ঐতিহাসিকদের মতে অগ্নু্ৎপাত থেকে এই সমস্যার সূত্রপাত(Photo Credits: YouTube)

Historical Fact: পৃথিবীর অভিশপ্ত কাল! কী ঘটেছিল ৫৩৬ সালে? ইতিহাসবিদরা যে ভয়ঙ্কর কথা জানালেন

পৃথিবী বারবার দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে। কখনও ভয়ঙ্কর সুনামি, কখনও ধংসাত্মক দুই বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীর বুকে বারবার অভিশাপ রূপে নেমে আসে।

কয়েকবছর আগে কোভিড মহামারিতে স্তব্ধ হযে গিয়েছিল সমগ্র পৃথিবী। শুনশান হয়ে গিয়েছিল রাস্তাঘাট। কিন্তু এর চেয়েও এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে ৫৩৬ সালে। সমগ্র ইউরোপ জুড়ে নেমে এসছিল ভয়ঙ্কর রাত।

আরও পড়ুন: ক্যামেরা চলে গেল হাজার ফুট নীচে, তারপর যা দেখা গেল! দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও

৫৩৬ সাল, এক অদ্ভুত কুয়াশায় ঢেকে গিযেছিল ইউরোপ, মধপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে৷ এই কুয়াশা কোনও সাধারণ কুয়াশা ছিল না৷ অনেক ঐতিহাসিকরা জানিয়েছেন, এর ফলে ওই অঞ্চলে সূর্যের তাপমাত্রা একেবারেই কমে গিয়েছিল৷

বিপুল পরিমাণে ফসল নষ্ট হতে শুরু করে৷ প্রায় আঠেরো মাস ধরে এই কুয়াশা ছিল৷ এত দিন ধরে সূর্যের তাপমাত্রা একেবারে কম থাকায়, ওই অঞ্চলে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় না’য়ের বরাবর ছিল৷ খাবারের অভাবে ও অসুস্থ হয়ে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়৷

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! উঠোনময় ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, মুখে ওটা কী? জানলে চমকে উঠবেন

২০১৮ সালে এক প্রবন্ধে গবেষকরা এর কারণ জানিয়েছেন৷ ওই সালে আইসল্যান্ডের এক আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠে৷ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ছাইয়ে-ছাইয়ে ঢেকে যায়৷ সেই ছাইয়ের সঙ্গে কুয়াশা মিলে আরও গাঢ় হয়ে যায়, সেই স্তর৷

এই কুয়াশা সমগ্র উত্তর গোলার্ধ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে৷ এর ফলে জলবায়ুরও পরিবর্তন হয়৷ সেখানকার মানুষ ঠান্ডা ও অনাহারে মারা যেতে থাকে৷ কুয়াশা কেটে যাওয়ার পরও এই সমস্যা বহুদিন ধরে ছিল৷

১৯৯০ দশকের প্রথম বিজ্ঞানীরা এই ঠান্ডা-কালের কথা জানতে পারে৷ তারপর বহুদিনের গবেষণা করে এই সমস্ত বিস্তীর্ণ তথ্য পাওয়া যায়৷