কাজ করছেন মহিলারা 

East Bardhaman News: এই কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের শতাধিক মহিলা 

পূর্ব বর্ধমান: সেলাইয়ের কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন প্রায় শতাধিক মহিলা। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের হাতে বোনা নকশা দিয়ে তৈরি শাড়ি, পোশাক পৌঁছাচ্ছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত একটি গ্রাম হল ঘোড়ানাশ। যে গ্রাম রাজ্য তথা ভিন রাজ্যেও পরিচিত তাঁতের জন্য। এই গ্রামের প্রায় অধিকাংশ বাড়ির মানুষেরাই যুক্ত এই শিল্পের সঙ্গে। তবে বর্তমানে আর কেবল শাড়িনয়। শাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি হয় এই গ্রামে। ঘোড়ানাশ সিল্ক খাদি গ্রামোদ্যোগ সমিতি নামক এই সংস্থার উদ্যোগে তৈরি হয় এই সকল পোশাক। যা পাড়ি দেয় রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জায়গায়।

আর সেই শাড়ি, পোশাকে নকশা তৈরির কাজেই হাত লাগিয়েছেন গ্রামের মহিলারাও। যে মহিলারা আগে বাড়িতে গৃহবধূ হিসেবেই থাকতেন। বর্তমানে তাঁরাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। শাড়ি , পোশাকের উপর নকশা করে স্বনির্ভর হচ্ছেন গ্রামের একাধিক মহিলা। এই প্রসঙ্গে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রভাতি মণ্ডল, টুম্পা সাহা রা বলেন , “কাথা স্টিচ, বোতাম , সেলাই, নকশা সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ এখানে হয়। আগে আমরা গৃহবধূ হয়ে বাড়িতেই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। কিন্তু এখন এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে অনেকটা ভাল আছি। সকাল ১০:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত আমাদের কাজ করতে হয়। মাঝে টিফিন করার জন্য অনেকটা সময় থাকে। এখানে কাজ করে আমরা যা উপার্জন করি সেটা সংসারেও দিই , আবার নিজেদের হাতখরচও চালাই। আমাদের আর্থিক পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে।”

আরও পড়ুন : নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ় দম্পতির, শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা!

পূর্ব বর্ধমান জেলার ঘোড়ানাশ গ্রামের এই সংস্থার তৈরি শাড়ি ও পোশাক এর ভাল খ্যাতি এবং চাহিদা রয়েছে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংস্থার তৈরি পোশাকের একটা বড় অংশ পাড়ি দেয় বিদেশের মাটিতেও। মূলত স্থানীয় মহিলা তথা গৃহবধূদের স্বনির্ভর করে তুলতেই, তাদের এই কাজে যুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার। এই প্রসঙ্গে সংস্থার কর্ণধার রাঘবেন্দ্র দাস জানান, “আমাদের সংস্থায় ট্রেলার দাদারা কাজ করেন। আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম যদি আমাদের সংস্থার কাজে গ্রামের মহিলাদের রাখা যায় তাহলে তাঁরাও স্বনির্ভর হবেন। তাঁদের আর্থিক উন্নতি হবে সঙ্গে আমাদেরও সুবিধা হবে। তাই মহিলারা এখন এখানে কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। আগামী দিনে এই সংস্থা আরও বড় করে ভাল কর্মসংস্থানের চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এখানকার তৈরি জিনিস রাজ্য , দেশের বিভিন্ন জায়গা সহ বিদেশেও যায়। “

আরও পড়ুন : মধ্যরাতে ভয়াবহ কাণ্ড! একই দিনে তিন স্কুলে ঘটে গেল সাংঘাতিক ঘটনা, শুনলে গা কাঁটা দেবে

আরও জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের একটা নির্দিষ্ট সময় মহিলারা এই কাজ করেন। বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও শাড়িতে নকশা তৈরির কাজ করে থাকেন তারা। এই কাজ করে একদিকে যেমন কাজ শেখা হয়, ঠিক তেমনই ভালো অর্থ উপার্জনও হয় বলে জানান এই সংস্থায় কাজ করা মহিলারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাদের উপার্জিত অর্থের কিছুটা অংশ বাড়িতে দেওয়ার পরেও, তারা নিজেরাও একটু একটু করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন এই কাজের হাত ধরেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী