গুন্দলু বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়

Purulia News :  এ যেন অন্য পাঠ পড়াচ্ছে পুরুলিয়ার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়

পুরুলিয়া : ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ভীত মজবুত করতে বিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। কারণ বিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি সময় কাটান ছাত্র-ছাত্রীরা। জেলা পুরুলিয়ায় বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও গুন্দলু বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক অন্য পাঠ পড়াচ্ছে। বিগত ১০ বছর আগেও আর পাঁচটা সাধারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতই এই বিদ্যালয় ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে পর থেকে এই বিদ্যালয়ের চেহারা পরিবর্তন হতে শুরু করে। ২০১৪ সাল থেকে স্কুলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রতাপচন্দ্র মাহাত স্কুলের ভোল পাল্টে দিয়েছেন। ‌ প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুল আজ ঝাঁ চকচকে মডেল স্কুলের রূপ নিয়েছে। ‌ শুধুমাত্র ঝা চকচকে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নয় এই ক্যাম্পাসে শেখানো হচ্ছে বাগান তৈরি, মুরগি পালন, পশুপালন, মাছ চাষ সহ একাধিক কাজ।

এরপাশাপাশি এই বিদ্যালয়ের মাঠে রাজ্য সরকারের মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি খামারে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। একটা সময় গুন্দলু বাড়ি গ্রামের মানুষ পরিযায়ী হয়ে ভিন জেলায় বা ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেত। কিন্তু বর্তমানে এই বিদ্যালয় কৃষি খামারে কর্মসংস্থান হওয়ায় পরিযায়ী সমস্যা কিছুটা রোখা গিয়েছে।এ বিষয়ে স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রতাপচন্দ্র মাহাতো বলেন , তিনি প্রথম যখনই স্কুলে এসেছিলেন তখন দুটো ভাঙা ঘর ছিল। এখানে আসার পর তিনি বুঝেছিলেন এই এলাকার মানুষদের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও খুব একটা উন্নত নয়। তাই তখনই তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন এই স্কুলকে মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তোলার। সেই মতই তিনি কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন : এআই-এর উপর ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সায়েন্স সেমিনার

গ্রামের মানুষেরও সরকারের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক প্রলয়েন্দু ভৌমিক বলেন , বিদ্যালয় হল সমাজের ক্ষুদ্র সংস্করণ। ‌ গুন্দলু বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় তারই অন্যতম উদাহরণ। সমাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে কাজ করে চলেছে এই বিদ্যালয়।এ বিষয়ে গ্রামের মানুষ বলেন , এ বিদ্যালয় হওয়ার পর গ্রামের চেহারাটাই বদলে গিয়েছে। তাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শেখার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হচ্ছে। তারা খুবই খুশি এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে।

আরও পড়ুন : ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধের চেতনা জাগ্রত করতে বিশেষ প্রদর্শনী

বিদ্যালয়ে বর্তমানে রয়েছে ৭২ জন ছাত্রছাত্রী। দু-জন শিক্ষক শিক্ষিকা । ইতিমধ্যেই এই বিদ্যালয়েকে রাজ্য সরকার দিয়েছে শিশু মিত্র , নির্মল বিদ্যালয়, স্বচ্ছ বিদ্যালয় , যামিনী রায় পুরস্কার। শুধু পুরুলিয়া নয় পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া, দুর্গাপুর থেকেও বহু ছাত্র-ছাত্রী এই বিদ্যালয় পড়াশোনা করতে আসে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

জেলা পুরুলিয়ার গর্ব এই বিদ্যালয়।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি