মন্দির 

Jhargram News: জঙ্গলমহলের জাগ্রত লৌকিক দেবতার পুজো অর্চনা ঘিরে বহু ভক্ত সমাগম

ঝাড়গ্রাম, রঞ্জন চন্দ: যা মানত করা হয়, তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়।প্রচলিত এই বিশ্বাসে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন এই প্রান্তিক গ্রামে। জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের লৌকিক দেবতা কালুয়াষাঁড়। গ্রাম বাংলায় প্রচলিত লৌকিক দেবতা তিনি। বিশ্বাস যে, মনস্কামনা জানিয়ে মানত করলে তার সুরাহা মেলে।হাতি, ঘোড়া, আতপচাল-সহ নানা দ্রব্যাদি দিয়ে পুজো দেওয়া হয়।

গ্রাম বাংলার বিভিন্ন লৌকিক দেবতাকে নিয়ে লোককথা প্রচলিত থাকলেও মনের বিশ্বাসে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এখানে। সপ্তাহের শনি এবং মঙ্গলবার পুজো হয়। ব্রাহ্মণ নয় গ্রামবাসীদের মতে পুজো করেন জেলে বা মাঝি সম্প্রদায়ের মানুষজন। মনস্কামনা জানিয়ে, পুজো দিয়ে লাল সুতোয় হাতি ঘোড়া বেঁধে দিলে পূরণ হয় মনস্কামনা। এভাবেই ধীরে ধীরে ব্যাপ্তি ঘটে।ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের নিমাইনগর এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকশো বছর পুরনো কালুয়াষাঁড় মন্দির।

আরও পড়ুন : অগ্রদ্বীপের ছানার জিলিপির খ্যাতির বাজিমাত এ বার দেশ পেরিয়ে বিদেশেও

মনে করা হয় এখানে রয়েছে একটি গর্ত। তাকে ঘিরেই পূজার্চনা। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দুই দিন বেশ জমজমাট থাকে জঙ্গলমহলের এই এলাকা। মনে করা হয় জাগ্রত এই দেবতা। বর্তমানে হাতি ঘোড়া পুজো করা হয় এখানে। স্থানীয় ইতিহাস গবেষকেরা মনে করেন কালুয়াষাঁড় গ্রামীণ এলাকায় এক লৌকিক দেবতা। স্থানীয়দের মতে, কলকাতা, হাওড়া, দিঘা ওড়িশা, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসেন।

চারিদিক গাছে ঘেরা এই মন্দির। উপরে নেই আচ্ছাদন, গাছ দিয়ে আবৃত এই জায়গা। চারিদিকে সবুজে মোড়া এই জায়গায় এলে মন ভরবে আপনার। ভক্তি বাড়বে। তবে বিশ্বাসেই বহু মানুষ আসেন জঙ্গলমহলের এই প্রান্তিক এলাকায়।