বিরাট সাফল্য

Indian Railways: বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম ‘গ্রিন রেলওয়ে’, পশ্চিমবঙ্গের জন্যও বিরাট খবর! বিরাট সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের!

শিলিগুড়ি: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এগিয়ে চলেছে এখনও পর্যন্ত ৬১ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন।  বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম ‘গ্রিন রেলওয়ে’ হওয়ার দিকে মিশন মোডে এগিয়ে চলেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। শূন্য কার্বন নির্গত হওয়া এবং ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জনের লক্ষ্য হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার জোনের মধ্যে আন-ইলেক্ট্রিফাইড ব্রড গেজ রুটের সমস্ত বৈদ্যুতিকীকরণের কাজের গতি বৃদ্ধি করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।

এখনও পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২৫৮৩ আরকেএম (রুট কিলোমিটার) বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জন করেছে, যা  ৪২৬০ রুট কিলোমিটার নেটওয়ার্কের ৬১ শতাংশ। আটটি উত্তর পূর্বাঞ্চলয়ী রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৩৯৯.৩৪ রুট কিলোমিটার বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে মোট বৈদ্যুতিকীকরণ রুটের মধ্যে অসমে ১২২৯.৩৪ রুট কিলোমিটার, মণিপুরে ২.৮১ রুট কিলোমিটার, মেঘালয়ে ৯.৫৮ রুট কিলোমিটার, নাগাল্যান্ডে ৬.০০ রুট কিলোমিটার এবং ত্রিপুরায় ১৫১.৫৯ রুট কিলোমিটার ইতিমধ্যে বৈদ্যুতিকীকরণ হয়ে গেছে।

এছাড়াও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রের অধীনে ইতিমধ্যে বিহারে ৩১৮.৮৭ রুট কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গে ৮৬৪.৯৪ রুট কিলোমিটার বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে।​ সমগ্র জোনের বিভিন্ন সেকশনে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (ইরকন), রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (রাইটস),উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে/কনস্ট্রাকশন দ্বারা বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ পর্যায় ক্রমিকভাবে সম্পাদন করা হচ্ছে।বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে-এর মধ্যে ট্রেন চলাচলের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে রেল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে এবং পরিবহণের একটি পরিবেশ অনুকূল, দ্রুত, শক্তি সাশ্রয়ী পদ্ধতি প্রদান করবে।

আরও পড়ুন: শুক্র ভোরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! মৃত্যুমিছিল, মুহূর্তে শেষ ১৩ জীবন! কোথায় ঘটল ভয়াবহ এই ঘটনা?

দূষণ হ্রাস হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্তভাবে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েলের উপর নির্ভরশীলতাও হ্রাস করবে, যার ফলে মূল্যবান বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয় হবে। এর ফলে বাধাহীনভাবে পরিবহনের সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি ট্রেনের গড় গতিও বৃদ্ধি পাবে, ফলে ট্র্যাকশন পরিবর্তনের জন্য হওয়া সময় বাঁচিয়ে ট্রেন চলাচলের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। আপাতত তাই পরিকাঠামো বদলে জোর রেলের।