Tag Archives: History
IPL 2024: ব্যাটারদের তাণ্ডবে আইপিএলে ছক্কার হল এমন রেকর্ড, যা এর আগে হয়নি
Lok Sabha Election: ভারতে ভোটদানের বয়স আগে ছিল ২১, জানেন কবে থেকে কমে ১৮ হল?
ভারতের নাগরিকদের ভোটদানের ন্যূনতম বয়স সকলেরই জানা, ১৮। নিয়ম অনুযায়ী ১ এপ্রিল ২০২৪-এর মধ্যে যাদের বয়স ১৮ হবে তারাই এ বার লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। সেই অনুযায়ী ১৮ বছরের কাছাকাছি ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ভোটার এ বার নাম নথিভূক্ত করেছেন। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে ভোট দেবেন প্রায় ৮৪ কোটি মানুষ।
আরও পড়ুন: দিল্লির কাছে হারের পরে শাস্তি হল সঞ্জু স্যামসনের, বিপাকে রাজস্থানের অধিনায়ক
দেশে একটা সময় ছিল যখন ভোটদানের জন্য ন্যূনতম বয়স হতে হত ২১ বছর। ১৯৮৯ সালে ভোটদানের ন্যূনতম বয়স তিন বছর কমে দাঁড়ায় ১৮ বছর। বর্তমানে ১৮ বছর বয়স হলেই ভারতের নাগরিকেরা ভোটাধিকার পান। ভোটদানের বয়স কমানোর জন্য লোকসভায় প্রথম প্রস্তাব ওঠে ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে। তৎকালীন জলসম্পদ উন্নোয়ন মন্ত্রী বি শঙ্করানন্দ এই প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাব পাশ করাতে সারা দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভার সম্মতি লাগত। তখন পাঁচ রাজ্য ছাড়া সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভাই এতে সম্মতি দেয়, সেগুলি ছিল নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু,পঞ্জাব এবং জম্মু কাশ্মীর।
আরও পড়ুন: গিনেস বুকে নাম তোলার শখ বলে বেছে নিলেন গাছকে, কী করলেন যুবক?
দেশ জুড়ে ২৮ মার্চ ১৯৮৯ সালে ভোটদানের ন্যূনতম বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের সংবিধানের ৬১তম সংশোধনের পরে ১৯৮৯ সালেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়। এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরে সেই সময় এক ধাক্কায় ৫ কোটি ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
History in Football: একই টুর্নামেন্টে মাঠে নামল মা ও ছেলে! পায়ের জাদুতে মাত সবাই
উত্তর ২৪ পরগনা: মা ও ছেলের একই ফুটবল টুর্নামেন্টে খেললেন। আর তা চাক্ষুষ করল সুন্দরবনবাসী। এমনই চমকপ্রদক ঘটনায় সকলেই যেমন উল্লসিত তেমনই প্রবীণরা কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন।
নদী বেষ্টিত এলাকা সুন্দরবন। এই এলাকা ঘিরে কতই না গল্প লুকিয়ে আছে। প্রত্যন্ত এলাকার জনজীবনে উঁকি মারলে জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেখা মিলবে বিনোদনের মাধ্যমগুলির অভিনব গল্প। এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে আজও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ফুটবল খেলা। আর তাতেই একত্রে অংশগ্রহণ করল মা ও ছেলে।
আরও পড়ুন: এই প্রকল্প দিনের আলো দেখলে পাল্টে যেত বাঁকুড়া
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকার বিশপুরে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেন মা ও ছেলে। সন্দেশখালির কালিনগরের বাসিন্দা মৌমিতা সরদার ও ছেলে সৌম্যদীপ সরদার একই সঙ্গে ফুটবল প্র্যাকটিস করেন। আবার কখনও কখনওটুর্নামেন্ট এলে একই টুর্নামেন্টে খেলার ডাকও পান। সুন্দরবন এলাকায় হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুরে আদিবাসী সমাজকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টে মা ও ছেলের পায়ের জাদু দেখল এলাকার মানুষ।
যেখানে প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক সামাজিক বেড়াজলের প্রতিবন্ধকতার মাঝে বারে বার পিছুপা হতে হয়, সেখানে মা ও ছেলের একসঙ্গে ফুটবল খেলা চাক্ষুষ করল এলাকার মানুষ। মা ও ছেলের খেলার জুটি দেখতে পেয়ে খুশি অত্যন্ত এলাকার ফুটবল প্রেমীরা।
জুলফিকার মোল্যা
First Super Over In IPL History: আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম সুপার ওভারে বোলিং কে করেছিল? তাঁকে মনে রাখেনি কেউ
Bankura News: ইতিহাস কথা বলে কড়িবড়গায়, ঘুরে আসুন ৩০০ বছরের প্রাচীন ছাতনার রাজবাড়ি থেকে
