জামশেদপুরের কাছে হার ইস্টবেঙ্গলের। Picture courtesy- X

Eastbengal Loss: কোচ বদলেও জয় ফিরল না, পেনাল্টি মিস থেকে আত্মঘাতী গোল, চেষ্টা চালিয়েও চার বার হার লাল-হলুদের

ম্যাচের ফলাফল- জামশেদপুর এফসি ২- ০ ইস্টবেঙ্গল

জামশেদপুর: একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট হল, পেনাল্টিও মিস হল, প্রাণপণ চেষ্টা করলেও ছন্নছাড়া দশা থেকে মুক্তি পেল না লাল-হলুদ শিবির। আটটি গোলের সুযোগ পেয়েও একটি গোলও করতে পারল না তাঁরা উল্টে আত্মঘাতী গোলে ২-০ গোলে জামশেদপুরের কাছে হার স্বীকার করতে হল তাঁদের।

শনিবার, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ক্লেটন সিলভা থেকে সউল ক্রেসপো সুযোগ পেয়েও যা মিস করলেন ফুটবলে তা ‘অপরাধের’ পর্যায়ে পড়ে। ফাঁকা গোল পেয়েও বল জড়াতে পারলেন না ক্লেটন। দু’টি শট পর পর পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এই ভুলের মাশুল দিতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। চলতি আইএসএলে এই নিয়ে টানা চার বার হারের সম্মুখীন হল তাঁরা। আইএসএলের এই মরশুমে কিছুটা হলেও বেশ ফর্মে দেখাচ্ছিল প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই, কিন্তু হারের পরে মাঠ ছাড়ার সময় তাঁদের বিধ্বস্ত মুখই যেন বলে দিচ্ছিল একের পর এক ম্যাচ হারায় সবারই মনোবল কমে আসছে।

টানা তিন ম্যাচ দল হারলেও জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলকে জেতানোর লক্ষ্যে জামশেদপুর পৌঁছে গিয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু, টানা চার ম্যাচ হেরে কার্যত হতাশ হয়েই ফিরতে হল তাঁদের। শেষ হাসি হাসেন খালিদ জামিল।
কার্লোস কুয়াদ্রাত কোচের পদ থেকে সরার পর বিনো জর্জ কোচ হিসাবে এসেই ইস্টবেঙ্গলের দলে কিছু বদল আনেন। তার প্রতিফলন মেলে ম্যাচেও। ম্যাচের ১১ মিনিটে মাদি তালাল বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকে প্রথম পোস্টে শট মারেন। কিন্তু, সেই শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ফলে সুযোগ পেয়েও দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
এরপরেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় জামশেদপুর। ১৭ মিনিটেই গোল করে দিত জামশেদপুর কিন্তু, সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের শেষ প্রহরী দেবজিত মজুমদার। জর্ডন মারের বিপদজনক হেড বাঁচিয়ে দেন তিনি। এর ঠিক চার মিনিট পরেই অবশ্য গোল পেয়ে যায় জামশেদপুর। রেই তাচিকাওয়ার দুরন্ত শট গোলার মতন আছড়ে পড়ে লাল-হলুদের জালে। ম্যাচের ২১ মিনিটেই ১ গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর।

আরও পড়ুন: সচিনের সতীর্থ প্রাক্তন ক্রিকেটারের মায়ের রহস্যমৃত্যু! ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দেহ

গোল খেলেও গোল করার মরিয়া চেষ্টা দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের মধ্যে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আক্রমণের গতি বাড়ায় লাল-হলুদ শিবির। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে জামশেদপুরের রক্ষণে। কিন্তু, আক্রমণ তৈরি করেও যেন শেষ করতে পারছিলেন না কেউই। এই সময় ক্লেটনের পরিবর্তে পিভি বিষ্ণুকে নামান বিনো জর্জ। কিন্তু, আক্রমণ করলেও গোলের সামনে গিয়ে যে ভাবে গোল মিস করলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা, পাড়া ফুটবলেও তা হয় কিনা সন্দেহ রয়েছে। ক্লেটন নামার পরেই একটি পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল কিন্তু, সেখান থেকেও গোল আসেনি।

আরও পড়ুন: আইপিএলের তারকা ক্রিকেটারের বিয়ে! এদিকে বউ উধাও! একসঙ্গে তিন ভাই বিয়ের পিঁড়িতে

ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় আবার আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইস্টবেঙ্গলের লালচুংনুঙ্গা। বিপক্ষের বল বের করতে গিয়ে নিজেই গোলে বল জড়িয়ে দেন তিনি। শেষের দিকেও বারংবার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। কিন্তু, ম্যাচের একটা সময় যে সুযোগগুলো হাতছাড়া হয়েছিল তাই যেন তাড়া করে বেড়াল তাঁদের। ২ গোলে জামশেদপুরের কাছে হার স্বীকার করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। পরের ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের। তাঁর আগে এই ম্যাচ জিতলে কিছুটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন পেতেন বিনো জর্জের ছেলেরা। বাড়তি চাপ নিয়েই ডার্বিতে নামতে হবে লাল-হলুদ শিবিরকে।