Tag Archives: kanchanjangha express accident

Rangapani Train Accident: ওয়াকিটকি ছাড়াই ছুটেছে ট্রেন? কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সময়ে কী ঘটেছিল? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

কাটিহার: রেলের সুরক্ষা নজিরবিহীন! সেফটি ইকুইপমেন্ট ছাড়াই ছুটছে ট্রেন? রাঙাপানি ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাটিহার ডিভিশনেই প্রয়োজনের তুলনায় ৪২৯ ওয়াকিটকি সেট নেই। কাটিহার ডিভিশনের তিন ক্রু-লবির অবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন। রেল দুর্ঘটনার তদন্তে ওয়াকিটকির না থাকা উল্লেখ করেছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি।

কাটিহারে প্রয়োজন ২৬০টি। সেখানে আছে মাত্র ৭২টি। ১৮৮টি সেট নেই। নিউ জলপাইগুড়ি প্রয়োজন ৩৭৭টি। আছে মাত্র ১৬৯টি। ২০৮টি সেট নেই। মালদহে প্রয়োজন ৯৫টি। আছে ৬২টি। খারাপ হয়ে গেছে ৮টি।২৫টি সেট নেই।

আরও পড়ুন: ভারতের ‘এই’ নদীতে স্নান করলেই হাতে আসত সোনার কণা…! কিন্তু ঘরে তুললেই… বিপজ্জনক ঘটনা!

রিপোর্টে উল্লেখ ১৭ জুন দুর্ঘটনার দিনে ১৮ পণ্যবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট ও ট্রেন ম্যানেজারদের কাছে ওয়াকিটকি সেট ছিল না। রিপোর্ট অনুযায়ী ১২ জুন থেকে ১৭ জুন অবধি ১৩৭টি পণ্যবাহী ট্রেন ওয়াকিটকি ছাড়া চলাচল করেছে।

রাঙাপানি  ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। সেই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে রেলের গাফিলতি কোথায় কোথায় ছিল। আর তার পরিণাম হচ্ছে এই দুর্ঘটনা। চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ তার যে প্রাথমিক রিপোর্ট রেল বোর্ডের কাছে জমা দিয়েছেন সেখানে দুর্ঘটনার কারণে ওয়াকিটকি বা ভিএইচএফ সেটের না থাকার কারণ উল্লেখ করেছেন৷

দুর্ঘটনার দিনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পণ্যবাহী ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকের বা গার্ডের কাছে ছিল না ওয়াকিটকি৷ আর এই কারণ অনুসন্ধানে নেমে রিপোর্টের ২৪ নম্বর পাতায় বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছেন ভিএইচএফ সেট বা ওয়াকিটকি নিয়ে অভাবের কথা। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশন হল কাটিহার। যার মধ্যে মালদহ, শিলিগুড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে৷ প্রতিদিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন চলাচল করে এই সেকশন দিয়ে৷ সেখানে সেফটি ইকুইপমেন্টের অভাব রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে৷ যদিও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের আধিকারিকরা। তবে এই বিষয়ে রেল বোর্ডকেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে।

ট্রেন দুর্ঘটনার পর অভূতপূর্ব পরিষেবা, পুরস্কৃত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ

শিলিগুড়ি : ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ।কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিষেবা ও অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাল রাজ্য সরকার।

শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মুখ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ওই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। সেই সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে মেডিকেল কে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে এই বাহবা পেয়ে খুশি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন- গভীর রাতে হাতির হানা! গ্রামবাসীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ব্যক্তির, শোকের ছায়া

হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “এটা আমাদের কর্তব্য। আমরা চেয়েছিলাম প্রত্যেকটি প্রাণ বাঁচাতে। সত্যি বলতে ওই দিন হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স থেকে সাফাই কর্মীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন তা সত্যি অভাবনীয়। রক্তের সংকট মেটাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা পর্যন্ত এগিয়ে এসে রক্তদান করেছে। রাজ্য সরকারের এই স্বীকৃতি ও শুভেচ্ছা আগামীতেও আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।”

ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ পাওয়া মাত্র মেডিকেল ইমারজেন্সি অপারেশন থিয়েটার এবং মেন অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসক নার্স ,স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটি দেওয়া হয়।

অপারেশন থিয়েটারে একাধিক টেবিলের প্রয়োজনে যাতে আহতদের অপারেশন করা যায়, সেই ব্যবস্থা এক ঘন্টার মধ্যেই তৈরি করে ফেলা হয়েছিল। জরুরি বিভাগে ও সিনিয়র জুনিয়র ডাক্তার চিকিৎসা কর্মী, ওষুধ , ইনজেকশনের ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন- ফের দুর্যোগের আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে! অতি ভারী বৃষ্টির দাপট শুরু কোন কোন জেলায়

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসেছিলেন। কারও দুটি পা ভাঙা, কারও কোমরে গুরুতর চোট, কারও আবার মাথায় মারাত্মক ক্ষত হয়েছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়ায় সকলের ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছেন।

গত ৬ দিন ধরে যেভাবে দিন রাত এক করে চিকিৎসকরা আহতদের সুস্থ করে তুলতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন, তারই প্রশংসা করেছেন প্রধান সচিব।

অনির্বাণ রায়

Kanchanjungha Express Accident: কীভাবে হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অ‍্যাকসিডেন্ট? তদন্তে নয়া মোড়! রাঙাপানি স্টেশন মাস্টার দিলেন বড় ত‍থ‍্য

শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে নয়া মোড়। রাঙাপানি স্টেশন মাস্টার ইস্যু করলেন দুটো ফর্ম।একই সঙ্গে দিলেন TA-312 ও T-369(3B), জানা গিয়েছ অটোমেটিক সিগন্যাল ব্যবস্থায় দ্বিতীয় ফর্ম দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অ‍্যাবসোলিউট ব্লক সিস্টেম চালু থাকলে এই ফর্ম প্রয়োজন বলেই রেল সূত্রে খবর।

একটি ফর্মে অনুমোদন হল সিগন্যাল পোস্ট পেরনোর অনুমতি। অপর ফর্মের মাধ্যমে মালগাড়ির চালক বুঝলেন চটের হাট পর্যন্ত লাইন পরিষ্কার। তাই তিনি সাধারণ গতিতেই ট্রেন ছোটালেন বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্টে উল্লেখ আছে এই দুটি ফর্ম দেওয়ার বিষয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাঙ্গাপানির স্টেশন ম্যানেজারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘প্রার্থনা করুন’, অসুস্থ অলকা ইয়াগনিক! বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত গায়িকা, শোনার ক্ষমতা হারালেন

নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার একটি রিপোর্ট পেশ করা হল।
যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে দুর্ঘটনার দিন কাঞ্চন জঙ্ঘা এবং মালগাড়ি দুই চালককেই T/A 912 এর সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল আর একটি কাগজ যেটি হল T/369 (3B)।

Kanchanjungha Express Accident: ঘোষণা করা হয়েছিল সহকারি চালক মারা গেছেন, এখন হাসপাতালের বেড থেকে তাঁর প্রশ্ন, ‘ড্রাইভার সাব ক্যায়সা হ্যায়’!

শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি মালগাড়ির সহকারি চালক। হাসপাতালে ভর্তি মনু কুমার। সম্প্রতি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ার কাছে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। ধাক্কার অভিঘাতে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যান। এই অবস্থায়, দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসাবে রেলের তরফে, মালগাড়ির চালকের বিরুদ্ধে সিগনাল না মানার অভিযোগ করা হচ্ছে।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে যে মালগাড়িটি ধাক্কা মেরেছিল তার চালক ও সহকারী চালক দুজনেই মারা গেছে বলে গতকাল জানানো হয়েছিল রেলবোর্ডের তরফে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা গেছে, মালগাড়ির সহকারী চালক জীবিত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। বর্তমানে তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন – Helmet Use: ‘চোখে আঙুল দাদা’- গায়ে নামাবলী, মাথায় হেলমেট, সাইকেল চালিয়ে কোথায় যাচ্ছেন পুরুত মশায়

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দুর্ঘটনার পর তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া মিলেছে । মনু কুমার জিজ্ঞেস করেন, “ড্রাইভার সাব ক্যায়সে হ্যয় (চালক কেমন আছেন) ৷” যদিও তাঁকে মালগাড়ির চালকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি ৷ তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ । বাড়ির লোককে দুর্ঘটনার খবর দিতে চান না তিনি ৷ খুব বেশি কথা বলতে পারছেন না মনু । তবে এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি লোকাল18 বাংলা ৷

কেন হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ? কী করে এক লাইনে চলে এল দু’টি ট্রেন ? কী করেই বা মালগাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ? এসবেরই উত্তর খুঁজছেন রেলওয়ে সেফটির আধিকারিকরা ।তবে এই গোটা ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার । এখন একমাত্র তিনি পারেন এর রহস্য উন্মোচন করতে । কিন্তু তিনিও এখন শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।

Anirban Roy

মালগাড়ি সর্বোচ্চ কত গতিতে ছুটতে পারে? ভারতীয় রেলের নিয়ম জানেন না অনেকেই

মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ। রবিবারের এই দুর্ঘটনায় মন খারাপ গোটা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। রেলের যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থার হাল যে ভাল নয়, তা আরও একবার প্রমাণিত।
মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ। রবিবারের এই দুর্ঘটনায় মন খারাপ গোটা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। রেলের যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থার হাল যে ভাল নয়, তা আরও একবার প্রমাণিত।
রেলের তরফে এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে একাধিক কথা বলা হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছনের দিকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। অনেকেই বলছেন, মালগাড়ির গতি ছিল বেশি। ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ২টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
রেলের তরফে এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে একাধিক কথা বলা হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছনের দিকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। অনেকেই বলছেন, মালগাড়ির গতি ছিল বেশি। ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ২টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এখন প্রশ্ন হল, মালগাড়ির গতিবেগ সর্বোচ্চ কত হতে পারে! ভারতীয় রেলের নিয়ম কী বলছে! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য পৌঁছে দিতে মালগাড়ির কোনও বিকল্প নেই। একসঙ্গে অনেক পণ্য কম খরচে পৌঁছনো যায় মালগাড়ির সাহায্যে। তবে মালগাড়়ির চালককে নির্দিষ্ট গতিবেগ বজায় রাখতে হয়।
এখন প্রশ্ন হল, মালগাড়ির গতিবেগ সর্বোচ্চ কত হতে পারে! ভারতীয় রেলের নিয়ম কী বলছে! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য পৌঁছে দিতে মালগাড়ির কোনও বিকল্প নেই। একসঙ্গে অনেক পণ্য কম খরচে পৌঁছনো যায় মালগাড়ির সাহায্যে। তবে মালগাড়়ির চালককে নির্দিষ্ট গতিবেগ বজায় রাখতে হয়।
১৯৬৬ সালে ভারতে প্রথমবার মালগাড়ি চলে। মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত। ভারতীয় রেলের দীর্ঘতম মালগাড়ি সুপার বাসুকি। ৬টি ইঞ্জিন। ২৯৫টি বগি এই মালগাড়ির।
১৯৬৬ সালে ভারতে প্রথমবার মালগাড়ি চলে। মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত। ভারতীয় রেলের দীর্ঘতম মালগাড়ি সুপার বাসুকি। ৬টি ইঞ্জিন। ২৯৫টি বগি এই মালগাড়ির।
২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুপার বাসুকি পণ্য পরিবহণের ট্রেনটি চালানো হয়েছিল। এই ট্রেনের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার।
২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুপার বাসুকি পণ্য পরিবহণের ট্রেনটি চালানো হয়েছিল। এই ট্রেনের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার।
রেলের তথ্য বলছে, সাধারণত ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫-৩০ কিমি বেগে মালগাড়ি ছোটে। তবে ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে ৬০ কিমি পর্যন্ত গতিবেগ তুলতে পারে মালগাড়ি।
রেলের তথ্য বলছে, সাধারণত ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫-৩০ কিমি বেগে মালগাড়ি ছোটে। তবে ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে ৬০ কিমি পর্যন্ত গতিবেগ তুলতে পারে মালগাড়ি।
ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর হল ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত। অর্থাৎ এই রুটে মালগাড়ির গতিবেগ বেশি হতে পারে। সাধারণত মালগাড়িতে ৪০ থেকে ৫৮টি ওয়াগন থাকে। রেল অনেকদিন ধরেই মালগাড়ির গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর হল ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত। অর্থাৎ এই রুটে মালগাড়ির গতিবেগ বেশি হতে পারে। সাধারণত মালগাড়িতে ৪০ থেকে ৫৮টি ওয়াগন থাকে। রেল অনেকদিন ধরেই মালগাড়ির গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

Kanchanjangha Express Accident: প্রাণ কাড়ল দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা, শখ করে কেনা সাধের গাড়িতেই স্ত্রীর নিথর দেহ নিয়ে ফিরলেন স্বামী

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: শখ করে কেনা গাড়িতে করেই ঘরে পৌঁছল ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত এক মহিলার দেহ। কথা ছিল অন্য ট্রেনে ওঠার। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে কাঞ্চনজঙ্ঘায় যাত্রী হয়ে চরম পরিণতি পূর্ব বর্ধমানের বিউটি বেগমের।

উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার এক মহিলার। ৪৩ বছর বয়সি বিউটি বেগম  পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইটাচাঁদা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর  স্বামীর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার অন্য একটি ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার কথা ছিল বিউটি বেগমের। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে সেই ট্রেনে আর ওঠা হয়নি তাঁর। তাই অগত্যা জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে গুসকরা শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি।তবে কিছু রাস্তা অতিক্রম করার পর সেই ট্রেনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় বিউটি বেগমের।

অন্য কোনওভাবে মৃতদেহ আনার ব্যবস্থা না হওয়ায় দশ মাস আগে শখ করে কেনা নিজেদের গাড়ি করেই, নিজের স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন মৃতার স্বামী। নিজেই গাড়ি চালিয়ে স্ত্রীর নিথর দেহ এদিন বাড়িতে আনেন হাসমত শেখ। মৃতা বিউটি বেগমের স্বামী হাসমত শেখ জানিয়েছেন, তিনি শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বিগত একমাস ধরে সেখানেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী বিউটি। তবে সোমবার তাঁর বাড়িতে ফেরার কথা ছিল।

আরও পড়ুন : দুর্ঘটনার অভিঘাতে ছিন্ন পা, বাড়িতে ফেরার বদলে হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন পুলিশকর্মী

সেইমতো সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে, বিউটি বেগম তার স্বামীর জন্য রান্না করেন। তার পর স্বামীর খাওয়া হয়ে গেলে, স্বামীর সঙ্গে ট্রেন ধরতে বের হন বিউটি বেগম। স্টেশনে স্বামী হাসমত শেখ বিউটি বেগমকে ফল এবং বিস্কুট কিনে দিয়ে তাঁর কাজের জায়গায় চলে যান। সেদিনই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে গুসকরা ফেরার পথে  ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বিউটি।

ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্ত্রীর মৃতদেহ শনাক্ত করেন স্বামী হাসমত শেখ। মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে গুসকরায় নিজের বাড়িতে ফেরেন হাসমত। তাঁর পরিবারে
এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া।