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: একসময় রাজ্য ছিল, রাজত্ব ছিল। আজ নেই কোনও রাজত্ব, কিন্তু আছেন রাজা এবং রাজ পরিবার। সংস্কারের অপেক্ষায় দিন গুনছে বাঁকুড়ার ছাতনার রাজবাড়ি। বাঁকুড়া জেলার পশ্চিম সীমান্তে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল ছাতনা। এক সময়ের সামন্তভূমের রাজধানী ছিল ছাতনা। ছাতনা রাজবাড়ির প্রায় তিনশো বছরের পুরনো দুর্গা মন্দিরে শুরু হল সংস্কারের কাজ। এখানেই রয়েছে সবুজ বনানী ঘেরা ছাতনা রাজবাড়ির মা মৃন্ময়ীর দুর্গামন্দির। একসময়ের সামন্তভূমের রাজধানী ছাতনায় রাজা বা রাজতন্ত্র কিছু না থাকলেও এখনও সেই পুরানো নিয়ম মেনেই চলে মায়ের আরাধনা। আজ থেকে প্রায় তিনশো বছর আগে এই মন্দির তৈরি করেছিলেন তৎকালীন রানি আনন্দ কুমারী।
বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এই পুরাকীর্তিটি দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফাটল ধরেছে মন্দিরের ছাদে, বৃষ্টি হলেই জল চুঁইয়ে পড়ে মন্দিরের ভেতর। চুন-সুড়কির পলেস্তারা খসে গিয়ে দেওয়ালের পাঁজর বেরিয়ে পড়েছে।যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। মন্দিরের ভেতরের জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে দুর্গাপূজা মন্দিরের বারান্দাতেই হচ্ছিল।
আরও পড়ুন : টাকা জমবে রাশি রাশি! অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য হাতের মুঠোয়! অভাব এড়িয়ে টাকা জমানোর সহজ টিপস জানুন
তবে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হলে এ বছর দুর্গাপূজা মন্দিরের ভেতরেই হবে বলে জানান বর্তমান রাজা প্রদীপ সিংহ দেও। মন্দিরের গঠনশৈলী একই রেখে সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
ঘুরে আসতে পারেন স্মৃতি বিজড়িত ছাতনার রাজবাড়ি এবং বাসুলি মন্দির। মনে হবে যেন অন্য একটা জগতে প্রবেশ করেছেন। মনে হবে যেন পৌঁছে গেছেন অষ্টাদশ শতকে। বর্তমানে এই মন্দির এবং রাজবাড়ির পরিচর্যা করে চলেছে স্বয়ং রাজ পরিবার।
Rohit Sharma: হারিয়েছেন অধিনায়কত্ব! এবার গড়লেন চরম লজ্জার রেকর্ড, সময়টা ভাল যাচ্ছে না রোহিত শর্মার
Knowledge Story: আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে দ্রুত গতির বল কে করেছে? জেনে নিন প্রথম পাঁচে কারা
Local History: জমিদারের ভরসার লেঠেল আজও লাঠি ছাড়েননি, তবে অন্যভাবে কাজে লাগছে
নদিয়া: লক্ষণ সর্দারের লাঠির উপর ভরসা করত সে সময়ের তাবড় জমিদাররা। আজও সেই লাঠিই তাঁর ভরসা, কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যভাবে। গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ লক্ষণ সর্দারকে আজ সচল রেখেছে সেই লাঠি।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে আর পাওয়া যাবে না তরমুজ! কয়েক ঘণ্টার শিলা বৃষ্টিতে সব শেষ…
একসময় যে লাঠির ভয়ে পালাত ডাকাতের দল, জমিদাররা যে লাঠির উপর ভরসা করতেন সেই লাঠি বৃদ্ধ বয়সে লক্ষণ সর্দারের একমাত্র ভরসার যষ্টি হয়ে উঠেছে। বয়সের ভারে অনেক স্মৃতি আজ ম্লান, তবে লক্ষণ সর্দারের কথায় উঠলে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের তেঘরি গ্রামের মানুষের মনে অনেক গল্প ভিড় করে। জমিদার প্রথা উঠে যাওয়ার পর শেষ জীবনে প্যান্ডেলের কাজ করলেও জীবনের প্রথমদিকে বাবা কাকার মত লাঠিয়ালের কাজ করতেন তিনি। শান্তিপুর গুপ্তিপাড়া বীরনগর রানাঘাট সহ নদিয়া জেলার সে সময়ের তাবড় জমিদারদের ভরসা ছিলেন এই লক্ষণ সর্দার।
বয়স তাঁর অনেক। বৌমা সুলেখা শশুরের বয়সের স্বপক্ষে যুক্তি দেন, তাঁর সমসাময়িক সকলেই প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি। ছিল আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে তাঁরা মারা গিয়েছেন। তবে এই বয়সে এখনও লাঠির উপর ভর করে হেঁটে চলে বেড়ান লক্ষণবাবু। কোনও জটিল সমস্যা নেই শরীরে। তবে ধীরে ধীরে হাঁটাচলা করেন, খাওয়া-দাওয়া, স্নান নিজের কাজকর্ম নিজেই করতে পারেন এখনও। ছেলে বীরেন সর্দার বলেন, তাঁদের ছোটবেলায় এলাকার যারা প্রবীণ তাঁদের মুখ থেকেই শুনেছেন দেশভাগের সময়েও তাঁর বাবা ছিলেন যুবক।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
লক্ষণ সর্দার অবশ্য এত বছরের পুরনো স্মৃতি মনে আনতে পারছিলেন বেশ কিছুক্ষণ বাদে বাদে। শোনালেন সে সময় নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু করে শান্তিপুরের তৎকালীন বিধায়ক স্যার অসম্মঞ্জ দের গ্রামীণ সংগঠনের কথা। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা। দেশভাগের নানান কথা। ১৮ অগস্ট নদিয়ার স্বাধীনতা সহ আরও কত কী! তবে প্রতিবেশীদের মতে এরকম একটি প্রবীণ মানুষকে এলাকার জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি তরফে কখনও সংবর্ধিত করা হয়নি। এ যেন শেষ পাতে কিছুটা অনুযোগের সুর।
মৈনাক দেবনাথ