ব্যবসা-বাণিজ্য Investment Tips: PPF-এ প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা রাখছেন ? কত রিটার্ন পাবেন দেখুন Gallery July 18, 2024 Bangla Digital Desk বিনিয়োগ করার সময় দুটো জিনিস মাথায় রাখতে হয়। নিরাপত্তা এবং রিটার্ন। বিনিয়োগ করা টাকা যেন নিরাপদে থাকে। সঙ্গে বিনিয়োগ থেকে যেন আরও ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। এই দুই ক্ষেত্রেই পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের কোনও বিকল্প নেই। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অবসর তহবিলের জন্য পিপিএফ আদর্শ। কেন্দ্রীয় সরকার সমর্থিত স্কিম। ফলে কোনও ঝুঁকি নেই। টাকা থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। সঙ্গে ভাল রিটার্নও মেলে। বর্তমানে পিপিএফে সুদের হার ৭.১ শতাংশ। সুদের হার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। বিনিয়োগকারী যদি এক ত্রৈমাসিকে কম সুদ পান, তাহলে পরের ত্রৈমাসিকে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এছাড়া সুদের উপর সুদের সুবিধাও পাওয়া যায় পিপিএফে। অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ। এটাই পিপিএফকে অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। পিপিএফ স্কিমে বিনিয়োগে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র আওতায় সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় মেলে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, স্কিমে অর্জিত সুদ এবং মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত অর্থ সম্পূর্ণ করমুক্ত। পিপিএফের ম্যাচিউরিটির মেয়াদ ১৫ বছর। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। ১৫ বছর পর পাঁচ বছর করে আরও দু’বার মেয়াদ বাড়ানো যায়। অবসর তহবিলের জন্য যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ বিকল্প চান, তাঁরা পিপিএফে বিনিয়োগ করতে পারেন। বর্তমানে ৫০০ টাকা দিয়ে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কেউ যদি এক বছরে ৫০০ টাকা জমা করেন তাহলে স্কিম চালু থাকবে। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ বছরে ১.৫ লাখ টাকা। এখন প্রশ্ন হল, যদি কেউ পিপিএফে প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি কত রিটার্ন পাবেন? পিপিএফ ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, মাসিক ৯ হাজার টাকা বিনিয়োগ মানে বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ১০৮০০০ টাকা। তাহলে ১৫ বছরে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬,২০,০০০ টাকা। এখন ৭.১ শতাংশ হারে সুদ থেকে মিলবে ১২,২০,১১৩ টাকা। তাহলে সুদ এবং আসল মিলিয়ে তিনি ২৮,৪০,১১৫ টাকা রিটার্ন পাবেন।