ট্রেনের মালিক কৃষক

Indian Farmer: একেই বলে কপাল! একটা গোটা ট্রেনের মালিক হয়ে গেলেন লুধিয়ানার এই কৃষক! ঘটনা শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন

নাকের বদলে নরুণ শোনা যায়। কিন্তু অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন ? তাঁর জমির উপর দিয়েই রেলের লাইন পাতার কাজে আপত্তি করেননি পঞ্জাবের লুধিয়ানার কৃষক সম্পূরণ সিং। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরেও টাকা না মেটানোয় আস্ত একটা ট্রেনই ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হল রেলকে। এমনই নজিরবিহীন নির্দেশ লুধিয়ানার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের।
নাকের বদলে নরুণ শোনা যায়। কিন্তু অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন ? তাঁর জমির উপর দিয়েই রেলের লাইন পাতার কাজে আপত্তি করেননি পঞ্জাবের লুধিয়ানার কৃষক সম্পূরণ সিং। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরেও টাকা না মেটানোয় আস্ত একটা ট্রেনই ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হল রেলকে। এমনই নজিরবিহীন নির্দেশ লুধিয়ানার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের।
লাইন পাতা হবে বলে জমি নিয়েছিল রেল। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও বকেয়া ক্ষতিপূরণ পাননি পঞ্জাবের লুধিয়ানার কৃষক, বছর ৪৫-এর সম্পূরণ সিংহ। আদালতে নালিশ জানানোর পর অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকা মেটানোর নির্দেশ দেয় আদালত।এই নির্দেশের পরেও রেলের তরফে গড়িমসি চলছিলই।
লাইন পাতা হবে বলে জমি নিয়েছিল রেল। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও বকেয়া ক্ষতিপূরণ পাননি পঞ্জাবের লুধিয়ানার কৃষক, বছর ৪৫-এর সম্পূরণ সিংহ। আদালতে নালিশ জানানোর পর অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকা মেটানোর নির্দেশ দেয় আদালত।এই নির্দেশের পরেও রেলের তরফে গড়িমসি চলছিলই।
এরপর আদালতের তরফে আসে এক অদ্ভূত রায়। নর্দার্ন রেলের আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেনকেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই কৃষককে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল লুধিয়ানার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালত।
এরপর আদালতের তরফে আসে এক অদ্ভূত রায়। নর্দার্ন রেলের আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেনকেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই কৃষককে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল লুধিয়ানার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালত।
বিচারক জসপাল বর্মার নির্দেশে ১২০৩০ নম্বর স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেসকে ক্ষতিপূরণের সম্পত্তি হিসেবে অ্যাটাচ করে নেওয়া হয়। অর্থাৎ সম্পূরণ সিংহই আইনিভাবে এখন ট্রেনটির মালিক। স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি অমৃতসর এবং দিল্লির মধ্যে চলাচল করে।
বিচারক জসপাল বর্মার নির্দেশে ১২০৩০ নম্বর স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেসকে ক্ষতিপূরণের সম্পত্তি হিসেবে অ্যাটাচ করে নেওয়া হয়। অর্থাৎ সম্পূরণ সিংহই আইনিভাবে এখন ট্রেনটির মালিক। স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি অমৃতসর এবং দিল্লির মধ্যে চলাচল করে।
২০০৭ সালের লুধিয়ানা-চণ্ডীগড় রেললাইনের জন্য জমি অধিগৃহীত হয়। তার মধ্যে ছিল সম্পূরণ সিংহের জমিও। জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন সম্পূরণ। কিন্তু ২০১৫ সালে আদালত নর্দান রেলওয়েকে বকেয়া ১.০৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলে। তবে, রেল সেই টাকা দেয়নি। তার পরেই এই চমকে দেওয়া রায়। শুধু স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেসই নয়, লুধিয়ানার স্টেশন মাস্টারের অফিসকেও ক্ষতিপূরণের সম্পত্তি হিসেবে অ্যাটাচ করা হয়েছে।
২০০৭ সালের লুধিয়ানা-চণ্ডীগড় রেললাইনের জন্য জমি অধিগৃহীত হয়। তার মধ্যে ছিল সম্পূরণ সিংহের জমিও। জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন সম্পূরণ। কিন্তু ২০১৫ সালে আদালত নর্দান রেলওয়েকে বকেয়া ১.০৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলে। তবে, রেল সেই টাকা দেয়নি। তার পরেই এই চমকে দেওয়া রায়। শুধু স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেসই নয়, লুধিয়ানার স্টেশন মাস্টারের অফিসকেও ক্ষতিপূরণের সম্পত্তি হিসেবে অ্যাটাচ করা হয়েছে।
সম্পূরণ সিংহকে মালিকানা দেওয়ার এই নির্দেশনামা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে স্টেশন মাস্টারের ঘরে। লুধিয়ানা স্টেশনে সম্পূরণ ও তাঁর আইনজীবীর উপস্থিতিতে আদালতের আদেশনামা ট্রেন চালকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সম্পূরণ সিংহকে মালিকানা দেওয়ার এই নির্দেশনামা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে স্টেশন মাস্টারের ঘরে। লুধিয়ানা স্টেশনে সম্পূরণ ও তাঁর আইনজীবীর উপস্থিতিতে আদালতের আদেশনামা ট্রেন চালকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তারপরেই রেলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রেনটির মালিকানা দিয়ে দেওয়া হয় সম্পূরণকে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে গোটা হস্তান্তর পর্ব সেরে ফেলা হয়। মালিক হলেও সম্পূরণের বক্তব্য, ট্রেন বেশিক্ষণ থামানো ঠিক নয়। যাত্রীরা অসুবিধেয় পড়তে পারেন।
তারপরেই রেলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রেনটির মালিকানা দিয়ে দেওয়া হয় সম্পূরণকে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে গোটা হস্তান্তর পর্ব সেরে ফেলা হয়। মালিক হলেও সম্পূরণের বক্তব্য, ট্রেন বেশিক্ষণ থামানো ঠিক নয়। যাত্রীরা অসুবিধেয় পড়তে পারেন।
রেলের বিভাগীয় কর্তা জানিয়েছেন আইনকে সম্মান জানিয়েই তাঁদের এই পদক্ষেপ। আস্ত ট্রেনের মালিক না হয় হয়েই গেলেন সম্পূরণ। কিন্তু কী করবেন তিনি এই ট্রেন দিয়ে? ট্রেন তো আর বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না! মাঝেমধ্যে চোখের দেখাতেই সুখ তাঁর।
রেলের বিভাগীয় কর্তা জানিয়েছেন আইনকে সম্মান জানিয়েই তাঁদের এই পদক্ষেপ। আস্ত ট্রেনের মালিক না হয় হয়েই গেলেন সম্পূরণ। কিন্তু কী করবেন তিনি এই ট্রেন দিয়ে? ট্রেন তো আর বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না! মাঝেমধ্যে চোখের দেখাতেই সুখ তাঁর।