বসিরহাটের এই অশ্বথ গাছের নীচে খেলতেন বাবা লোকনাথ

Baba Lokenath: বাবা লোকনাথ কোথায় ধ্যান করত জানেন? স্মৃতি বিজড়িত প্রাচীন অশ্বত্থ গাছটি এখনও আছে

উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটের এই অশ্বথ গাছের নিচে খেলতেন বাবা লোকনাথ। ‘রণে বনে জলে জঙ্গলে, যেখানেই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও, আমি রক্ষা করিব’। এটি লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অতি বিখ্যাত বাণী বলে সর্বত্র প্রচলিত। বাবা লোকনাথের এই উক্তিটি অনেকেই মনে প্রাণে ধারণ করে চলেন। লোকনাথের এই বাণী স্মরণ করে অনেকে কঠিন পরিস্থিতি ও দুর্গম পথও অতিক্রম করে এসেছেন।

বিশ্বাসীরা মনে করেন, খুব সহজেই প্রসন্ন হন বাবা লোকনাথ। ভক্তদের সাহায্যের জন্য সর্বদা এগিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু বসিরহাটের কচুয়া লোকনাথ মন্দিরের অদূরেই লোকনাথের স্মৃতি বিজড়িত প্রাচীন অশ্বথ গাছ সম্পর্কে জানেন কি? লোকমুখে প্রচলিত আছে এই অশ্বথ গাছের নিচে বাবা লোকনাথের বাল্যকাল কেটেছে। অশ্বথ গাছ থেকে নেমে আসা ঝুরিতে দোল খেতেন। আবার এই অশ্বথ গাছের তলায় বাবা লোকনাথ সহ একাধিক সাধু সন্ন্যাসীদের আনাগোনা ছিল।

আর‌ও পড়ুন: মালটা চাষ করে এই গরমে পকেট উপচানো আয় করুন

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাটের কচুয়া ধামের মুল গেট থেকে বিপরীত দিকে কিছুদূর গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে লোকনাথ বাবার বাল্যবন্ধু বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো মাটির বাড়ি। তার কাছেই ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে দাঁড়িয়ে আছে এই অশ্বথ গাছ। এর তলায় বসেই শিবের ধ্যান করতেন বাবা লোকনাথ। এলাকাবাসীদের দাবি, গাছটির বয়স হাজার পেরিয়ে গেছে। আগে এই গাছটি আর‌ও বিশল আকারের ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করেছে। অনেক লোকনাথ ভক্ত আবার দাবি করেন, তারা এই গাছের কাছে এলে বিশেষ ধরণের সুগন্ধ পান।

অনেকে লোকনাথের মন্দিরে এলে লোকনাথের বাল্যবন্ধু বেণীমাধবের বাড়ির পাশাপাশি গাছটিকে দেখে যান। আপনারা ইচ্ছে করলে চলে আসতে পারেন বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মাটির বাড়ি ও এই গাছটি দেখতে। শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে কাঁকড়া-মির্জানগর স্টেশনে নামতে হবে। তারপর অটো কিংবা টোটোতে মাত্র ৫ মিনিটে পৌঁছে যাবেন এই জায়গায়।

জুলফিকার মোল্যা