Tag Archives: Uttar Dinajpur

Uttar Dinajpur News: স্কাল্পচারও হতে পারে আপনার পেশা! হতে পারে রোজগার! আগ্রহীদের পথ দেখাচ্ছেন এই ‌যুবক

উত্তর দিনাজপুর: হোম ইন্টেরিয়ার হিসাবে স্কাল্পচার অনেকের কাছেই বেশ নতুনত্ব। এই স্কাল্পচার শোফার পাশে কিংবা শোওয়ার ঘরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পছন্দসই একটি আর্ট পিস আপনার ঘরকে অন্য রূপ দেবে। তাই বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের নতুনত্ব সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান জোগাতে হাতে-কলমে স্কাল্পচারের কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর চিত্রাঙ্কন শিল্পী মিঠুন সরকার।তিনিসিমেন্ট দিয়ে তৈরি করে চলছেন একের পর এক ঘর সাজানোর বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি।

শুধু তিনি নন, তার অভিনবত্বের ছোঁয়ার মাধ্যমে তিনি এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন একেবারেই ঘরোয়া ভাবে। যা আজকের দিনে নতুন ভাবনার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের মিঠুন সরকার। যিনি ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন একজন চিত্রাঙ্কন শিল্পী হিসাবে। তিনি বলেন, “মামার বাড়িতে ছোটবেলায় দেখতাম মাটির কাজ হত। আর সেই দেখতে দেখতে এই কাজের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে যায় এবং ভালবাসা জন্মায়। তারপর আমি চিন্তা করলাম কী ভাবে নতুনত্ব কাজ করা যায়। এই থেকেই আমার কাজ শুরু। এখন আমি আমার হাতের কাজের বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করছি। শুধু তাই নয় এই জিনিস তৈরি করে আরও পাঁচজনকে শেখাচ্ছিও।”

বর্তমানে হাতের কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ এখন বিভিন্ন জায়গায় মেলা হয় আর সেখানে স্কাল্পচারের কাজের কদর অনেকটাই বেশি। বর্তমানে কোনও ছাঁচ ছাড়াই সিমেন্ট দিয়ে মাটির দুর্গা তৈরি করেছেন মিঠুন সরকার। যা একেবারেই আলাদা । তিনি জানান, সিমেন্টের যে দুর্গা তিনি তৈরি করছেন, তা শৌখিন মানুষদের জন্য। এটা তৈরি করতে খুব সময় কম লাগে এবং টেকসইও। মিঠুন বাবু বলেন, বাজারে এই দুর্গার দাম ৫০০ টাকা থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হয়। সামনে যেহেতু দুর্গাপুজো রয়েছে তাই তিনি এখন দুর্গামূর্তি তৈরি করছেন। এরপর রয়েছে সিমেন্টের কালী মূর্তি তৈরি করার পরিকল্পনা। বর্তমানে স্কাল্পচারের বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন কালিয়াগঞ্জের মিঠুন।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: বহুমুখী প্রতিভা! ন’বছর খুদের ঝুলিতে দেশ-বিদেশের পুরস্কার, কেন জানেন

উত্তর দিনাজপুর: মাত্র ন’বছর বয়সে বিশ্ব রেকর্ডে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর অমৃতা মোদক।মাত্র ন’বছর বয়স। কথা এখনও আধো আধো ভাব। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়ার অমৃতা মোদক এখন অসাধারণ প্রতিভার ঝড় তুলে একের পর এক বিরল রেকর্ডের অধিকারী।

তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী অমৃতা আবৃতি ,নাচ, গান এবং ক্যারাটেতে জেলা রাজ্য, জাতীয় স্তর এমনকি বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছে সে।

এক বছরের মধ্যে ৩৬৪ টি পুরস্কার জিতে আমেরিকা বুক অফ রেকর্ড, এশিয়া বুক অফ রেকর্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড, কালাম বুক অফ রেকর্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ড, ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল বুক অফ রেকর্ড এবং সর্বশেষ তেলঙ্গানা বুক অফ রেকর্ড সহ বিভিন্ন বিশ্ব রেকর্ডে তার নাম নথিভূক্ত হয়ে নয়া নজির সৃষ্টি করেছে সে। বিরল এই প্রতিভার অধিকারী অমৃতা জানায় আরো বড় জায়গায় গিয়ে আরো বড় পুরস্কার ছিনিয়ে আনার পাশাপাশি আগামীতে ডাক্তার হতে চান অমৃতা। ছোট্ট খুদের এই বহুমুখী প্রতিভায় অবাক সকলে।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: খিচুড়ি থেকে ভাত! সব কিছুতেই সুপারহিট ‘এই’ চাল! কেন খাবেন, রইল তালিকা

উত্তর দিনাজপুর: জমিতে চাষ করলেই ১০ হাজার টাকা কুইন্ট্যালে বিক্রি হবে এই কাউন। হাজারও উপকার রয়েছে কাউনে। খিচুড়ি হোক কিংবা ভাত, সব কিছুতেই সুপারহিট কাউনের চাল। জমিতে চাষ করার দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই পাবেন ফল।

বর্তমানে উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি জনপ্রিয় ফসল হল কাউন। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি লাভও বেশি তাই বহু চাষি ধান ছেড়ে কাউন চাষ আগ্রহই হচ্ছেন। কাউন দিয়ে তৈরি করতে পারবেন পিঠে, পায়েস কিংবা বিস্কুট। পুষ্টিকর দানা জাতীয় খাদ্যশস্য হচ্ছে কাউন। কাউন চাষে খুব একটা সেচের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অল্প যত্ন নিলেই কম সময় ভাল ফলন হয়।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় কাউন চাষের জমিতে খুব একটা সারেরও প্রয়োজন হয় না।তাই দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে কাউনের। এই কাউনের বীজ বপনের উপযোগী সময় হল অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত বিদেশে রপ্তানি করাও সম্ভব। কাউনের চাল বাংলার বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তাই ঘরে বসে মোটা টাকা লাভ করতে আজই চাষ শুরু করুন কাউনের।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: রাজার পুকুরে মাছ ধরার সুযোগ! বিরাট সব আয়োজন, টিকিটের দাম কত জানেন

উত্তর দিনাজপুর: ৫০০ টাকার টিকিট কাটলেই রাজার পুকুরে মাছ ধরবেন ‘প্রজা’রা। প্রতি বছরের মতো এবারও রাজা কর্ণের পুকুরে ৫০০ টাকার টিকিট কাটলেই যত খুশি তত মাছ ধরার সুযোগ পাবেন। টিকিট কেটে ছিপ নিয়ে ভিতরে এলেই পেয়ে যাবেন এই পুকুরে আপনার পছন্দমত রুই, কাতল, মৃগল-সহ হরেক রকম মাছ। স্বাধীনতা দিবস থেকেই এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা চলবে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত। এই পুকুর থেকে একজন সর্বোচ্চ তিনটি ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। আর এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় প্রতি বছরের মতো এবারও শামিল হয়েছেন শিলিগুড়ি, মালদা, কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী বহু জেলার মানুষ।

কথিত আছে এই পুকুর নাকি এক সময় কর্ণ রাজার অঙ্গরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মহাভারতের দাতা কর্ণ নাকি একসময় বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করতে বেরিয়েছিলেন তার সৈন্যসামন্ত নিয়ে। যাত্রাপথে বিশ্রামের জন্য একটা জায়গা বেছে নিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি তিনি যে অঞ্চলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেখানে পানীয় জলের সমস্যা দেখতে পেয়ে তিনি একটি পুকুর খনন করেন সেই পুকুরই দাতা কর্ণের পুকুর নামে পরিচিত বা করণ দীঘির পুকুর নামে পরিচিত। এই পুকুরকে ঘিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকগাথা প্রচলিত আছে।

পরবর্তীতে এই করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল এই পুকুরকে ঘিরে একটি ট্যুরিজম পার্কের পরিণত করার পরিকল্পনা করেন। এবং এই পুকুরে মাছ ধরার একটা প্রতিযোগিতাও রাখেন প্রতি বছর। যারা এখানে মাছ ধরতে আসেন তাদের জন্য থাকা এবং খাবারও ব্যবস্থা রয়েছে। বহু মানুষ তাই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই কর্ণ রাজার পুকুরে আসেন মাছ ধরতে।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ! চলতি বছরে বাড়ছে দাম? জেনে নিন

উত্তর দিনাজপুর: হাতে মাত্র আর এক মাস। ইতিমধ্যেই বিশ্বকর্মা পুজোর প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎ শিল্পীদের। আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। ইতিমধ্যে তাই উত্তর দিনাজপুর জেলার কুমোরটুলিতে চরম ব্যস্ততা বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরিতে। ছোট-বড়-মাঝারি সব রকম শিল্প প্রতিষ্ঠানে এই বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে। সেই সূত্র ধরেই দুর্গোৎসবের সূচনা হয় বাংলায়। হাতে মাত্র একমাস। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাত-দিন বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

বিয়ের পর থেকেই প্রায় ৩৮ বছর ধরে এই প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছেন অনিমা পাল। তিনি বলেন, “অন্যান্য প্রতিমার মতো বিশ্বকর্মা প্রতিমাতে তেমন একটা লাভ হয় না আমাদের। এবছর ৬০ থেকে ৬৫ টা প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি। বাজারে বা হাটে গিয়ে বিশ্বকর্মা প্রতিমাগুলি বিক্রি করতে হয়। তাই ভ্যান এবং ঘর ভাড়া দিতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে লাভের পরিমাণটা খুব একটা বেশি থাকে না।”

অনিমা পাল জানান, এই বছর বিশ্বকর্মার ছোট প্রতিমাগুলির দাম ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা। এবং বড় বিশ্বকর্মা প্রতিমার দাম পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। প্রতিমা তৈরির মাটি কিনে আনতেইএক ট্রাক্টরের দামে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা।

জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলেও প্রতিমার দাম প্রতি বছরের তুলনায় খুব একটা বাড়েনি। ফলে এক প্রকার আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন বহু মৃৎশিল্পীরা।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: বহু বছর ধরে নেই কোনও সেতু! যাতায়াতের ভরসা একমাত্র নৌকা, বর্ষা এলেই দুর্যোগ নামে এই গ্রামে

উত্তর দিনাজপুর: বহু বছর ধরে নেই কোনও সেতু! এই গ্রামে ঘুরতে এলে নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হবে আপনাকেও। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের থারাইশ গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই গ্রাম। গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সুই নদী। গ্রামে প্রায় ৫০০ মানুষের বসতি। তবে এই গ্রামে বহু বছর ধরে নেই কোনও সেতু। গ্রামবাসীরা জানান,বহু বার তাঁদেরকে নদী পারাপারের সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেওয়া হলেও বহু বছর ধরে আজও এই গ্রামে নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হয় গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীদের।তবে শুধু থারাইশ গ্রামে নয়, ইটাহার থানার মারনাই অঞ্চলের হুসেন পুর, কেলাগাছি সহ আরও অনেক গ্রামে যাওযার কোন রাস্তা নেই।

স্বাধীনতার পর থেকে এখনওপর্যন্ত নদী পারাপার করেই এই গ্রামগুলোতে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসলেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেয়। কিন্তু ভোট পার হলেই আর কাউকে দেখা যায় না এলাকায়, ফলে বছরের পর বছর বর্তমানে নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হয় এই গ্রামের বাচ্চা থেকে বড় সকলকে।তবে খরার সময় গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের মাচা বানিয়ে নদী পারাপার করলে অনেক সময় মাচা পার হতে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

এছাড়া বর্ষার সময় মাঝে মাঝে নৌকা ডুবে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মুখেও পড়তে হয়। এই ব্যাপারে ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ইটাহারে নদী সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি সেতুর নির্মাণ দরকার, কিন্তু টাকা না পাওয়ায় সেতু নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। এই বিষয়ে বিধান সভাতেও প্রস্তাব রেখেছি। তবে দেখার বিষয় আর কত বছর লাগে এ গ্রামের সেতু নির্মাণ হতে।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: আপনি কি প্রেমে পড়তে ভয় পান? অজান্তেই হতে পারেন এই রোগের শিকার! এখনই সাবধান হন

