Tag Archives: Siliguri News

Siliguri News: বাংলার মুখ উজ্জ্বল! রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির কণিষ্ঠতম বোর্ড সদস্য শিলিগুড়ির সাত্ত্বিক 

শিলিগুড়ি: বাইরের তারামণ্ডলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না এই বিষয় নিয়েই শিলিগুড়ির বাড়িতে বসে দিব্যি পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন সাত্ত্বিক ভৌমিক ।এরই মাঝে রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির কনিষ্ঠতম বোর্ড সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। গণিত বিশারদ হিসাবে শ্রীনিবাস রামানুজনের নাম সকলেরই জানা। ছোটবেলায় এই রামনুজনের সিনেমা দেখেই শিলিগুড়ির সাত্ত্বিক রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির কথা জানতে পেরেছিলেন। তারপর থেকেই এই বিষয়ের উপর পড়াশোনা চলছে। তবে রামানুজনের মতো তিনিও যে সেই সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হবেন, সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার মিনার্ভা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাত্ত্বিক।

২০২২ সালে এক্সোপ্লানেটের অ্যাস্ট্রোনমি নিয়ে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিল এমআইটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা জার্নাল অফ এমার্জিং ইনভেস্টিগেটরস। এই গবেষণাপত্রটি বিশেষ স্বীকৃতি পায় পৃথিবীর তুলনায় ৩টি এক্সোপ্লানেটের ভৌত গুণাবলির জন্য। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন বিগ ব্যাং সিঙ্গুলারিটি নিয়ে। এমন একাধিক কাজ এবং গবেষণার জন্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি বোর্ড সদস্য হিসেবে তাঁকে বেছে নিয়েছে। এখানে ঠাঁই পাওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩০ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। যার মধ্যে থেকে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে ১৫০ জনকে। তার মধ্যে কনিষ্ঠতম সদস্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয় সাত্ত্বিককে।

সাত্ত্বিক বলেন, “গত শুক্রবার ১৫০ জনের ইন্টারভিউ নেয় ১৭ জনের জুরি বোর্ড। এই বোর্ডে ছিলেন পদার্থবিদ্যায় ছয় নোবেলজয়ী কিপ থরনে, রেইনার ওয়েইস, ব্যারি সি বরিশ, রেইনহার্ড জেনজেল, জন এফ ক্লসার এবং জর্জিও পারিসি। তাঁদের সান্নিধ্য পেয়ে আমি আপ্লুত। তবে অনেক দায়িত্ববোধ বেড়ে গেল। এই দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করে যেতে চাই।আরও নতুন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।”

আগামীতে বাইরের গ্রহের বায়ুমণ্ডল এবং পৃষ্ঠের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে চলেছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সাত্ত্বিকের মা কাকলি ভৌমিক বলেন, “ছেলে ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়ের উপর যথেষ্ট আগ্রহ ছিল ও যা করেছে নিজের দক্ষতায় করেছে আমরা শুধু সাপোর্ট করেছি ওকে। ওর ভবিষ্যতের সুখ কামনা প্রার্থনা করি ।”

অনির্বাণ রায়

Siliguri News: গরমে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ! গাছের ডালে জলের পাত্র

শিলিগুড়ি: তীব্র দাবদাহে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছের ডালে জলের পাত্র বাঁধার ব্যবস্থা করল শিলিগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শিলিগুড়ি ফুলেশ্বরী মোড়ের কাছে রাস্তা লাগোয়া একাধিক গাছের ডালে জলের পাত্র বেঁধে দেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। মূলত তীব্র গরমে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি সংগঠনের তরফে স্থানীয়দের বিষয়টি দেখভালের আবেদন করা হয়। তাদের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রাও।

প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষের অবস্থা নাজেহাল সেখানে পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ শিলিগুড়িতে প্রথম। কি করে এই ভাবনা এল জিজ্ঞেস করতেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি রাজু পাল বলেন,”পাখিদের সংখ্যা এমনিতেই দিন দিন কমে যাচ্ছে। কোভিড চলাকালীন যখন যানবাহন, কারখানা বন্ধ ছিল তখন আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল। পাখির ঝাঁক দেখা যেত শহরে। তবে এখন দূষণের জেরে গরম বেড়েছে তৃষ্ণার্ত হয়ে পাখিরা এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। তাই তৃষ্ণা মেটাতেই পাখিদের জন্য এই এলাকার ১০টি গাছে আমরা জলের পাত্র লাগানোর ব্যবস্থা করেছি। আগামীতে শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন:গরমের ছুটিতে যান চারখোল! খাওয়া-থাকা খুব সস্তা! কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? জানুন 

স্থানীয় বাসিন্দা রূপক কর্মকার বলেন,মানুষ যেখানে গরমে অস্বস্তিতে করছে সেখানে পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ খুবই ভাল। আগে যেমন পাখি দেখা যেত, এখন শহরে তেমন পাখির দেখা মেলে না। এই গরমে জলের পাত্র লাগানোর পর জল খেতে তারা নিশ্চই আসবে। অন্যদিকে স্থানীয় এক দোকানদার সুরেন বর্মন জানান,”স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগ সত্যি খুব দারুণ। এখন মানুষ মানুষের জন্য ভাবে না কিন্তু তারা পাখিদের কথা অন্তত চিন্তা করছেন। আমার দোকানের পাশে তিনটি গাছে লাগানো হয়েছে ওই জলের পাত্রগুলি। জল শেষ হয়ে গেলে আমি সেখানে জল দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অনির্বাণ রায়

Travel: এই সময়েই আপনি দার্জিলিং-কালিম্পং যাচ্ছেন না তো? বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক! জানুন পাহাড়ে ‌যাওয়ার বিকল্প রুট

পর্যটনের ভরা মরশুমে বন্ধ থাকছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সড়ক সম্প্রসারণের কাজের স্বার্থে সমস্ত ধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে। photo source collected 
পর্যটনের ভরা মরশুমে বন্ধ থাকছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সড়ক সম্প্রসারণের কাজের স্বার্থে সমস্ত ধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে। photo source collected
১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকছে টানা ৭২ ঘণ্টা। শুক্রবার কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।photo source collected
১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকছে টানা ৭২ ঘণ্টা। শুক্রবার কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।photo source collected
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই পথে সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ধসের মাটি-পাথর সরিয়ে মেরামতির জন্য রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।photo source collected
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই পথে সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ধসের মাটি-পাথর সরিয়ে মেরামতির জন্য রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।photo source collected
শুধুমাত্র ছোট যানবাহন রংপো থেকে মুনসং, ১৭ মাইল, গরুবাথান, আলগারাহ, লাভা হয়ে শিলিগুড়ির দিকে যাবে এবং এর বদলে উল্টোপথে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং যাবে।চিত্রে থেকে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করবে।photo source collected
শুধুমাত্র ছোট যানবাহন রংপো থেকে মুনসং, ১৭ মাইল, গরুবাথান, আলগারাহ, লাভা হয়ে শিলিগুড়ির দিকে যাবে এবং এর বদলে উল্টোপথে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং যাবে।চিত্রে থেকে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করবে।photo source collected
কালিম্পং শহর আলগারাহ লাভা গোরুবাথান এবং শিলিগুড়ি এবং এর বদলে পণ্যবাহী গাড়ি চিত্রে হয়ে কালিম্পং শহরে যাবে। সেখান থেকে আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান এবং শিলিগুড়িতে যাবে একইভাবে উল্টোপথে ফেরত আসবে।photo source collected
কালিম্পং শহর আলগারাহ লাভা গোরুবাথান এবং শিলিগুড়ি এবং এর বদলে পণ্যবাহী গাড়ি চিত্রে হয়ে কালিম্পং শহরে যাবে। সেখান থেকে আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান এবং শিলিগুড়িতে যাবে একইভাবে উল্টোপথে ফেরত আসবে।photo source collected
এই রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত চলাচল করবে। পণ্যবাহী গাড়ি এবং ছোট যানবাহন রেসি, পেডং আলগারাহ লাভা গোরুবাথান রুটে, শিলিগুড়ি এবং এর বিপরীতে চব্বিশ ঘণ্টা চলাচল করবে। (তথ্য:  অনির্বাণ রায়)
এই রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত চলাচল করবে। পণ্যবাহী গাড়ি এবং ছোট যানবাহন রেসি, পেডং আলগারাহ লাভা গোরুবাথান রুটে, শিলিগুড়ি এবং এর বিপরীতে চব্বিশ ঘণ্টা চলাচল করবে। (তথ্য:  অনির্বাণ রায়)

