রাজবাড়ির রাধারমনজিউ

Janmashtami at Jhargram Rajbari: জন্মাষ্টমীতে মহা সমারোহে পূজিত রাধারমণজীউ, পুণ্যতিথিতে অবারিত ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির প্রবেশদ্বার

বুদ্ধদেব বেরা, ঝাড়গ্রাম: শ্রীকৃষ্ণ এখানে রাধারমণজীউ নামে পুজিত হন। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে জন্মাষ্টমীতে পূজিত হন রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী কুলদেবতা রাধরমণজীউ । পুজো দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের লম্বা লাইন লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র স্থানীয়রা নন, ভিন রাজ্যের ভক্তরাও এসেছেন পুজো দেওয়ার জন্য।

সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কৃষ্ণমন্দির গুলিতে সকাল থেকেই পুজো দেওয়ার জন্য উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। তার পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির কুলদেবতা রাধারমণজীউ মন্দিরও জন্মাষ্টমীর পুজো দিতে লক্ষ্য করা যায় পুণ্যার্থীদের ভিড়। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই এখানে জন্মাষ্টমীর পুজো হয়।

মহিলারা আপেল, কলা, আঙুর, নারকেল-সহ বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি নারকেল নাড়ু, বেসনের লাড্ডু ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় রাধারমণজীউকে । বিশেষ দিনে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় রাজবাড়ির দরজা। জানা গিয়েছে, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য রাজবাড়িতে প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রাজবাড়ির প্রবেশদ্বার।

আরও পড়ুন : সন্তানহারা মায়ের পাশাপাশি সুলভ শৌচাগারের কর্মীও জন্মাষ্টমীতে লোকনাথধামগামী ভক্তদের সেবায় রত

ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের সদস্য জয়দীপ মল্লদেব বলেন, ‘‘রাজবাড়ির রীতিনীতি মেনেই এখানে জন্মাষ্টমীর পুজো হয়। রাজবাড়ির মধ্যেই রয়েছে রাধারমণজীউ মন্দির। শ্রীকৃষ্ণ এখানে রাধারমণজীউ নামে পুজিত হন। রাধারমণজীউ আমাদের রাজবাড়ির কুলদেবতা। ঝাড়গ্রামের মানুষজন নন, তার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু মানুষ এখানে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় জমান’’।