উত্তর দিনাজপুর: আপনি কি প্রেমে পড়তে ভয় পাচ্ছেন? আপনিও ফিলোফোবিয়ায় আক্রান্ত নন তো? পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছুতে ভয় পায়। এক এক জনের ভয় এক এক রকমের আবার এমন দেখা যায় কেউ কেউ আবার প্রেম করতে ভয় পান ? কোনও সম্পর্কে জড়াতে ভয় পান? পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা ভালবাসতে ভয় পান। আসলে, এই লোকেরা অন্যদের সহজে বিশ্বাস করতে পারেন না। কী কারণে প্রেম করতে এত ভয় পান, জেনে নেওয়া যাক। বিশিষ্ট মনোবিদ রঞ্জন দাস জানান,আসলে এটা এক ধরনের মানসিক রোগ। চিকিৎসার ভাষায় একে বলা হয় ফিলোফোবিয়া। এটি আপনাকে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা থেকে বিরত রাখতে পারে।

এক কথায় এই ফিলোফোবিয়া কথার অর্থ প্রেমে পড়ার ভয়। এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে প্রেমের ক্ষেত্রে মানসিক ভাবে সংযুক্তির ভয় রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য ভালবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি। কিন্তু এই সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা প্রেমকে ভয়ানক বলে মনে করেন।কারণ একটা সময় জীবনে তাদের বিভিন্ন রকম খারাপ অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: বর্ষায় ঘরের ধারেকাছেও ঘেষবে না পোকামাকড়! কোনও খরচ ছা়ড়াই হবে কাজ, রইল ৫ টিপস

আরও পড়ুন: পাতের এক কোণে ফেলে রাখেন! গুণে গুণে এক ডজন রোগ সারায় এই পাতা, কোষ্ঠকাঠিন্যের যম

কিছু মানুষ আছেন, যারা খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বা ভালবাসার মানুষের কাছে প্রতারণার শিকার হয়ে জীবনে আর কখনওই প্রেমের সম্পর্কে না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এর বাইরে এমনও কিছু মানুষ আছেন, যারা এরকম কোনও অভিজ্ঞতার সম্মুখীন না হয়েও কখনোই প্রেম করতে চান না। এমনকি কেউ তাকে সত্যিই অনেক অনেক ভালবাসে জেনেও তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। মগ্ন থাকেন শুধু নিজের ভাবনায়। প্রেম সংক্রান্ত এই ভয়টা কোনও স্বাভাবিক বিষয় নয়।

পিয়া গুপ্তা

Mental Health: সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না? সঙ্গীকেও সন্দেহ! কোন ভয়ঙ্কর রোগ বাসা বেঁধেছে

উত্তর দিনাজপুর: সহজে কি কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না? আপনি পিস্তানথ্রোফোবিয়ায় ভুগছেন না তো? বর্তমানে যা দিনকাল অনেকেই এখন সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা। বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট রঞ্জন দাস জানান, এমন অনেকেই আছেন যারা মন থেকে কাউকে বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বাস করে মনের কথা বলে ঠকেছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই আবার আপনার বিশ্বাস ভেঙেছেন। তখন মনে হয়, অনেক হয়েছে আর নয়। কাউকে বিশ্বাস করতে চাই না। কেউ ভাল কিছু বললেও আমরা ধরেই নিই যে, বোধহয় আমার কোনও খারাপ করাই তাঁর উদ্দেশ্য। আসলে মানুষটি যে কোনও ভাল উদ্দেশ্যও থাকতে পারে তা কিন্তু আমরা মনেই করি না। কিন্তু জানেন , এই ধারণা কত ভুল? বিশ্বাস না করলে আপনি লোক চিনবেন কীকরে? বরং ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা এক্ষেত্রে অনেক বেশি।

