নৌকায় পড়ুয়ারা 

East Bardhaman News: নদী পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল যেতে হয় শতাধিক পড়ুয়াকে 

পূর্ব বর্ধমান :  রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বর্ষাকালে নদী পেরিয়ে নৌকা করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিদ্যালয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। নৌকাতে ভিড় এত বেশি হচ্ছে যে যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকলেও কোনও উপায় নেই। একরকম বাধ্য হয়েই নদী পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় পড়ুয়াদের। পড়ুয়াদের কথায় বর্ষাকাল এলেই তাদের এহেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।পূর্ব বর্ধমানের যেন দুটি ব্লকের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে খড়ি নদী। খড়ি নদীর একপাড়ে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া এবং আরেক দিকে মন্তেশ্বর ব্লকের সুটরা। দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া, সোনাকুড়ি, গাগরা, বেলগরিয়া গ্রাম থেকে প্রত্যেকদিন প্রায় শতাধিক পড়ুয়াকে নদী পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।

পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও উচ্চ বিদ্যালয় নেই। যেকারণে বেশ কিছু গ্রামের শতাধিক পড়ুয়াকে নদী পেরিয়ে মন্তেশ্বর ব্লকের ‘সুটরা মুক্তেশ্বর বিদ্যানিকেতন’ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যেতে হয়। তবে বছরের অন্যান্য সময় যাতায়াতের জন্য খড়ি নদীর উপর বাঁশের সেতু থাকলেও। প্রত্যেক বছর বর্ষাকালে সেই সেতু ভেঙে যায়। তাই এইসময় নৌকা করেই বিদ্যালয়ে যেতে হয় পড়ুয়াদের। এই বিষয়ে পিউ ঘোষ নামের এক পড়ুয়া জানিয়েছে, “বাঁশের সেতু ভেঙে গিয়েছে তাই নৌকা করে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে যেতেও অনেক সময় দেরি হয়। এরজন্য বকুনি খেতে হয় শিক্ষকদের কাছে। আর বাড়ি থেকে এভাবে বিদ্যালয়ে যেতে আমাদের অনেক পরিশ্রম হয়।”

আরও পড়ুন : আফগানি রাবাব-এর টানে ছেড়েছেন চাকরি! সেই বাদ্যযন্ত্র এখন অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা মাতাচ্ছে

মন্তেশ্বর ব্লকের ব্রহ্মপুর, সুটরা, উত্তর ডিহি, গোয়ালবাড়ি, রায়গ্রাম, মাছডাঙা সহ আরও বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে নদী পেরিয়ে পূর্বস্থলী ব্লকে আসতে হয়। অনেকে বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট এবং নবদ্বীপ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরেন। বহু পড়ুয়া পড়তে যায় নবদ্বীপ কলেজে। এছাড়াও বহু চাষিকেও পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়া পাইকারি সবজি বাজারে ফসল নিয়ে আসতে হয়। অন্যদিকে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া, সোনাকুড়ি, গাগরা, বেলগরিয়া গ্রাম থেকেও শতাধিক ছাত্রছাত্রী আসে মন্তেশ্বরের উচ্চ বিদ্যালয়ে। সবমিলিয়ে দুই ব্লকের একাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম রাস্তা এই নদীপথ।

আরও পড়ুন : দুর্দান্ত ভাবনা বর্ধমানের এই পুরসভার, জানলে আপনিও খুশি হবেন

এই বিষয়ে দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান অপর্ণা চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, “মামুদপুর ২ পঞ্চায়েতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও চেষ্টা করছেন অতি শীঘ্র যাতে পাকা সেতুটি করা যায়।”বছরের পর বছর ধরে বর্ষার সময় ঝুঁকিপূর্ন ভাবেই নদী পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় পড়ুয়াদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

ছোট খাটো বিপদ ও ঘটেছে একাধিক বার। তবে সমস্যার সমাধান না হওয়ার কারণে এখন একমাত্র ভরসা শুধুমাত্র নৌকা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী