১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর। যশবন্ত সিংয়ের বাড়ির সামনে পড়েছিল লম্বা লাইন। সেই সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। মূলত বিদেশমন্ত্রীকে অভিননন্দন জানানোর জন্যই হাতে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টির বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মানুষ। যশবন্তের বাড়িতে ছিলেন তাঁর নাতনি। তাঁর বাসভবনে ছিল যেন আনন্দের জোয়ার। এরই মাঝে আচমকাই কেউ এসে যশবন্তের কানে কানে কিছু বললেন। মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল পরিস্থিতি। রীতিমতো দৌড়ে টেলিফোনের কাছে ছোটেন তিনি। আর ফোন রাখার মিনিট কয়েক পরেই রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (সিএমজি)-এর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন তিনি। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়ান আইসি ৮১৪ হাইজ্যাকের পরেই এই সিএমজি গঠিত হয়েছিল।

IC 814: কান্দাহার থেকে ফেরার সময় জঙ্গিদের কাছ থেকে এই বিশেষ ‘উপহার’ পেয়েছিলেন অজিত ডোভাল; এরপর সেটা নিয়ে যা করেছিলেন তিনি…

১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর। যশবন্ত সিংয়ের বাড়ির সামনে পড়েছিল লম্বা লাইন। সেই সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। মূলত বিদেশমন্ত্রীকে অভিননন্দন জানানোর জন্যই হাতে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টির বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মানুষ। যশবন্তের বাড়িতে ছিলেন তাঁর নাতনি। তাঁর বাসভবনে ছিল যেন আনন্দের জোয়ার। এরই মাঝে আচমকাই কেউ এসে যশবন্তের কানে কানে কিছু বললেন। মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল পরিস্থিতি। রীতিমতো দৌড়ে টেলিফোনের কাছে ছোটেন তিনি। আর ফোন রাখার মিনিট কয়েক পরেই রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (সিএমজি)-এর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন তিনি। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়ান আইসি ৮১৪ হাইজ্যাকের পরেই এই সিএমজি গঠিত হয়েছিল।
১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর। যশবন্ত সিংয়ের বাড়ির সামনে পড়েছিল লম্বা লাইন। সেই সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। মূলত বিদেশমন্ত্রীকে অভিননন্দন জানানোর জন্যই হাতে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টির বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মানুষ। যশবন্তের বাড়িতে ছিলেন তাঁর নাতনি। তাঁর বাসভবনে ছিল যেন আনন্দের জোয়ার। এরই মাঝে আচমকাই কেউ এসে যশবন্তের কানে কানে কিছু বললেন। মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল পরিস্থিতি। রীতিমতো দৌড়ে টেলিফোনের কাছে ছোটেন তিনি। আর ফোন রাখার মিনিট কয়েক পরেই রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (সিএমজি)-এর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন তিনি। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়ান আইসি ৮১৪ হাইজ্যাকের পরেই এই সিএমজি গঠিত হয়েছিল।
RAW-এর প্রধানের কাছে ডোভালের ফোন: দুলত লিখেছেন যে, “কান্দাহারে পৌঁছনোর পরে প্রথম দিন থেকেই অনবরত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন অজিত ডোভাল। ১৯৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর জঙ্গিদের মুক্ত করার আগে যখন একটা বৈঠক করা হয়েছিল, তখন উনি আমায় ফোন করেছিলেন। ডোভাল আমায় বলেছিলেন যে, স্যার, এখানে থাকা অত্যন্ত কঠিন। এখন এখানকার মানুষ আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, যদি এই চুক্তিতে আমরা স্বাক্ষর না করি, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন এই জায়গা ছেড়ে চলে যাই। আপনারা যেখানে খুশি যান। আমি জানি না, এরা বিমান আরোহী এবং আমাদের সঙ্গে কী করবে…।” জঙ্গিদের নিয়ে যখন যশবন্ত সিং কান্দাহার এয়ারস্ট্রিপে পৌঁছন, তখন দীর্ঘ সময় ধরে তালিবানের কেউই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। ফলে যশবন্ত সিংকে বিমানেই অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
RAW-এর প্রধানের কাছে ডোভালের ফোন: দুলত লিখেছেন যে, “কান্দাহারে পৌঁছনোর পরে প্রথম দিন থেকেই অনবরত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন অজিত ডোভাল। ১৯৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর জঙ্গিদের মুক্ত করার আগে যখন একটা বৈঠক করা হয়েছিল, তখন উনি আমায় ফোন করেছিলেন। ডোভাল আমায় বলেছিলেন যে, স্যার, এখানে থাকা অত্যন্ত কঠিন। এখন এখানকার মানুষ আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, যদি এই চুক্তিতে আমরা স্বাক্ষর না করি, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন এই জায়গা ছেড়ে চলে যাই। আপনারা যেখানে খুশি যান। আমি জানি না, এরা বিমান আরোহী এবং আমাদের সঙ্গে কী করবে…।” জঙ্গিদের নিয়ে যখন যশবন্ত সিং কান্দাহার এয়ারস্ট্রিপে পৌঁছন, তখন দীর্ঘ সময় ধরে তালিবানের কেউই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। ফলে যশবন্ত সিংকে বিমানেই অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
যশবন্ত সিং নিজের আত্মজীবনী ‘আ কল টু অনার: ইন সার্ভিস এমার্জেন্ট ইন্ডিয়া’-তে লিখেছেন যে, “ওই নীরবতাই ভাবাচ্ছিল আমাদের। বিবেক কাটজু আমায় বলেন, ‘স্যার আমাদের আরোহীদের হাতে পাওয়ার আগেই কি এই জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়া ঠিক হবে? আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে…’। আমার হাতে কোনও বিকল্প ছিল না। তাই আমি রাজি হয়েছিলাম।” উড়ান থেকে মই কেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? তিন জঙ্গি যখন উড়ান থেকে নামে, তখন নিচ থেকে প্রচুর কোলাহল ভেসে আসছিল। ওদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় পরিজনও এসেছিলেন। তাঁরা মুক্ত হওয়া জঙ্গিদের আলিঙ্গন করছিলেন। এদিকে আইএসআই এবং তালিবানের লোকেরা যখন বুঝল, ওদের দাবি অনুযায়ী, যে তিন জনকে মুক্ত করা হয়েছে, তারা একদম ঠিকঠাক আছে, তখনই আমাদের বিমানে ফের সিঁড়ি লাগানো হয়। আর ততক্ষণে চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে।
যশবন্ত সিং নিজের আত্মজীবনী ‘আ কল টু অনার: ইন সার্ভিস এমার্জেন্ট ইন্ডিয়া’-তে লিখেছেন যে, “ওই নীরবতাই ভাবাচ্ছিল আমাদের। বিবেক কাটজু আমায় বলেন, ‘স্যার আমাদের আরোহীদের হাতে পাওয়ার আগেই কি এই জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়া ঠিক হবে? আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে…’। আমার হাতে কোনও বিকল্প ছিল না। তাই আমি রাজি হয়েছিলাম।” উড়ান থেকে মই কেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? তিন জঙ্গি যখন উড়ান থেকে নামে, তখন নিচ থেকে প্রচুর কোলাহল ভেসে আসছিল। ওদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় পরিজনও এসেছিলেন। তাঁরা মুক্ত হওয়া জঙ্গিদের আলিঙ্গন করছিলেন। এদিকে আইএসআই এবং তালিবানের লোকেরা যখন বুঝল, ওদের দাবি অনুযায়ী, যে তিন জনকে মুক্ত করা হয়েছে, তারা একদম ঠিকঠাক আছে, তখনই আমাদের বিমানে ফের সিঁড়ি লাগানো হয়। আর ততক্ষণে চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে।
অজিত ডোভালকে উপহার: বিকেল ৫টা নাগাদ অজিত ডোভাল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়ান আইসি ৮১৪-র যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে জানান যে, আর কয়েক মুহূর্তের ব্যাপার। রেহান ফজল বিবিসি হিন্দিতে লিখেছেন, “যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে ডোভাল যখন নীচে নেমে আসছেন, তখন বার্গার আর স্যান্ডি নামে দুই হাইজ্যাকার তাঁর কাছে আসে। ওরা তাঁকে একটি বাইনোকুলার উপহার দেয়।” পরে ডোভাল নিজেই বলেছিলেন যে, “ওই জঙ্গিরা আমায় বলেছিল যে, ‘বাইরে আপনাদের প্রতিটা পদক্ষেপের উপর এই বাইনোকুলারের সাহায্যেই নজর রেখেছি আমরা’।” এদিকে কান্দাহার থেকে যখন ডোভাল দিল্লি ফেরেন, তখন তিনি ওই বাইনোকুলারটি বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিংয়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ডোভাল জানান, “যশবন্ত সিং বলেছিলেন যে, ‘এই বাইনোকুলার সব সময় আমাদের কান্দাহারের খারাপ অভিজ্ঞতা মনে করাবে’। এরপর আমি ওই বাইনোকুলার স্মারক হিসেবে তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিলাম।”
অজিত ডোভালকে উপহার: বিকেল ৫টা নাগাদ অজিত ডোভাল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়ান আইসি ৮১৪-র যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে জানান যে, আর কয়েক মুহূর্তের ব্যাপার। রেহান ফজল বিবিসি হিন্দিতে লিখেছেন, “যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে ডোভাল যখন নীচে নেমে আসছেন, তখন বার্গার আর স্যান্ডি নামে দুই হাইজ্যাকার তাঁর কাছে আসে। ওরা তাঁকে একটি বাইনোকুলার উপহার দেয়।” পরে ডোভাল নিজেই বলেছিলেন যে, “ওই জঙ্গিরা আমায় বলেছিল যে, ‘বাইরে আপনাদের প্রতিটা পদক্ষেপের উপর এই বাইনোকুলারের সাহায্যেই নজর রেখেছি আমরা’।” এদিকে কান্দাহার থেকে যখন ডোভাল দিল্লি ফেরেন, তখন তিনি ওই বাইনোকুলারটি বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিংয়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ডোভাল জানান, “যশবন্ত সিং বলেছিলেন যে, ‘এই বাইনোকুলার সব সময় আমাদের কান্দাহারের খারাপ অভিজ্ঞতা মনে করাবে’। এরপর আমি ওই বাইনোকুলার স্মারক হিসেবে তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিলাম।”