Bengal Safari: পর্যটকদের জন্য খবর! বেঙ্গল সাফারি পার্কের ৫ রয়্যাল বেঙ্গল শাবক চাক্ষুষ করার সুযোগ

পর্যটকদের জন্য দারুন খুশির খবর! অবশেষে নাইট শেল্টার থেকে বার করে আনা হল শীলার পাঁচ রয়্যাল শাবককে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা সম্প্রতি পঞ্চমবারের জন্য মা হয়।
পর্যটকদের জন্য দারুন খুশির খবর! অবশেষে নাইট শেল্টার থেকে বার করে আনা হল শীলার পাঁচ রয়্যাল শাবককে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা সম্প্রতি পঞ্চমবারের জন্য মা হয়।
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেয় সে। সেই থেকে মা এবং সন্তানদের নাইট শেল্টারের মধ্যেই রাখা হয়েছিল। এই পাঁচটি শাবকের মধ্যে চারটি স্ত্রী এবং একটি পুরুষ বাঘ রয়েছে।
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেয় সে। সেই থেকে মা এবং সন্তানদের নাইট শেল্টারের মধ্যেই রাখা হয়েছিল। এই পাঁচটি শাবকের মধ্যে চারটি স্ত্রী এবং একটি পুরুষ বাঘ রয়েছে।
তবে এখনই খোলা এনক্লোজারে সাফারির জন্য ছাড়া হবে না ওই শাবকদের। কিন্তু পর্যটকদের সেই শাবকদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
তবে এখনই খোলা এনক্লোজারে সাফারির জন্য ছাড়া হবে না ওই শাবকদের। কিন্তু পর্যটকদের সেই শাবকদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বন দফতর ও জু অথরিটির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাদের "ক্রালে" ছাড়া হয়। সাফারি পার্ক সূত্রে জন্য যায় শীলার পাঁচটি শাবকই সুস্থ রয়েছে। প্রত্যেকেই ভালো রয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে এখনই তাদের এনক্লোজারে ছাড়া হবে না। কারণ ওরা খুবই ছোট।
বন দফতর ও জু অথরিটির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাদের “ক্রালে” ছাড়া হয়। সাফারি পার্ক সূত্রে জন্য যায় শীলার পাঁচটি শাবকই সুস্থ রয়েছে। প্রত্যেকেই ভালো রয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে এখনই তাদের এনক্লোজারে ছাড়া হবে না। কারণ ওরা খুবই ছোট।
তবে ক্রালে ওই পাঁচ শাবকদের চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। আর শাবকগুলো আগামীতে পর্যটকদের বেঙ্গল সাফারির অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে বলে মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
তবে ক্রালে ওই পাঁচ শাবকদের চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। আর শাবকগুলো আগামীতে পর্যটকদের বেঙ্গল সাফারির অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে বলে মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী বলেন, "সব ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে এই শাবকদের জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে।"
রাজ্য জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী বলেন, “সব ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে এই শাবকদের জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে।”

Food News: সোনালি ফুচকা খেয়েছেন কখনও? কোথায় মিলছে জানেন, দাম কত! রইল ঠিকানা

শিলিগুড়ি: সোনালি ফুচকা খেয়েছেন কোনওদিন? ভাবছেন এটা আবার কী করে সম্ভব? এই অসম্ভব কেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন শিলিগুড়ির এক ব্যবসায়ী। ফুচকা খেতে সকলেরই ভাল লাগে। ফুচকার প্রতি বাঙালির অন্য রকম একটা মোহ রয়েছে। রাস্তায় বেরলে অধিকাংশ মানুষই আর কিছু খান না খান, ফুচকা অবশ্যই খাবেন। আর সেই ভাললাগাটাকেই হাতিয়ার করে ফুচকাপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদের ফুচকা তৈরি করেছেন শিলিগুড়ির এক ব্যবসায়ী। যার নাম নবাবী ফুচকা।

চিকেন ফুচকা, মোমো ফুচকা, ম্যাগী ফুচকা-সহ এমন অনেক ফুচকা হয়তো খেয়েছেন। কিন্তু সোনায় মোড়ানো ফুচকা? এই ফুচকার নাম যেমন নবাবী আন্দাজ। ঠিক তৈরিও হয় নবাবী কায়দায়। বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুট, দই, সহ আরও অনেক কিছু দেওয়া হয় এই ফুচকাতে। আর এর বিশেষত্ব হল সোনালি ফয়েল দিয়ে সাজিয়ে এটি পরিবেশন করা হয়। দামটাও একেবারেই সামান্য। তাই এই স্বাদ উপভোগ করতে আসতেই হবে ‘ওউন পানিপুরি’।

আরও পড়ুন: এখনই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন! বিদ্যুৎ দফতরে ‌যা করলেন বাসিন্দারা!

শিলিগুড়ি শহরে তাঁদের আমতলা ক্লাব এবং ভুটিয়া মার্কেটের কাছে দু’টি আউটলেট রয়েছে। আর প্রতিদিন মজা লুটতে ফুচকা খেতে দিন দিন ভিড় উপচে পড়ছে তাঁর দোকানে। ফুচকার দোকানে এমনিতেই ভিড় লেগে থাকে তার ওপর আবার ফুচকার রেস্তরাঁ। বসে আরাম করে খাওয়া যাবে সেখানে ভেবেই লোকজন ছুটে আসছে। দোকানের কর্মরত নীতিশা চক্রবর্তী বলেন, “শিলিগুড়িতে তথা উত্তরবঙ্গে ফুচকার প্রথম কোম্পানি আমাদের। আমরা ফুচকা প্রেমীদের জন্য নিজেরা অনেক নতুন নতুন ফুচকার তৈরি করেছি। তার মধ্যে এই নবাবি আন্দাজ ফুচকা নতুন ইনভেনশন তাদের। দাম মাত্র ৬৯ টাকা। তাই একটু ভিন্ন স্বাদের ফুচকা খেতে হলে আমাদের এখানে ঘুরে যেতে পারেন সকলে।”

অনির্বাণ রায়

Book Fair: অবাক বইমেলা! বই কিনলে দিতে হবেনা দাম! কোথায় হচ্ছে জানেন

শিলিগুড়ির শহরে কসমস মলে বসেছে এমনই এক মজার বইমেলা। যেখানে ফাঁকা বাক্স কিনে নিজের ইচ্ছেমতো সাজানো বই থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দসই বই। ‘বুক টেল’ সংস্থার পক্ষ থেকেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

Siliguri News: ৬ ফুটের মান্ডালা আর্ট! বিশ্বের দরবারে সম্মানিত বাংলার কৃতিকার, তৈরি করলেন রেকর্ড

শিলিগুড়ি: সবচেয়ে বড় মান্ডালা আর্ট বানিয়ে বিশ্বের দরবারে নাম শিলিগুড়ির মেয়ে কৃতিকা মুখোপাধ্যায়ের। ছ’ফুট উচ্চতার প্লাই উড শিটে মান্ডালা আর্ট বানিয়েই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বুক অফ রেকর্ডসে নাম কৃতিকার। অতীতে জাতীয় স্তরে রেকর্ড বুকেও নাম তুলেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়ে। তবে কৃতিকার আঁকা মান্ডালা আর্ট যে বিশ্বের দরবারে আন্তর্জাতিক স্তরে সেরার সেরা হিসাবে তাঁর নাম তুলে দেবে, সে কথা ভাবতেই পারেননি তরুণী। সংস্কৃত শব্দ মান্ডালার অর্থ বৃত্ত, তবে নিছক বৃত্ত দিয়েই মান্ডালা আর্ট হয় না। বৃত্তের পরতে পরতে বুনতে হয় জ্যামিতিক নকশার পাঁচিল। ছবি আঁকা না শিখেই এমন বিরল সৃষ্টি সত্যি অসামান্য। বছর ২২-এর তরুণীর কীর্তিতে দারুণ খুশি তাঁর পরিবারয। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও। তাঁর তৈরি সেই মান্ডালা আর্ট বিহার সরকার কিনে নিয়েছে। বিহারে উর্জা স্টেডিয়ামের শোভা বাড়াচ্ছে তাঁর তৈরি সেই চিত্র।

