মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ। রবিবারের এই দুর্ঘটনায় মন খারাপ গোটা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। রেলের যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থার হাল যে ভাল নয়, তা আরও একবার প্রমাণিত।রেলের তরফে এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে একাধিক কথা বলা হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছনের দিকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। অনেকেই বলছেন, মালগাড়ির গতি ছিল বেশি। ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ২টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।এখন প্রশ্ন হল, মালগাড়ির গতিবেগ সর্বোচ্চ কত হতে পারে! ভারতীয় রেলের নিয়ম কী বলছে! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য পৌঁছে দিতে মালগাড়ির কোনও বিকল্প নেই। একসঙ্গে অনেক পণ্য কম খরচে পৌঁছনো যায় মালগাড়ির সাহায্যে। তবে মালগাড়়ির চালককে নির্দিষ্ট গতিবেগ বজায় রাখতে হয়।১৯৬৬ সালে ভারতে প্রথমবার মালগাড়ি চলে। মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত। ভারতীয় রেলের দীর্ঘতম মালগাড়ি সুপার বাসুকি। ৬টি ইঞ্জিন। ২৯৫টি বগি এই মালগাড়ির।২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুপার বাসুকি পণ্য পরিবহণের ট্রেনটি চালানো হয়েছিল। এই ট্রেনের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার।রেলের তথ্য বলছে, সাধারণত ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫-৩০ কিমি বেগে মালগাড়ি ছোটে। তবে ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে ৬০ কিমি পর্যন্ত গতিবেগ তুলতে পারে মালগাড়ি।ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর হল ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত। অর্থাৎ এই রুটে মালগাড়ির গতিবেগ বেশি হতে পারে। সাধারণত মালগাড়িতে ৪০ থেকে ৫৮টি ওয়াগন থাকে। রেল অনেকদিন ধরেই মালগাড়ির গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।