পাঁচমিশালি, বিদেশ Nuclear War: বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে পারমাণবিক বোমার কোনও প্রভাব পড়বে না! এখানে থাকলে বেঁচে যেতে পারে জীবন Gallery May 16, 2024 Bangla Digital Desk যবে থেকে পৃথিবীর ক্ষমতাধর দেশগুলি পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছে, তবে থেকেই আপামর মানবজাতির মাথার উপর পরমাণু বোমার খাঁড়া ঝুলছে৷ বর্তমানে তো বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধের ঘটনাও বেড়ে গিয়েছে৷ ধরুন যদি কোনওদিন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সত্যি সত্যিই বেঁধে যায়, তাহলে পারমাণবিক যুদ্ধ লাগাও অসম্ভব কিছু নয়৷ আমেরিকার একজন বিখ্যাত সাংবাদিক পরমাণু যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বছরের পর বছর গবেষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে যদি পারমাণবিক যুদ্ধ বাঁধে, (হাউ টু সার্ভাইভ নিউক্লিয়ার অ্যাটাক) তাহলে কোন দেশে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি? ডেইলি স্টার নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ডায়েরি অফ এ সিইও’ পডকাস্টে আলাপকালেও ওই সাংবাদিক সম্প্রতি পৃথিবীর ওই দু’টি দেশের কথা বলেছেন৷ যেখানে থাকলে পারমাণবিক হামলা এড়ানো যায়। অ্যানি নামের ওই সাংবাদিক বলেন, ‘‘পৃথিবীতে যদি পারমাণবিক যুদ্ধ বাঁধে (পরমাণু হামলার পর কী ঘটে) তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। বাকি ৩০০ কোটি মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হবেন, তাঁদের অঙ্গহানি হবে। ৩ মহাদেশে যে পরিমাণ আগুন জ্বলবে, তাতে একটি ছোট বরফ যুগের সূত্রপাত হয়ে যাবে।’’ পারমাণবিক হামলার পরে ছোটখাটো হিম যুগের শুরু হবে৷ যে কারণে যে সমস্ত মানুষ সেই সময় বেঁচেও থাকবেন, তাঁরা খাদ্য উৎপাদন করতে পারবেন না। পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশ, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় অংশ পুরোপুরি বরফের মোটা চাদরে ঢাকা থাকবে। আইওয়া এবং ইউক্রেনের মতো জায়গাগুলি ১০ বছরের জন্য তুষারে ঢাকা থাকবে। পারমাণবিক শীতলতার প্রভাব এতটাই খারাপ হবে যে ফসল সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যাবে এবং আর ফসল উৎপন্ন হবে না। মানুষ মারা যাবে। বিকিরণের বিষক্রিয়াও ঘটতে শুরু করবে, কারণ ওজোন স্তরও ধ্বংস হয়ে যাবে৷ তাই মানুষকে মাটির নীচে বসবাস করে সূর্য থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। তবে ওই গবেষকের দাবি, পৃথিবীর দু’টি দেশ পারমাণবিক বোমার ক্ষতিকারক প্রভাবের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে সেই সময়৷ এই দুই দেশের মানুষই এই সময় বেঁচে থাকবেন৷ অ্যানির দাবি, জলবায়ু এবং বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রায়ান টুন তাঁকে বলেছিলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের পরে পৃথিবীতে কেবল দু’টি জায়গা অবশিষ্ট থাকবে, যেখানে চাষ করা সম্ভব হবে৷ সেগুলি হল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকা এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে, বিলিয়নেয়াররা নিজেদের লুকানোর জন্য পারমাণবিক বাঙ্কার তৈরি করবেন। কিন্তু এগুলি ততক্ষণ কার্যকর হবে যতক্ষণ তারা শক্তি সরবরাহ করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ডিজেল জেনারেটর চালানোর জন্য পেট্রল পাওয়া যাবে, ততক্ষণ ছোট বাঙ্কারগুলি চলবে৷ ভারতের উপরেও পরমাণু বোমার ভযঙ্কর প্রভাব পড়বে, ধ্বংস হয়ে যেতে পারে গোটা দেশ৷