লাইফস্টাইল Jamun: পুষ্টির ভাণ্ডার, মুঠো মুঠো খাচ্ছেন কালোজাম! কাদের একেবারে বারণ? খাওয়ার পর ভুলেও মুখে তুলবেন না এই দুই জিনিস, তাহলেই সর্বনাশ Gallery June 24, 2024 Bangla Digital Desk মরশুমি ফল, খেতেও সুস্বাদু, ভিটামিনে ঠাসা। তাই গরমের এই ফল সকলেই চুটিয়ে খান। কিন্তু জানেন কী কালোজাম কাদের খাওয়া উচিত নয়? কখন খাওয়া একেবারেই উচিত নয়? কালোজাম খাওয়ার কী খেলে শরীর অসুস্থ হতে পারে? গরমের ফলের তালিকায় নিজগুণে সসম্ভ্রমে জায়গা করে নিয়েছে কালোজাম। একাধিক পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার এই ফল। ছোট্ট ছোট্ট কালো ফলেই আছে বহু রোগকে কাবু করার শক্তি। কিন্তু ভাল জিনিস মানেই যে তা সবসময় খাওয়া যাবে, তা কিন্ত নয়। যতই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হোক না কেন, কালোজাম খাওয়ার ক্ষেত্রেও মানতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। হাজারীবাগ সদর হাসপাতালের আয়ুষ বিভাগের ডাক্তার মকরন্দ কুমার জানালেন কালোজামের বিশেষ গুণ সম্বন্ধে। পাশাপাশি তিনি এও জানালেন কখন, কীভাবে খাওয়া উচিত নয় কালোজাম। কালোজামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন ও ফাইবারও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। কালোজামের একটি বড় গুণ হল এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কালোজাম খেলে ব্লাড সুগার কমে যায় এবং ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই কারণেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্ল্যাকবেরি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে সাবধানও থাকা উচিত। কালোজাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এটি পরিপাকতন্ত্রের জন্যও উপকারী। আয়ুর্বেদ অনুসারে এর পাতা, ফল, খোসা এবং বীজ অনেক ধরনের রোগের চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়। ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। তবে সাবধানও থাকা উচি। ডা: মকরন্দ কুমারের মতে, কালোজাম অতিরিক্ত খেলে রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা অনেকাংশে কমে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক না থাকলে বেশি না খাওয়াই শ্রেয়। ডাঃ মকরন্দ আরও জানালেন যে কালোজাম অত্যধিক খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা যেমন বদহজম, গ্যাস প্রভৃতি হতে পারে। তাই এই ধরণের সমস্যার ক্ষেত্রে ভুল করেও এই ফল অতিরিক্ত সেবন করবেন না। সেইসঙ্গে তিনি এও জানালেন কালোজাম খাওয়ার পর জল এবং দুধ কখনও পান করা উচিত নয়। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।