প্রসঙ্গত, ম্যান্ডালা আর্ট মূলত বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্কৃতির শান্তিচর্চা প্রকাশের একটা মাধ্যম হিসাবে পরিচিত। মান্ডালা আর্ট সাধারণত তান্ত্রিক বৌদ্ধরা ধ্যানের সহায়তার জন্য ব্যবহার করতেন, যা এখনও করা হয়। যুগের পর যুগ এই চর্চা ভারত, চিন, জাপান, তিব্বত থেকে পশ্চিমের দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইদানিং গ্রাম-শহরে মান্ডালা আর্টের চর্চা করেন না তেমন কেউ। শিল্পকলার সিলেবাসের পাতায় মুখ লুকিয়ে রয়ে গিয়েছে সেই প্রাচীন শিল্পের কৌশল। যাকে আবার সবার সামনে এনে ফেললেন শিলিগুড়ির এই তরুণী। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে বড় মান্ডালা আর্ট বানিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বুক অব রেকর্ডসে নামও তুললেন তিনি।

আরও পড়ুন: কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা! মিনি টর্নেডো বিধ্বস্ত গ্রামে শুধুই  হাহাকার! ছবি দেখলে চোখে জল আসবে!

আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, ফের বিজেপিতে! রায়গঞ্জে বিধায়ক সৌমেন রায়ের অদ্ভুত স্বীকারোক্তি

ছোটবেলা থেকেই আঁকার প্রতি একটা ঝোঁক ছিল কৃতিকার। তবে সেভাবে শেখা হয়ে ওঠেনি। লকডাউনে ঘরে বসে ইন্টারনেট থেকে ছবি দেখে সেখান থেকেই শুরু। কৃতিকা বলেন, “আমি কোনও দিনও ভাবিনি যে, আমি মান্ডালা আর্ট বানিয়ে এমন নজির করতে পারব। লকডাউনের সময় প্রচুর মান্ডালা আর্ট বানিয়েছি। মান্ডালা আর্ট নিয়ে চর্চা করতে গিয়ে যখন এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানলাম তখন আরও বেশি করে ছবি আঁকতে শুরু করি। আগামীতে আমার নিজের রেকর্ড ভাঙার ইচ্ছে রয়েছে।” কৃতিকার মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ছবি আঁকা, পড়শোনা সবেতেই মেয়ে এক নম্বর। মেয়ের এত বড় সাফল্যে পরিবারের সকলেই ভীষন খুশি । পাশাপাশি আনন্দ জোয়ার বইছে পাড়াতেও।

অনির্বাণ রায়

Green Peas Luchi Recipe: কড়াইশুঁটির কচুরি নয়, লুচি খেয়েছেন কখনও? একবার খেলেই মুখে লেগে থাকবে, রইল রেসিপি

শিলিগুড়ি: বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টির সময় ঘরের বারান্দায় বসে গরম গরম কড়াইশুটির লুচি-মাংস যদি খাওয়া হয়, তবে তার মজাই আলাদা। আর সত্যি বলতে বাঙালির অন্যতম প্রতীক বলা যেতে পারে এই কড়াইশুঁটির লুচিকে।

কড়াইশুঁটির কচুরি নয়, লুচি খেয়েছেন কখনও? ভাবছেন কড়াইশুটির লুচি আবার এমন কি ব্যাপার। খুবই সামান্য উপকরণ দিয়ে এই কড়াইশুঁটির লুচি আপনিও বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারবেন। উপকরণ বলতে একেবারে অল্প জিনিস প্রয়োজন। কড়াইশুঁটি, দুটো কাঁচা লঙ্কা, চার পাঁচ কোয়া রসুন, অল্প আদা।

আরও পড়ুন-   গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!

