নিদেনপক্ষে ২০০০ অপরাধীকে কয়েদমুক্ত করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর

India’s ‘Super Thief’: দিনেই সাফাই ১০০০ গাড়ি ! বিচারক সেজে মুক্তি দোষীদের! বৃদ্ধ চোরের কীর্তি জানুন

নয়াদিল্লি: বান্টি অউর বাবলি ছবির কথা মনে পড়ে যেতে পারে অনেকের। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে বেমালুম এই জুটি বিক্রি করে দিয়েছিল তাজমহল। কিন্তু ধনীরাম মিত্তলের অপরাধ আরও সাঙ্ঘাতিক, বিচারকের আসনে বসে নিদেনপক্ষে ২০০০ অপরাধীকে কয়েদমুক্ত করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর।

পুলিশের খাতায় এ হেন ধনীরাম বেশ খ্যাত ‘মিত্তল সুপার’, ‘নটবরলাল’, ‘ভারতীয় চার্লস শোভরাজ’ নামেও। হবে না-ই বা কেন! মনে করা হয় যে তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, এই বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিও আছে তাঁর। আবার, একই সঙ্গে হস্তরেখা বিশারদ, গ্রাফোলজিস্ট বলেও নিজেকে পরিচয় দেন তিনি।

বিদ্যার দৌড় যাঁর ভালই আর দুর্বুদ্ধি মাথায় ভরা, সেই ধনীরাম মিত্তলের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল জাল নথি দিয়ে। সেই সব কাগজপত্র দেখিয়ে ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি স্টেশন মাস্টার হিসাবে কাজও করেছেন। তবে, এই কাজে আর কত প্রতারণাই বা করা যায়!

আরও পড়ুন : স্ত্রীর উচ্চতা ৪ ফুট, ১৫ বছরের অপেক্ষা শেষে বিয়ে হল বহু মেয়ের কাছে প্রত্যাখ্যাত ৩.৭ ফুট উচ্চতার যুবকের

পকেট ভরাতে অএব শুরু হয় গাড়ি চুরির ধান্দা। মনে করা হয়, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং আশেপাশের অঞ্চল থেকে দিনের আলোতেই সবার চোখের সামনে খুব কম করে হলেও ১০০০ গাড়ি চুরি করেছেন তিনি।

তবে, এই গাড়ি চুরি মিত্তলের প্রতিভার আসল নিদর্শন নয়। কেলেঙ্কারি ঘটে যখন তিনি ঝাজ্জর কোর্টের এক অ্যাডিশনাল সেশন জাজকে চক্রান্ত করে  দুই মাসের অস্থায়ী ছুটিতে পাঠিয়ে তাঁর জায়গা দখল করেছিলেন। এর পর একে একে ২০০০ অপরাধীকে মুক্ত করেন তিনি, পরে অবশ্য তাদের ধরে আবার গারদে ভরা হয়।

মনে করা হয়, এ হেন মিত্তল নিজের অপরাধের মামলার শুনানিও চালিয়েছেন বিচারক হিসাবে। রায়ও দিয়েছেন, কেউ কিছু বোঝার আগেই সে সব মিটিয়ে তিনি বেপাত্তা হয়ে যান ঘটনাস্থল থেকে।

সম্প্রতি অবশ্য তাঁর হাতে হাতকড়া পড়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির পশ্চিম বিহার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শালিমার বাগ থেকে চুরি করা একটি মারুতি এস্টিম বিক্রি করতে গিয়ে ফের ধরা পড়েছেন তিনি।

আসলে, এই গাড়ি চুরি করতে গিয়েই গত বছর মে মাসে ধরা পড়েন মিত্তল। তার আগে একই অপরাধে ধরা পড়েছিলেন মার্চ মাসে জেল থেকে রেহাইয়ের পর পরই। মুক্তির পরও গাড়ি চুরির অভ্যাস যায়নি তাঁর।

দিনকাল বোধহয় ভাল যাচ্ছে না গুণধরের! সে যতই অ্যান্টি থেফট লক ছাড়া গাড়ি তোলার চেষ্টা হালে করুন না তিনি!