গাজা: গাজা থেকে আরও প্রায় ১লক্ষ ৮০ হাজার বাসিন্দা ঠাঁই হারা হয়েছে৷ ইজরায়েল সরকার গাজার দক্ষিণসীমা খান ইউনিস থেকেও দূরে সরে যেতে বলেছে৷ তাঁদের আল-মাওয়াসির দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ন মাস ধরে যুদ্ধতে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে জোড়পূর্বক ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে৷ তুলনামূলক ‘খান ইউনিস’ অঞ্চলকে নিরাপদ মনে করা হচ্ছিল৷
আরও পড়ুন: গাজার ‘সেফ জোনে’ বোমাবর্ষণ ইজরায়েল সেনার, নিহত প্রায় ৯২ জন
কিন্তু ইজরায়েল সূত্রে খবর, এখান থেকে সম্প্রতি পাঁচজন ইজরায়েলি বন্দির দেহ পাওয়া গিয়েছে৷ এর পর থেকে এই অঞ্চলেও যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে৷
ইজরায়েলি সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাঁরা ওই অঞ্চলে প্রায় ১০০ জন হামাসের জঙ্গিকে মারতে সক্ষম হয়েছে৷ সেন্ট্রাল গাজার একটা স্কুলে ইজরায়েলি বিমান হানায় প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, এর মধ্যে অনেকে শিশুও রয়েছে৷
Due to significant terrorist activity and rocket fire toward the State of Israel from the southern area of Khan Yunis, remaining in this area has become dangerous. Accordingly, at this time, the area will be adjusted. The adjustment is being carried out in accordance with precise… pic.twitter.com/gAdQzL4TNF
— Israel Defense Forces (@IDF) July 27, 2024
ইজরায়েলি সেনা নিজেই খান ইউনিসের কয়েকটা জায়গাকে ‘নিরাপদ স্থান’ বলে ঘোষণা করেছিল৷ এবার তাঁরা একটা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই স্থানেও তাঁরা হামলা চালাবে৷
ইজরায়েলের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা ওখানকার স্থানীয় সাধারণ মানুষকে আগাম সতর্ক করতে চাইছি৷ ওই অঞ্চল নিরাপদ অঞ্চল ছিল৷ কিন্তু হামাস ওই জায়গা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছে৷ তাই আমরা ওখানে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করব৷ ওখানকার সাধারণ মানুষদের আগে থেকেই যুদ্ধস্থান ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সূত্রে জানা যাচ্ছে এর ফলে চারদিনে গাজার দক্ষিণে প্রায় ১ লক্ষ আশি হাজার বাসিন্দা ঠাঁই হারা হয়েছে৷ এমনিতেই শরণার্থী শিবির গুলো অপুষ্টি, চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছে৷ সেখানে কেবল চলছে প্রাণটুকু বাঁচানোর নিরন্তন লড়াই৷ এবার ‘নিরাপদ স্থান গাজার দক্ষিণও আর নিরাপদ রইল না৷
গাজার স্বাস্থমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গাজায় ইজরায়েলি হামলায় এখনও পর্যন্ত ৩৯,১৭৫ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে