ধান্যকুড়িয়া হাইস্কুল 

Independence Day: রেলপথে পৌঁছে ধান্যকুড়িয়ার প্রাচীন এই স্কুলে সভা করে ছিলেন নেতাজি

বসিরহাট: রেলপথে পৌঁছে ধান্যকুড়িয়ার প্রাচীন এই স্কুলে সভা করে ছিলেন নেতাজি। ধান্যকুড়িয়া বসিরহাট মহাকুমার প্রাচীন ইতিহাসের পীঠ স্থান। এলাকায় রাজা আর রাজ্যপাট কোনওটাই আর আগের মতো নেই। কিন্তু প্রাচীন জমিদারদের প্রাসাদ আজও বিদ্যমান। এর মধ্যে আজও স্বমহিমায় ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুল। জানা যায়, সালটা ১৯৩১, মাটিন বার্ন রেলপথে তৎকালীন বসিরহাটের জমিদারদের আস্তানা ধান্যকুড়িয়ে পৌঁছায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। তাঁকে বরণ করে রীতিমতো র‍্যালির মাধ্যমে সেখান থেকে ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুলের সামনে তৎকালীন সময়ে স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত ভগিরথ বাহিনী চিনির কলে বক্তৃতা রাখেন। যেখানে তৎকালীন ব্রতচারী ছেলেদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বদেশীকতায় উদ্বুদ্ধ করেন।

আরও পড়ুনঃ ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির আবেদনে সাড়া, বুধ রাতে মেট্রোর সংখ্যা বাড়াল কলকাতা মেট্রো!

বসিরহাটের প্রাচীন জনপদ বলে পরিচিত ধান‍্যকুড়িয়া। বনেদি এলাকা বলেও তার খ্যাতি আছে। বসিরহাট মহকুমা এলাকার প্রাচীনতম স্কুলের মধ্যে অন্যতম ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুল। এখানকারই পরিচিত ধান্যকুড়িয়া হাইস্কুল নতুন করে রাজ্য সরকারের হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। এক সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই স্কুলে এসেছিলেন। ১২ বিঘা জমির উপর এই স্কুল প্রাঙ্গণটি দাঁড়িয়ে আছে।

বহু মনীষী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবক্ষ মূর্তি আছে এখানে। এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে চাকরি করেন। তাঁদের কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ চিকিৎসক বা গবেষক। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি বিজড়িত ও হেরিটেজ প্রাপ্র এই স্কুল আজও গর্বের সাথে মাথা তুলে নিজস্বতাকে জানান দেয়।

জুলফিকার মোল্যা