ডাক্তারি ভাষায় এই মনের রোগের নাম পিস্তানথ্রোফোবিয়া। কাউকে বিশ্বাস করতে না পারা থেকেই এই সমস্যার তৈরি হয়। ধরুন এই মুহূর্তে আপনি আবার নতুন করে প্রেমে পড়েছেন। হঠাৎ দেখলেন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত। এবার আপনি হয়তো ভাবলেন নির্ঘাত অন্য কারোর সঙ্গে প্রেম করছে। সঙ্গে সঙ্গেই তার সোশ্যাল মিডিয়া চেক করে দেখলেন। এমনকী বারবার কোনও ছবির কমেন্টস পড়ে বোঝার চেষ্টা করছেন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায় কিনা। এখান থেকেই পরে শুরু হয় বিপত্তি।

আরও পড়ুন: লিচুর মতোই দেখতে! লিচু নয় এই ফল! রয়েছে হাজারও উপকারিতা, কোথায় পাবেন জেনে নিন

আরও পড়ুন: পেটেই কেন সবচেয়ে বেশি মেদ জমে? নিমেষে কমাবেনই কী ভাবে? সহজ টিপসেই ঝটপট কাজ

সবসময় প্রমাণ চাইবেন না। সঙ্গীকে বিশ্বাস করতে শিখুন। সংশয়, অবিশ্বাস কোনও সম্পর্কেই কাম্য নয়। এখান থেকেই পরবর্তীতে পিস্তানথ্রোফোবিয়া শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে কোনও মানুষকে বিচার করবেন না। কারণ সত্যি মিথ্যে সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে বোঝা যায় না। এছাড়াও অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার আপনাকে অন্যদের থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত আশা কখনই রাখবেন না কারও প্রতি তাহলেই ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

পিয়া গুপ্তা

Uttar Dinajpur News: চাকরি না করেই দারুণ রোজগার! চপ-ঘুগনি বিক্রি করে পূর্ণিমার আয় কত? জানলে অবাক হবেন

উত্তর দিনাজপুর: চপ ঘুগনি বিক্রি করেই কেল্লাফতে পূর্ণিমার। নাম পূর্ণিমা হলেও জীবনটা যেন এক সময় অন্ধকারময় হয়ে গিয়েছিল। এক দুর্ঘটনায় স্বামীর হাত ভেঙে যায়। তারপর থেকেই স্বামী-সহ বাচ্চা এবং পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল বছর ৪০-এর পূর্ণিমা বর্মণকে। সেই থেকেই শুরু করেছিলেন রাস্তায় রাস্তায় চপ-ঘুগনি বিক্রি। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন অলিগলিতে ভ্যান রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন চপ-ঘুগনি বিক্রি করতে।

আলুর চপ, ঘুগনি, পেঁয়াজি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের তেলেভাজা বিক্রি করে প্রায় দিনই ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা রোজগার হয় পূর্ণিমা দেবীর। অর্থাৎ মাসে ২৫ হাজার টাকা রোজগার করে থাকেন তিনি। এই তেলেভাজা, ঘুগনি বিক্রি করে বাড়িতে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা এবং সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করে বিভিন্ন ধরনের চপ। তাঁর দোকানের এক টাকার পেঁয়াজি, পাঁচ টাকার আলুর চপ এবং পাঁচ টাকার ঘুগনি বেশ জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তার অতলে লাল টং বস্তির বাসিন্দারা! অস্তিত্বের সংকটে গ্রাম

আরও পড়ুন: অঙ্ক ও বিজ্ঞানে ভীতি কাটাতে স্কুলের বিরাট আয়োজন, খুশি অভিভাবকরাও

সকালবেলা পুরি আবার কখনও পরোটাও বিক্রি করেন পূর্ণিমা দেবী। সকাল দশটা থেকেই শুরু হয়ে যায় তাঁর চপ ঘুগনি এবং পরোটা বিক্রি। সকাল হলেই বাড়ির সমস্ত কাজ সামলে তারপরে বেরিয়ে পড়েন ভ্যানরিক্সা নিয়ে চপ ঘুগনি বিক্রি করতে। র্তমানে এই পেশাই যেন নেশায় পরিণত হয়েছে তাঁর। বেশি পড়াশোনা করেননি তাই চাকরির আশাও করেন না ।তবে চাকরি না করেও বর্তমানে এই চপ-ঘুগনি বিক্রি করেই আসে হাজার হাজার টাকা।

পিয়া গুপ্তা