হুগলি: হুগলির পৌরনিগম শহর চন্দননগর প্রস্তুতি নিচ্ছে তার মেগা ফেস্টিভালের। গঙ্গা তীরবর্তী এককালের ফরাসডাঙ্গা সেজে উঠছে দেবী হৈমন্তীকার আরাধনায়। শুধু জেলা নয় জেলার বাইরের গোটা রাজ্য ব্যাপী মানুষ তাকিয়ে রয়েছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর দিকে। সেই মতো পুজো উদ্যোক্তারাও এই মুহূর্তে চালাচ্ছেন জোর কদমের কাজ। চন্দননগরের আলোয় শুধু জগৎ বিখ্যাত নয় জগদ্ধাত্রী পুজো নাম ছড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বে।
আরও পড়ুন- ৫৬৩ জন ডাক্তারের তালিকা তুলে ধরলেন মমতা, তুললেন বিস্ফোরক অভিযোগ! আন্দোলনের নামে…
চন্দননগরের অন্যতম ঐতিহ্য হলএখানকার জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তা তৈরি হয় সমস্ত পুজো মণ্ডপের ভিতরেই। আকাশ ছোঁয়া উচু উচু প্রতিমা, সেই সমস্ত প্রতিমা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই চলছে মণ্ডপগুলিতে। বেশিরভাগ প্রতিমার খড় বাধা থেকে শুরু করে প্রতিমার মা মাটি লাগানো সেইসব পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য পুজোতে পটুয়া পাড়া থেকে ঠাকুর মণ্ডপে এলেও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় তার ব্যতিক্রম। এখানে সমস্ত প্রতিমা তা তৈরি হয় মণ্ডপের মধ্যেই। যেখানে মৃৎশিল্পীরা নিজেদের গোলা ছেড়ে মন্ডপের মধ্যে এসে প্রতিমা তৈরি করেন।
এ বিষয়ে চন্দননগরের বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা জানান, তাদের প্রতিমা এতটাই উঁচু এবং সুবিশাল হয় যে সেখানে বাইরে থেকে ঠাকুর নিয়ে এসে মন্ডপের মধ্যে প্রবেশ করানো তা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। সেই কারণেই মন্ডপের ভেতরেই আগে থেকে ঠাকুর তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে এই ঠাকুর তৈরির সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসীর মনেও যে পুজোর আনন্দেরআমেজ আসতে শুরু করে দেয়। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে চন্দননগর প্রস্তুতি নিচ্ছে তার মেগা ফেস্টিভ্যালের। আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন তারপরেই আলোর শহর চন্দননগর মেতে উঠবে দেবী হৈমন্তীকার আরাধনায়।
রাহী হালদার