পদ্ধতি: প্রথমে পাত্রে ময়দা, তেল, সামান্য নুন এবং বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। ময়দা খুব নরম করে মাখবেন না। মাখার পর অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা পরিষ্কার, শুকনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এবার মিক্সিতে কড়াইশুঁটি এবং আদা ভাল করে বেটে নিন। মিহি করে বাটতে হবে। শিলে বাটতে পারলে আরও ভাল। এর মধ্যে কিন্তু জল দেওয়া যাবে না। এবার কড়াইতে সামান্য তেল দিন। এবার কড়াইশুঁটি বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন।

নুন এবং চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। কড়াইশুঁটি একেবারে ঝুরঝুরে হয়ে এলে নামিয়ে নিন।এবার মেখে রাখা ময়দা থেকে লেচি কেটে তার মধ্যে কড়াইশুঁটির পুর ভরে নিন। এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কড়াইশুঁটি লুচির লেচি কিন্তু আকারে বেশ খানিকটা বড় হবে। তা হলেই পুর লেচির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে না। পুর ভরার পর লেচির মুখ বন্ধ করার সময়েও সতর্ক থাকতে হবে। ময়দা ছড়িয়ে একটু মোটা করে বেলে নিতে হবে লুচি। তেল গরম হলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে গরম গরম কড়াইশুঁটির কচুরি ভেজে তুলে নিতে হবে। নিরামিষ আলুর দম কিংবা কষা মাংসর সঙ্গে পরিবেশন করুন কড়াইশুঁটির লুচি।

অনির্বাণ রায়

Food Recipe: বাড়িতেই তৈরি করে নিন গোলাপ মোমো! স্বাদে অতুলনীয়, রইল সহজ রেসিপি

শিলিগুড়ি: কলকাতা মানেই যেমন মিষ্টি দই-রসগোল্লা, তেমনই শিলিগুড়ি মানেই মোমো। শিলিগুড়িতে যত মোমোর রকমারি দোকান বা স্টল আছে, পৃথিবীর আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না। পাহাড়েও নেই। গোটা শহর ঘুরলে অন্তত কয়েক হাজার মোমোর দোকান মিলবে যার সঠিক সংখ্যার হিসেব কোথাও নেই। কিন্তু সমস্যা হল কোন মোমো খাবেন? খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া গেল এক নতুন মোমোর ঠিকানা। গোলাপ মোমো।  আসলে এই মোমো গুলি দেখতে গোলাপের মত। শিলিগুড়ি হায়দারপারার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ রাই ভিন্ন স্বাদের গোলাপ মোমো নিয়ে হাজির হয়েছে শিলিগুড়িতে।

শিলিগুড়ি শহরে হরেকরকম স্বাদের মোমো নিয়ে হয়ত খেয়েছেন । তবে এমন গোলাপ আকৃতির মোমো হয়তো এখনও কেউ খায়নি অন্তত এমনটাই দাবি দোকানের মালিকের। হায়দারপাড়ার ‘মাউন্ট এভারেস্ট ফাস্ট ফুড’ নতুন স্বাদের বিভিন্ন ধরনের মোমো নিয়ে হাজির হয়েছে খাদ্য রসিকদের জন্য। স্বাদের দিক থেকে যে কোনও রকমের কোনও খামতি হবে না সে বিষয়ে নিশ্চিৎ ইন্দ্রজিৎ। আর তাই বিভিন্ন ধরনের মোমোর স্বাদ নিতে তাঁর দোকানে হাজির হয় বহু মানুষ। ইন্দ্রজিৎ জানায়, “আমার দোকানের দু’জন নেপালি শেফ আমার দোকানের ইউএসপি। তাঁরাই মূলত আমাকে এই মোমো তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তারপর থেকেই প্রচুর অর্ডার পাই এই গোলাপ মোমোর। আপাতত আমার অর্ডার পেলেই এই মোমো তৈরি করছি।”

আরও পড়ুন: বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু ‘রমজান-ই-শরবত’! নামমাত্রা খরচ, দারুণ উপকারী

