তেল আভিভ: মিসাইল হানার পাল্টা হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের৷ ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে উদ্বেগ দানা বাঁধছে গোটা বিশ্বে। এই নিয়ে এবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াট হাউজে জো বাইডেনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে ইজরায়েল হামলা করলে আমেরিকা কী সমর্থন করবে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমি মনে করি এটা একটু…, যাইহোক।’’
আরও পড়ুন: সন্তানের পড়াশোনায় মন নেই? মা-বাবারা মাথায় রাখুন ৬টা টিপস, বাচ্চা নিজেই বই নিয়ে বসবে
এর সঙ্গে বাইডেন অবশ্য আশ্বস্ত করে বলেছেন, “এরকম কিছু হবে না।’’ কিন্তু এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের যে পরিস্থিতি তাতে স্বস্তিতে নেই কেউই। ইরানের হামলার পাল্টা ইজরায়েল কিছু একটা ঘটাবেই বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাইডেন বলছেন, “প্রথমত আমরা ইজরায়েলকে ‘অনুমতি’ দিই না, পরামর্শ দিই। দ্বিতীয়ত, আজ এরকম কিছু ঘটবে না।’’
বাইডেনের মন্তব্যের পর মার্কিন মুলুকে তেলের দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনেই নির্বাচন। তার আগে দাম বৃদ্ধি ডেমোক্র্যাটদের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ নিত্য খরচ এবারের আমেরিকান নির্বাচনে প্রধান ইস্যু।
তবে বাইডেন খোলাখুলি জানিয়েছেন, ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালালে আমেরিকা সমর্থন করবে না। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রেনেতাদের ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয় নিয়ে ফোনে কথা বলেন বাইডেন। তারপরই এই মন্তব্য করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আটকানোর সবরকম চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জি৭ দেশগুলি। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে যা শুরু হয়েছে তা যেন আর ছড়িয়ে না পড়ে। তারা ইজরায়েলকে ‘শান্তি’ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিলে সংঘাত যুদ্ধের দিকে মোড় নিতে পারে।
কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না। রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সরাসরি নিশানা করেছেন ইরানকে। হিজবুল্লাহকে নিকেশ করার সংকল্প নিয়েছেন তিনি। এয়ার স্ট্রাইকের পাশাপাশি লেবানন সীমান্তের গ্রামগুলিতে স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইজরায়েল।
প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর ইজরায়েলে প্রায় ২০০ রকেট হামলা চালায় ইরান। তারা বলে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে। পাল্টা ‘ফল ভুগতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এরপর থেকেই ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে ইজরায়েলি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Keywords: Iranian Oil Site, Israel, Joe Biden