বেঙ্গালুরু: পুলিশকে অনেক সময়েই দেখা যায় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে সর্বদা তৎপর থাকেন আমাদের সমাজের এই “সুপারহিরো” রা। এবার সেইরকমই এক দুঃসাহসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু শহর। চোর ধরতে নিজের বাইক থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন। পালানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শেষমেশ আইন রক্ষকদের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই চোর।
ঘটনাটি ভিডিও বন্দি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ওই পুলিশ কনস্টেবেল ডোড্ডা লিঙ্গায়া সাধারণ পোশাকে ছিলেন। তিনি নিজের বাইকেই ব্যস্ত রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই দাগী অপরাধী মজনেশ ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তাঁর নামে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৫টি পুলিশ কেস রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাঁটতে গিয়ে নিখোঁজ স্ত্রী-সন্তান, স্বামীর কাছে এল রহস্যময় কিউআর কোড! তারপর?
মজনেশকে দেখামাত্র ওই কনস্টেবেল তাঁর পথ আটকান। এরপরেই তাঁর কলার চেপে ধরেন ওই কনস্টেবেল। সঙ্গে সঙ্গেই নিজের স্কুটির জোরে চালিয়ে দেন মজনেশ। টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডোড্ডাকে। প্রায় ২০ মিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় মজনেশ। কিন্তু তাও তাঁকে ছাড়েন নি ওই কনস্টেবেল। কলার হাত থেকে ফসকে গেলে তিনি তাঁর পা চেপে ধরেন। এই দৃশ্য দেখে আরও পুলিশ এগিয়ে এসে মজনেশকে চেপে ধরেন। শেষমেশ ধরাশায়ী হন মজনেশ। শুধু পুলিশই নয় ওই চোরকে ধরতে আরও অনেক সাধারণ পথচারীও সাহায্য করেন।
পুলিশের দাবি এই দুষ্কৃতি, মাঝে মধ্যেই বেঙ্গালুরু থেকে টুমাকুরু জেলায় পালিয়ে যেত। এবারে হাতে পেয়ে তাই আর যেতে দিতে চাননি ওই কনস্টেবেল।
বেঙ্গালুরু: এক অদ্ভুত দৃশ্য ধরা পড়ল সিসিটিভিতে। চুরি করার এক অভিনব দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ায় হতবাক গোটা এলাকার মানুষ। বেঙ্গালুরুর একটি আবাসনে চুরির ভিডিওতে দেখা যায়, ওই দুষ্কৃতি আবাসনের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু পরে তাঁকে বেশ কিছু জুতো পরীক্ষা করতে দেখা যায়। এরপর সেই জুতো গুলির মধ্যে থেকে একটি খুবই বাছাই করে চুরি করে নিয়ে যায়। এই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘তোমাদের মতো হতে চাই’, ভারতীয় সেনাকে চিঠি ওয়ানাডের শিশুর! দেখে চোখে জল আসবে
এই ভাইরাল ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মুখোশ পরা এক ব্যক্তি খুবই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে করিডর দিয়ে হেঁটে আসছে। তাঁর হাতে রয়েছে একটি বস্তা। এরপরেই তাঁকে ফ্রেম থেকে অর্থাৎ সিসিটিভির বাইরে চলে যেতে দেখা যায়। পরে করিডরের বিপরীত প্রান্তে দেখা যায়। তখন তাঁকে দেখা যায় তাঁর হাতে রয়েছে এক জোড়া জুতো। তারপর আবার সে জুতোর র্যাকের সামনে থামে, সেই জুতোও তাঁরা পরীক্ষা করে। পরে তাঁকে দেখা যায় চার জোড়া জুতো বস্তার ভিতর পুরতে।
এই ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট হয় একমাস আগে। কিন্তু এই ভিডিও টি নজরে আসে কিছুদিন আগে। এই ঘটনা সামনে আসতে নেটিজেনরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।
বেঙ্গালুরু পুলিশকে একজন ট্যাগ করে লিখেছেন, “আমি বুঝতে পারছি না কিভাবে এই ধরনের অপরাধ, এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং বেঙ্গালুরুর মতন শহরে তা উপেক্ষিত হয়? এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুলিশ তো রাতে টহল দেয়? তবে এই ঘটনা কিভাবে ঘটে!”
আরও এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “পুলিশের কাজ তাহলে নাক ডেকে ঘুমানো। আর সকালে তো পুলিশ ফোনে গেম খেলতে ব্যস্ত থাকে।”
এর মাঝেই রসবোধের পরিচয় দিয়েছেন অনেক নেটাগরিকরা। একজন লিখেছেন, “মোজা তো নিয়ে যেতিস ভাই! সবাই নিজের জুতোর খেয়াল রাখো!
আর একজন লেখেন, “ভাবুন যদি খুব খারাপ জুতো হয়, তবে কেউ জুতোও চুরি করবে না।”
নয়ডা: চুরি করার আগে আজব কাণ্ড ঘটাল চোরের দল। যা দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল দিল্লির নয়ডায়। ঘরে ঢুকে চুরি করাতেই সীমাবদ্ধ না থেকে, চুরি করার আগে রীতিমত পিকনিকের মেজাজে পকোড়া ভেজে খেয়ে তারপর চুরি করে পালাল চোরের দল।
নয়ডায় চোরের এই দলের কাণ্ড দেখে চোখ কপালে প্রতিবেশী-সহ এলাকার মানুষদের। ফ্রিজ খুলে নিজের পছন্দমত খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে পকোড়া ভেজে তা আমোদ করে খাওয়া। সবটাই যেন অপ্রত্যাশিত ঠেকছে এলাকাবাসীর কাছে।
সেক্টর ২৫ এর কাছে এই ঘটনায় ওই বাড়িতে চোরেরা মোট ৩ লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে।
শুধু এখানেই থেমে থাকে না তাঁরা। পানের পিক ফেলে নোংরা করে ডাইনিং থেকে বাথরুম।
আরও: বাংলাকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা! দিল্লি যাওয়ার পথে বিস্ফোরক মমতা
অন্যদিকে, সেক্টর ৮২ তে একই চোরের দল একই কায়দায় অপারেশন চালায়। সেখান থেকে লুঠ হয় আরও গয়নাগাটি এবং ৪০ লক্ষ টাকা নগদ।
মনে করা হচ্ছে, তাঁরা বহুদিন ধরেই ওই বাড়ি গুলিতে নজর রেখেছিল এবং যখনই তাঁরা দেখতে পায় যে বাড়ি ফাঁকা এরপরেই তাঁরা এই কাণ্ড ঘটায়।
চোরেরা মধ্যপ্রদেশে নিবাসী এক পরিবারের বাড়িতেই এই কাণ্ড ঘটায়। সূত্রের খবর, বাড়ির তালা ভেঙে রান্নাঘরে ঢুকে পকোড়া ভেজে, সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে চম্পট দেয়।
রহস্যময়ভাবে, চোরেদের এই কাণ্ডের পিছনে মনে করা হচ্ছে কিছুদিন আগেই মুক্তি পাওয়া অনুরাগ কাশ্যপ অভিনীত বিজয় সেতুপতির “মহারাজা” সিনেমার ছায়া আছে। যেখানে মালিকের সব কিছু লুঠ করার আগেও একই কায়দায় রান্না করে ভোজ সারা হত।
চুরি করতে এসে চোরেদের এমন অবাক করা কাণ্ডের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ঠিক যেমন লখনউতে এক মদ্যপ ব্যক্তি সুনীল পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরি করতে এসে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে গৃহকর্তা বারাণসী থেকে ফিরে এসে হাতেনাতে পাকড়াও করেন।
কিন্তু চুরি করতে এসে রান্না করে ভোজ সেরে তারপর চুরি করে চম্পট দেওয়া ভয় ধরিয়েছে নয়ডাবাসীর মনে।
Just another WordPress site