তবে অনেকেই ৩-৪ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একই স্মার্টফোন মডেল ইউড করছেন। আর সেসব ফোন চলছেও দিব্যি।

বিপদে আইফোন ইউজাররা! থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর ব্যবহারের অনুমতি দিল অ্যাপল

অবশেষে থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোরের অনুমতি দিল অ্যাপল। তবে শুধু ইউরোপে। ইউজারদের চাপে থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোরের অনুমতি দিলেও এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট সংস্থা। একই সময়ে আইওএস ইউজারদের জন্য ‘পাঁচিল দেওয়া বাগান’-এর কথা বলছেন ফিল শিলার। মজার বিষয় হল, শিলার ডেভেলপারদের নতুন অপশন দেওয়ারও পক্ষে। অ্যাপ মারফত কেনাকাটার সময় একাধিক পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতির কথা বলেছেন তিনি।

চলতি মাসে একটি সাক্ষাৎকারে অ্যাপল একজিকিউটিভ জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে কার্যকর হওয়া ইইইউ নিয়ম মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চায় কোম্পানি। সেই সময়ই তিনি থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোরের ঝুঁকিগুলোর কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: বিদায় Nokia! এইচএমডি বাদ দিল নোকিয়া নাম? আইকনিক ব্র্যান্ডটির কি তবে যুগাবসান

যা অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, যেটা নিজস্ব অ্যাপ স্টোর থাকলে সম্ভব হত। তবে তিনি এও বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে আইফোন ইউজাররা যে সব ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন তা কমাতে যা যা করণীয় কোম্পানি করবে।

ঝুঁকির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি শিলার বলেছেন, থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোরগুলির মাধ্যমে আইফোনে এমন কনটেন্ট চালানো যাবে যা আগেই প্ল্যাটফর্মে ব্লক করা হয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, ‘অন্যান্য মার্কেটপ্লেস একই শর্তাবলি এবং সীমাবদ্ধতা মানবে কি না তা আমাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে না’।

আইফোনে যে কোনও অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল করার স্বাধীনতা ইউজারদের কাছে ‘দারুণ খবর’ মনে হতে পারে তবে অ্যাপল তাদের অ্যাপ স্টোরের বাইরের অ্যাপগুলি নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ সেগুলোর উপর কোম্পানির কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। মনিটরও করতে পারবে না। তাই বিষয়টা বিপথে যেতে পারে বলে আশঙ্কা অ্যাপলের। পাশাপাশি অ্যাপল ইউরোপের ব্যবসা নিয়েও চিন্তিত যা কোম্পানিকে তার নীতিতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে। যার মধ্যে কমিশন ডেভেলপারদের অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ হোস্ট করার জন্য চার্জ নেওয়া অন্যতম।

সর্বশেষ iOS 17.4 বিটা সংস্করণে কোম্পানির দ্বৈত-প্রস্তুত কৌশল দেখা যাচ্ছে, যেখানে ইউরোপ-কেন্দ্রিক iOS সংস্করণ-সহ অন্যান্য দেশগুলিতে স্বাভাবিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।