা হয় আর সেখানে স্কাল্পচারের কাজের কদর অনেকটাই বেশি। বর্তমানে কোনও ছাঁচ ছাড়াই সিমেন্ট দিয়ে মাটির দুর্গা তৈরি করেছেন মিঠুন সরকার। যা একেবারেই আলাদা । তিনি জানান, সিমেন্টের যে দুর্গা তিনি তৈরি করছেন, তা শৌখিন মানুষদের জন্য। এটা তৈরি করতে খুব সময় কম লাগে এবং টেকসইও। মিঠুন বাবু বলেন, বাজারে এই দুর্গার দাম ৫০০ টাকা থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হয়। সামনে যেহেতু দুর্গাপুজো রয়েছে তাই তিনি এখন দুর্গামূর্তি তৈরি করছেন। এরপর রয়েছে সিমেন্টের কালী মূর্তি তৈরি করার পরিকল্পনা। বর্তমানে স্কাল্পচারের বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন কালিয়াগঞ্জের মিঠুন।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: বহুমুখী প্রতিভা! ন’বছর খুদের ঝুলিতে দেশ-বিদেশের পুরস্কার, কেন জানেন

উত্তর দিনাজপুর: মাত্র ন’বছর বয়সে বিশ্ব রেকর্ডে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর অমৃতা মোদক।মাত্র ন’বছর বয়স। কথা এখনও আধো আধো ভাব। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়ার অমৃতা মোদক এখন অসাধারণ প্রতিভার ঝড় তুলে একের পর এক বিরল রেকর্ডের অধিকারী।

তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী অমৃতা আবৃতি ,নাচ, গান এবং ক্যারাটেতে জেলা রাজ্য, জাতীয় স্তর এমনকি বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছে সে।

এক বছরের মধ্যে ৩৬৪ টি পুরস্কার জিতে আমেরিকা বুক অফ রেকর্ড, এশিয়া বুক অফ রেকর্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড, কালাম বুক অফ রেকর্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ড, ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল বুক অফ রেকর্ড এবং সর্বশেষ তেলঙ্গানা বুক অফ রেকর্ড সহ বিভিন্ন বিশ্ব রেকর্ডে তার নাম নথিভূক্ত হয়ে নয়া নজির সৃষ্টি করেছে সে। বিরল এই প্রতিভার অধিকারী অমৃতা জানায় আরো বড় জায়গায় গিয়ে আরো বড় পুরস্কার ছিনিয়ে আনার পাশাপাশি আগামীতে ডাক্তার হতে চান অমৃতা। ছোট্ট খুদের এই বহুমুখী প্রতিভায় অবাক সকলে।

পিয়া গুপ্তা

Pujo Fashion 2024: পুজোয় ‘হিট লুক’ আনুন সুতির কুর্তায়! ট্রেন্ডিং কোনগুলি, দামই বা কেমন, সবটা জেনে নিন

উত্তর দিনাজপুর: পুজোয় ‘হিট লুক’ আনুন সুতির কুর্তায়! শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন, তাই প্রস্তুতিও তুঙ্গে। চারদিকে এখন সেলের মরশুম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় চলে এক্সজিবিশনও।পুজোর আগেই তাই ডিসকাউন্টে চটজলদি শপিং সেরে ফেলতে বাজারগুলোতে উপচে পড়ছে ভিড়।

ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, প্রত্যেকেই সেরা কিছু ট্রেন্ডিং আউটফিট নিজের কালেকশনে যোগ করতে চাইছেন। বাজেটের মধ্যে স্টাইলিশ ফ্যাশনেবল পোশাকের পাশাপাশি সকলেই চাইছেন আরামদায়ক কিছু। এবার পুজোর বাজারে পশ্চিমী পোশাকের চাহিদা যেমন রয়েছে তেমনি ট্রেন্ডি এবং লেটেস্ট ডিজাইনের কুর্তার চাহিদাও তুঙ্গে । সুতির আরামদায়ক এই কুর্তাগুলো একদিকে ত্বক এবং শরীরের জন্য যেমন ভাল, তেমনই এর দামও মাত্র ১৫০ টাকা। তাই ইতিমধ্যেই ছেলে হোক কিংবা মেয়ে কুর্তি, টি-শার্ট, কিংবা সাদা শার্টের ভিড়ে নিজেকে মেলে ধরতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ১৫০ টাকার সুতির শর্ট কুর্তা।

পুজোর বাজার করতে আসা এক ক্রেতা নিকিতা সাহা জানান,অষ্টমীর অঞ্জলী, অফিস কিংবা অনুষ্ঠান যে কোনও সময় পরার জন্য ভীষণ আরামদায়ক এই সুতির শর্ট কুর্তা। বাটিকের কুর্তা, খাদি কুর্তা এবং গুজরাতি প্রিন্টের এই কুর্তাগুলোর চাহিদা বর্তমানে ভীষণ। এই কুর্তাগুলো দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ১৫০ টাকা থেকে। পুজোতে নিজের জন্য হোক কিংবা আত্মীয়স্বজনকে উপহার দিতে, বেছে নিতেই পারেন এই ধরনের একটি সুতির কুর্তা।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: খিচুড়ি থেকে ভাত! সব কিছুতেই সুপারহিট ‘এই’ চাল! কেন খাবেন, রইল তালিকা

উত্তর দিনাজপুর: জমিতে চাষ করলেই ১০ হাজার টাকা কুইন্ট্যালে বিক্রি হবে এই কাউন। হাজারও উপকার রয়েছে কাউনে। খিচুড়ি হোক কিংবা ভাত, সব কিছুতেই সুপারহিট কাউনের চাল। জমিতে চাষ করার দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই পাবেন ফল।

বর্তমানে উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি জনপ্রিয় ফসল হল কাউন। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি লাভও বেশি তাই বহু চাষি ধান ছেড়ে কাউন চাষ আগ্রহই হচ্ছেন। কাউন দিয়ে তৈরি করতে পারবেন পিঠে, পায়েস কিংবা বিস্কুট। পুষ্টিকর দানা জাতীয় খাদ্যশস্য হচ্ছে কাউন। কাউন চাষে খুব একটা সেচের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অল্প যত্ন নিলেই কম সময় ভাল ফলন হয়।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় কাউন চাষের জমিতে খুব একটা সারেরও প্রয়োজন হয় না।তাই দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে কাউনের। এই কাউনের বীজ বপনের উপযোগী সময় হল অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত বিদেশে রপ্তানি করাও সম্ভব। কাউনের চাল বাংলার বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তাই ঘরে বসে মোটা টাকা লাভ করতে আজই চাষ শুরু করুন কাউনের।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: রাজার পুকুরে মাছ ধরার সুযোগ! বিরাট সব আয়োজন, টিকিটের দাম কত জানেন

উত্তর দিনাজপুর: ৫০০ টাকার টিকিট কাটলেই রাজার পুকুরে মাছ ধরবেন ‘প্রজা’রা। প্রতি বছরের মতো এবারও রাজা কর্ণের পুকুরে ৫০০ টাকার টিকিট কাটলেই যত খুশি তত মাছ ধরার সুযোগ পাবেন। টিকিট কেটে ছিপ নিয়ে ভিতরে এলেই পেয়ে যাবেন এই পুকুরে আপনার পছন্দমত রুই, কাতল, মৃগল-সহ হরেক রকম মাছ। স্বাধীনতা দিবস থেকেই এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা চলবে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত। এই পুকুর থেকে একজন সর্বোচ্চ তিনটি ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। আর এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় প্রতি বছরের মতো এবারও শামিল হয়েছেন শিলিগুড়ি, মালদা, কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী বহু জেলার মানুষ।

কথিত আছে এই পুকুর নাকি এক সময় কর্ণ রাজার অঙ্গরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মহাভারতের দাতা কর্ণ নাকি একসময় বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করতে বেরিয়েছিলেন তার সৈন্যসামন্ত নিয়ে। যাত্রাপথে বিশ্রামের জন্য একটা জায়গা বেছে নিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি তিনি যে অঞ্চলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেখানে পানীয় জলের সমস্যা দেখতে পেয়ে তিনি একটি পুকুর খনন করেন সেই পুকুরই দাতা কর্ণের পুকুর নামে পরিচিত বা করণ দীঘির পুকুর নামে পরিচিত। এই পুকুরকে ঘিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকগাথা প্রচলিত আছে।