আরও পড়ুন: অবহেলায় পড়ে থাকে! হাজার রোগের ওষুধ সেই পাতাই, খুশকি, গাঁটের ব্যথাও সারায় নিমেষে

বিট, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, মশলা এবং লাল রসুন লঙ্কার চাটনি দিয়ে ভরা অসাধারণ গোলাপ আকৃতির মোমো।  লাল রং বিট থেকে আসে। সাধারণ মোমো যেমন করে বানানো হয়, তার থেকে একটু অন্য ভাবে তৈরি করতে হয় এই মোমো। খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন যে কেউ এমনটাই দাবি দোকানের শেফ আদিত্যর। মোমো খেতে আসা নীলাদ্রি দেব জানান, “এই গোলাপ মোমো অত্যন্ত সুস্বাদু। আমি মাঝেমধ্যেই এখানে মোমো খাই। দামটাও সাধ্যের মধ্যে।” তাই সস্তায় পেট ভরাতে এবং চটজলদি ভিন্ন স্বাদের এই গোলাপ মোমো খেতে আপনাকে একবার আসতেই হায়দারপাড়ার এই দোকানে।

অনির্বাণ রায়

Siliguri News: বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঘরবন্দি শিলিগুড়িবাসী! আসল কারণটা কী? জানলে অবাক হবেন

শিলিগুড়ি: ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। বিগত তিনদিন ধরে রাত্রি বাড়লেই ধোঁয়ায় ঢাকছে শহর শিলিগুড়ি। পরিস্থিতি এমন বাধ্য হয়েই দরজা, জানলা বন্ধ করে দিতে হয় সকলকে। শিলিগুড়ির চয়নপাড়া থেকে দেশবন্ধুপাড়া, শালুগাড়া থেকে সূর্যনগর, শহরের অধিকাংশ মানুষের দমবন্ধ পরিস্থিতি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই ধোঁয়া আসছে কোথা থেকে? বিগত বছরেও ঠিক এমন চিত্র ধরা পড়েছিল। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। তবে এবার দূষনের মাত্রা দ্বিগুণ। ঠিক এর কারণ খুঁজতে শুরু করে শিলিগুড়ি পুরসভা।

প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছিল ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকেই এই ধোঁয়া আসছে। পরবর্তীতে জানা গিয়েছে শহর সংলগ্ন এলাকায় থাকা বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের জেরেই এমন ধোঁয়া। এই কষ্ট থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে পুরসভায় সমস্ত রাজনৈতিক দল, বনবিভাগ, বাস্তুকারদের নিয়ে বৈঠক সারেন মেয়র গৌতম দেব।

আরও পড়ুন: দোলের জন্য বাজারে মিলছে পরিবেশ বান্ধব মুখোশ! এর বিশেষত্ব কী কী? দেখে নিন

তারপর তিনি ধোঁয়ার আসল রহস্য উদঘাটন করে বলেন, ” বনাঞ্চলের শুকিয়ে যাওয়া পাতায় আগুন লাগার ফলেই এই ধোঁয়া। তবে কীভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। “নিরাপত্তা বাড়ানো ও আগুন যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনা যায় তা নিয়ে বুধবার পুলিশ কমিশনার ও দমকল বিভাগকে নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি।”

আরও পড়ুন: বাড়িতে থাকা সবজির রস দিয়েই কম খরচে বানিয়ে ফেলুন ভেষজ আবির! জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

অন্যদিকে, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে সঙ্গে জঙ্গলের মাঝেও আগুন লেগে গাছপালা পুড়ছে। ধোঁয়ায় শহরবাসির নাজেহাল অবস্থা। তাই শহরবাসীর স্বস্তির কথা ভেবেই তড়িঘড়ি বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠকের পর তিনি বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমরা দুটো জলের গাড়ি ব্যবহার করব। তাছাড়া জঙ্গলে আগুন নেভানোর কাজে দমকলকে আগামী এক দুই মাস সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। দমকল ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন নেভানোর কাজ করবে।” তবে আজকের বৃষ্টিতে খানিকটা হলেও স্বস্তিতে শহরবাসী।

অনির্বাণ রায়