কান ফাটানো আওয়াজ, বীভৎস অবস্থা! বিএসএফ জওয়ান যা করলেন, স্যালুট করবেন

শিলিগুড়ি : এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে অসুস্থ মাকে দেখতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন জওয়ান। সেই ট্রেনে চেপে বর্ধমানের নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন বিএসএফ জওয়ান রাজকুমার বটব্যাল।

যাত্রার শুরুতেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী ওই জওয়ান। সিগন্যালের অপেক্ষায় রাঙাপানিতে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পেছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি জার জেরে দুমড়ে মুচড়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনের তিনটি বগি।

জেনারেল বগিতে ছিলেন সেই জওয়ান। তাঁর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন তিনি। প্রতিকূল পরিবেশে অভ্যস্ত রাজকুমার নিজের আঘাত উপেক্ষা করে তখন একে একে বাঁচাচ্ছেন সহযাত্রীদের ৷

আরও পড়ুন- ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগে কেন? ‘এই’ ৫ ভুল কারণ! দুর্ঘটনা এড়াতে জেনে রাখুন

ওই পরিস্থিতিতে তাঁর মাথায় ছিল না নব্বই পেরনো মায়ের অসুস্থতার কথাও৷ রাজকুমারের কথায়, এটাই তো বিএসএফ-এর স্লোগান, ‘ডিউটি আনটিল ডেথ’। অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত কর্তব্য পালন। সেই ধর্মেই দীক্ষিত বিএসএফ কর্মীর কাছে ওই মুহূর্তে সহযাত্রীদের উদ্ধার করাটাই ছিল একমাত্র মিশন ৷

বিএসএফ ইনস্পেক্টর রাজকুমার বটব্যাল। বিএসএফের কমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং বিভাগে কর্মরত তিনি। বর্তমানে তিনি মেঘালয়ের টুরাতে কর্মরত ছিলেন। তিনি সোদপুরের বাসিন্দা।

তাঁর নব্বই বছরের মা কোমায় রয়েছেন। তিনি কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। তাই এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে মাকে দেখতে কলকাতায় যাচ্ছিলেন রাজকুমার বটব্যাল। কিন্তু কে জানত তার জন্য ভয়াবহ ঘটনা অপেক্ষা করছিল।

মালগড়ির ধাক্কাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ওই কামড়াটি যখন অন্য একটি বগির উপর উঠে যায়, তখন সাত-আটজন যাত্রী এসে পড়েছিল রাজকুমারের উপর ৷ সবাইকে একে একে কামরা থেকে বের করে তারপর নিজে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন রাজকুমার বটব্যাল । কিন্তু এসবের মাঝেই খোয়া যায় তাঁর মোবাইল ও মালপত্র। পরে অবশ্য উদ্ধারকারী পুলিশ তাঁর খোয়া যাওয়া সামগ্রী খুঁজে বের করে তাঁকে ফিরিয়ে দেন। আহত রাজকুমারকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে ৷

আরও পড়ুন- ১০৪ টাকার পেট্রোলে ৭৩ কিমি রাস্তা! দুরন্ত মাইলেজ ‘এই’ বাইকের, দামও সস্তা

তাঁর চিকিৎসার পর মঙ্গলবার সকালে ওই বিএসএফ কর্মীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । বিপদের মুখে তাঁর কর্তব্যপালন সবার প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে ৷

রাজকুমারকে ধন্যবাদ জানান আরপিএফ কর্মীরা ।হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে রাজকুমার বটব্যাল বলেন, “আমার মা কোমায় রয়েছেন ৷ তাঁকে দেখতেই কলকাতায় যাচ্ছিলাম ৷ কিন্তু এই ঘটনার পর মাথায় তখন আর কিছু আসেনি। হুড়মুড়িয়ে সবাই উপর থেকে নীচে গড়িয়ে পড়ে।একে একে সবাইকে উদ্ধার করি। সবার শেষে নিজে বের হই।”

অনির্বাণ রায়

হাসপাতালে শুয়ে স্বামী, দেখতে যেতে পারছেন না স্ত্রী! কপালের ফের হয়তো একেই বলে!

মুর্শিদাবাদ: হঠাৎ বিকট শব্দ, তারপর বারকয়েক ঝাঁকুনি। তখন ট্রেনের যাত্রীদের অনেকেই ঘুমিয়ে রয়েছে, আবার কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হচ্ছেন। তার মাঝে এমন ঘটনা!

যাত্রীরা একে অপরের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়েছেন। অনেকেই তাতে জখম হয়েছেন। আর এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মুর্শিদাবাদ ফরাক্কার অজিত মন্ডল।

সেই খবর বাড়িতে পৌঁছয়। কিন্তু বাড়ির আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাঁকে দেখতে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়ে ওঠেনি পরিবারের। অজিত মন্ডল পেশায় সবজি বিক্রেতা। তাঁর স্ত্রী বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। তিন ছেলেমেয়ে। আর্থিক অবস্থা খারাপের কারণে এখন আহতের কাছে যেতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন- জলের দরে বরফ ঠান্ডা! বাড়িতে লাগিয়ে ফেলুন সেন্ট্রাল AC! 1BHK থেকে 3BHK, কত খরচ?

অজিত মন্ডলের স্ত্রী প্রতিমা মন্ডল জানান, এই চলতি মাসের ১২ তারিখে একজন রোগীকে নিয়ে জলপাইগুড়ি একটি আশ্রমে গিয়েছিলেন। গতকাল দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী ট্রেনের জেনারেল কামরাতে চেপেছিলেন তিনি।

তার পর একটি অচেনা নম্বর থেকে বাড়িতে ফোন আসে, জানানো হয়, অজিত মণ্ডল গুরুতর জখম ট্রেন দুর্ঘটনায়। তার পর থেকেই পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন অজিত মন্ডলকে নিয়ে।

আরও পড়ুন- ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগে কেন? ‘এই’ ৫ ভুল কারণ! দুর্ঘটনা এড়াতে জেনে রাখুন

পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাঁকে দেখতে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই। এই ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েছে।  ইতি মধ্যেই পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ জন। আহত ৫০ জনের ওপরে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড ও মালগাড়ির দুই চালক।

কৌশিক অধিকারী

Kanchanjangha Express Accident: দুর্ঘটনার অভিঘাতে ছিন্ন পা, বাড়িতে ফেরার বদলে হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন পুলিশকর্মী

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে, ভোর রাতে উঠেছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। সকালবেলা বাড়ির লোকের সঙ্গে কথাও হয় । বলার পর তিনি সুন্দরভাবে ট্রেনের কামরায় চেপে বসেছিলেন! হঠাৎ কিছুটা দূরে গেল আচমকাই শব্দ আর সেই শব্দের পরেই তার একটি পা চিরদিনের জন্য ছিন্ন হল শরীর থেকে। বাড়িতে না পৌঁছে বর্তমানে মৃতুর সঙ্গে লড়াই করছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউ রুমে মনোজ দাস। কেউ আবার মৃতদেহ নিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিষণ্ণ চোখে।

রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মনোজকুমার দাস। উনি হাবরার বাসিন্দা। তিনি পেশায় পুলিশকর্মী। শিলিগুড়িতে কর্মরত। গতকাল ওই ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ যাচ্ছিলেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেন ছাড়বার পর উনি মোবাইল দেখছিলেন। এর মধ্যে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।

আরও পড়ুন : আমেরিকায় মহাকাশ প্রোগ্রামে বাঁকুড়ার অয়ন! যাতায়াতের খরচ যোগাড় করতেই হিমশিম

দুর্ঘটনার অভিঘাতে ওঁর পা ভেঙে সিটের ফাঁকে আটকে যায়।পরে তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরে হাবরায় থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে খবর যায়।আজ ওঁরা শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছন। বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।