পরবর্তীতে এই করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল এই পুকুরকে ঘিরে একটি ট্যুরিজম পার্কের পরিণত করার পরিকল্পনা করেন। এবং এই পুকুরে মাছ ধরার একটা প্রতিযোগিতাও রাখেন প্রতি বছর। যারা এখানে মাছ ধরতে আসেন তাদের জন্য থাকা এবং খাবারও ব্যবস্থা রয়েছে। বহু মানুষ তাই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই কর্ণ রাজার পুকুরে আসেন মাছ ধরতে।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ! চলতি বছরে বাড়ছে দাম? জেনে নিন

উত্তর দিনাজপুর: হাতে মাত্র আর এক মাস। ইতিমধ্যেই বিশ্বকর্মা পুজোর প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎ শিল্পীদের। আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। ইতিমধ্যে তাই উত্তর দিনাজপুর জেলার কুমোরটুলিতে চরম ব্যস্ততা বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরিতে। ছোট-বড়-মাঝারি সব রকম শিল্প প্রতিষ্ঠানে এই বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে। সেই সূত্র ধরেই দুর্গোৎসবের সূচনা হয় বাংলায়। হাতে মাত্র একমাস। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাত-দিন বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

বিয়ের পর থেকেই প্রায় ৩৮ বছর ধরে এই প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছেন অনিমা পাল। তিনি বলেন, “অন্যান্য প্রতিমার মতো বিশ্বকর্মা প্রতিমাতে তেমন একটা লাভ হয় না আমাদের। এবছর ৬০ থেকে ৬৫ টা প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি। বাজারে বা হাটে গিয়ে বিশ্বকর্মা প্রতিমাগুলি বিক্রি করতে হয়। তাই ভ্যান এবং ঘর ভাড়া দিতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে লাভের পরিমাণটা খুব একটা বেশি থাকে না।”

অনিমা পাল জানান, এই বছর বিশ্বকর্মার ছোট প্রতিমাগুলির দাম ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা। এবং বড় বিশ্বকর্মা প্রতিমার দাম পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। প্রতিমা তৈরির মাটি কিনে আনতেইএক ট্রাক্টরের দামে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা।

জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলেও প্রতিমার দাম প্রতি বছরের তুলনায় খুব একটা বাড়েনি। ফলে এক প্রকার আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন বহু মৃৎশিল্পীরা।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: বহু বছর ধরে নেই কোনও সেতু! যাতায়াতের ভরসা একমাত্র নৌকা, বর্ষা এলেই দুর্যোগ নামে এই গ্রামে

উত্তর দিনাজপুর: বহু বছর ধরে নেই কোনও সেতু! এই গ্রামে ঘুরতে এলে নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হবে আপনাকেও। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের থারাইশ গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই গ্রাম। গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সুই নদী। গ্রামে প্রায় ৫০০ মানুষের বসতি। তবে এই গ্রামে বহু বছর ধরে নেই কোনও সেতু। গ্রামবাসীরা জানান,বহু বার তাঁদেরকে নদী পারাপারের সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেওয়া হলেও বহু বছর ধরে আজও এই গ্রামে নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হয় গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীদের।তবে শুধু থারাইশ গ্রামে নয়, ইটাহার থানার মারনাই অঞ্চলের হুসেন পুর, কেলাগাছি সহ আরও অনেক গ্রামে যাওযার কোন রাস্তা নেই।

স্বাধীনতার পর থেকে এখনওপর্যন্ত নদী পারাপার করেই এই গ্রামগুলোতে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসলেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেয়। কিন্তু ভোট পার হলেই আর কাউকে দেখা যায় না এলাকায়, ফলে বছরের পর বছর বর্তমানে নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হয় এই গ্রামের বাচ্চা থেকে বড় সকলকে।তবে খরার সময় গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের মাচা বানিয়ে নদী পারাপার করলে অনেক সময় মাচা পার হতে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

এছাড়া বর্ষার সময় মাঝে মাঝে নৌকা ডুবে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মুখেও পড়তে হয়। এই ব্যাপারে ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ইটাহারে নদী সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি সেতুর নির্মাণ দরকার, কিন্তু টাকা না পাওয়ায় সেতু নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। এই বিষয়ে বিধান সভাতেও প্রস্তাব রেখেছি। তবে দেখার বিষয় আর কত বছর লাগে এ গ্রামের সেতু নির্মাণ হতে।

পিয়া গুপ্তা